
পরিক্রমা ডেস্ক : নানা কারণে দেশে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে ক্যানসার রোগী। এর জন্য একদিকে যেমন প্রয়োজন জনসচেতনতা, অন্যদিকে চিকিৎসা ব্যবস্থার বৈষম্য দূর করে, মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র জনগনের জন্য ক্যানসার সেবা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ। তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, দূরারোগ্য ক্যানসারের দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা কষ্টকর ও ব্যয়বহুল। তবে মধ্যবিত্ত ও দরিদ্রদের জন্য ক্যানসার, রোগী ও পরিবারকে আর্থিক ও মানসিকভাবে ভয়াবহ বিপর্যস্ত করে তোলে। বিশ^স্বাস্থ্য সংস্থার গাইড লাইন অনুযায়ী প্রতি ১০ লাখ মানুষের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ক্যানসার হাসপাতাল থাকতে হবে। সে হিসাবে ১৭০টি হাসপাতাল থাকার কথা থাকলেও দেশে ক্যানসার সেবা মিলছে সরকারী বেসরকারী মিলিয়ে ৩৩টি চিকিৎসা কেন্দ্রে। ফলে সারা দেশেরই চাপ থাকে, মাত্র ৫০০ শয্যার একমাত্র পূর্নাঙ্গ ক্যানসার হাসপাতাল জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে। ফলে রোগীর চাপের কারণে পরীক্ষা ও সেবা পেতেই লেগে যায় দীর্ঘ সময়। অপ্রতুল বেড সংখ্যার কারণে বারান্দা, করিডোরে এমনকি রাস্তায়ও দেখা যায় রোগী। টাকার অভাবে সব কেমো না নিয়েই ফিরে যাচ্ছেন অনেকে। মৃত্যু হলে ভিটাতেই হোক এমন অবস্থা। দেশে বিপুল সংখ্যক রোগীর সেবা নিশ্চিতে রয়েছে প্রশিক্ষিত জনসংকট। বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে প্রতি বছর নতুন রোগী যোগ হচ্ছে ১ লাখ ৫৬ হাজারের বেশী। প্রাণ হারাচ্ছে ১ লাখ ৯ হাজার অথচ বিপরীতে ক্যানসার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংখ্যা আড়াই শোরও কম। এছাড়া বিষয় ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ ডাক্তারেরও স্বল্পতা আছে। নানা বিড়ম্বনা, যন্ত্রপাতি অকেজো পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান গুলির আধুনিকীকরণের ব্যাপার গুলিও আছে। তিনি বলেন, যদিও ৮টি বিভাগীয় শহরে ৮টি ক্যানসার সেন্টার তৈরীর কাজ চলছে, তবে রোগী অনুপাতে এ চিকিৎসা ব্যবস্থা এখনো অপ্রতুল। ক্যানসার চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত সমন্বিত পদ্ধতির পাশাপাশি জাতীয় ক্যানসার নিয়ন্ত্রন কর্মসূচীও নেই।
এমতাবস্থায় বিভাগীয় শহরগুলিতে আরো পূর্ণাঙ্গ ক্যানসার হাসপাতাল তৈরী এবং প্রশিক্ষিত ডাক্তার নিশ্চিতকরণ, পাশাপাশি প্রতিটি ক্যানসার হাসপাতালেই আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবস্থাসহ মহাখালীর জাতীয় ক্যানসার গবেষনা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালকে আরও আধুনিকীকরণ করার আবেদন জানিয়েছেন।