
পরিক্রমা ডেস্ক : জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বিদ্যুৎ সেক্টরে অপচয় ও চুরিরোধের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “ অতীতে বিদ্যুতের অভাব বা ঘাটতির মধ্যে মানুষ কষ্টকর জীবন যাপনে অভ্যস্ত ছিলো। কিন্তু এখন বিদ্যুতের প্রাচুর্যে অনেকে অপচয় করছে, যা অত্যন্ত গর্হিত। এমনকি শিক্ষিত নাগরিকদের কেউ কেউ প্রযুক্তির অপব্যবহার করে বিদ্যুৎ চুরি করছে, রাজস্ব ফাকি দিচ্ছে, এসব অপরাধ রোধে বিদ্যুৎ কর্মীদের কঠোর মনিটরিং থাকতে হবে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে ডিপিডিসি’র বেতন ভাতা ও সুযোগ সুবিধা অনেক বেশি, এরপরও কেউ দুর্নীতিতে জড়ালে তার কঠোর শাস্তি হওয়া উচিৎ। দুর্নীতি লব্ধ অর্থ বা সম্পদ কেউ ভোগ করে যেতে পারেনা। বিলাসবহুল অট্টালিকা ও ধনসম্পদ ফেলে জীবন সায়াহ্নে অপরাধের বোঝা নিয়ে মহান স্রষ্টার কাছে উপস্থিত হতে হয়। এটিই পরকালীন বিচার ও শাস্তি বিশ্বাস করতে হবে। তিঁনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ চুরি ও অপচয় রোধে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটাতে হবে। এর সমান্তরালে প্রযুক্তি ব্যবহারকারী কর্মকর্তা-কর্মচারির দক্ষতা ও সততাও অপরিহার্য। ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে শুধু রোবট দিয়ে একটি সমাজ চলতে পারেনা। রোবটের পশ্চাতে মানুষই মূল নিয়ামক শক্তি। সুতরাং সে মানুষ সৎ, শুদ্ধ ও নীতিবান হলে সব ক্ষেত্রে সফলতা আসবে।
” আজ (২২ আগস্ট, ২০২৩খ্রি.) জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে ‘বিদ্যুতের অপচয় রোধে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’ শীর্ষক আয়োজিত এক সেমিনারে তিঁনি এ বক্তব্য রাখেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংস্থার সিনিয়র কিউরেটর সুকল্যান বাছাড় এবং ডিপিডিসির দুজন অতিথি বক্তা।
এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন ডিপিডিসি’র ম্যানেজার ট্রেনিং ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ মহিবুল আলম। সেমিনার শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য বিজ্ঞান জাদুঘর পরিদর্শনের আয়োজন করা হয়।