
পরিক্রমা ডেস্ক : নৌপথের শৃংখলা নিশ্চিত ও নিরাপদ নৌযান চলাচলের লক্ষ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে সঠিকভাবে প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী।
গতকাল (৩০.১০.২০২৩খ্রি.) বিআইডব্লিউটিএ’এর৩০ জন প্রকৌশলী বিজ্ঞান জাদুঘর সফরে আগমন করলে তাদের জন্য ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে নৌনিরাপত্তা’ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন “ঝড়ের সংকেত জানার জন্য প্রতিটি নৌযানে রেডিও কন্ট্রোল সামগ্রীর ব্যবহার অপরিহার্য। জাহাজ চলাচলকেল পানির গভীরতা তাৎক্ষণিক অবহিত হবার জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ডিভাইস নৌযানে থাকতে হবে। ডুবোচরের অবস্থান সম্পর্কে তাৎক্ষণিক সংকেত প্রাপ্তির প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। ঘন কুয়াশায় নৌযানের ফগ্লাইট ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে। তেল চুরিসহ নৌযানের অপরাধ রোধে ‘ভ্যাসেল ট্র্যাকিং সিস্টেম’ থাকতে হবে। নৌযান থেকে নদীতে বা সাগরে বর্জ্য ফেলা বন্ধে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কঠোর মনিটরিং নিশ্চিত করতে হবে। কোন্ নৌযান থেকে বর্জ্য ফেলা হলো, তা ধরতে তাৎক্ষণিক প্রযুক্তি প্রয়োগ করতে হবে। ঝড়ের সংকেত পাওয়া মাত্র নৌযানগুলো নিরাপদ আশ্রয়ে আনতে আধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। তেলবাহী ট্যাংকারের দুর্ঘটনা রোধে নৌযানের ডাবল হাল নিশ্চিত করতে হবে। এসব প্রযুক্তি প্রয়োগের পাশাপাশি নৌপ্রকৌশলীদের সৎ, নির্মোহ ও কর্তব্যপরায়ন হতে হবে। সরকারী চাকুরী শুধু সুযোগ সুবিধা পাবার জন্য নয়, দেশ, জনগন ও প্রতিষ্ঠানকে সেবা প্রদান করতে হবে। মেধা ও দক্ষতার সাথে যদি সততা না থাকে, তবে প্রকৌশল মেধা মূল্যহীন ও অর্থহীন। প্রকৌশল দক্ষতা ও নৈতিকতার এক সূত্রে গাঁথা থাকতে হবে।”
অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন বিআইএম’এর উর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা আমিনুর। এছাড়া সেমিনারে নৌনিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রকৌশলীরা উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।