
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,মহান রাব্বুল আল-আমিনের নিকট লাখো কোটি শুক্রিয়া আদায় করছি,কারন তিনি আমাকে মানুষ হিসেবে একটি মুসলিম পরিবারে,বাংলাদেশের মতো একটি গণতান্ত্রিক দেশে পদার্পন করেছেন।আমি এখন স্বাধীন,আমার সকল প্রকার মতামত প্রকাশের অধিকার আছে বাংলদেশের স্বাধীনতাকে বুকে ধারন ও লালন করে নির্দিধায়,নির্ভয়ে আমি আমার মতামত প্রকাশ করছি।
১.বাংলাদেশে একটি স্বাধীন,নিরপেক্ষ,সকলের আস্থাভাজন ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত বিচার ব্যাবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
২.সকল প্রকার বাহিনী এবং সংস্থা তাদের নিজস্ব আইন-কানুনের মধ্যে থেকে যাতে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে এবং যাতে করে এই কার্যপরিচালনায় সরকার কর্তৃক কোন প্রকার হস্তক্ষেপ করা না হয় এবং সর্বোচ্চ সহযোগীতা করা হয়।
৩.প্রশাসনকে নির্দলীয় রাখতে হবে কোন রাজনৈতিক দল,প্রভাবশালী ব্যাক্তি এবং প্রতিষ্টান কর্তৃক যেন প্রভাবিত না হয় তাহা নিশ্চিত করতে হবে।
৪.দুর্নীতি দমন কমিশন,নির্বাচন কমিশন যাতে স্বাধীনভাবে তাদের কাজ করতে পারে তাহা নিশ্চিত করতে হবে।
৫.বিচার বিভাগ,প্রশাসন এবং সকল প্রকার বাহিনীকে দুর্নীতি দমন কমিশন ও নির্বাচন কমিশনের ন্যায় কমিশন গঠন করে তাদের সকল প্রকার প্রভাবমুক্ত রেখে স্বাধীনভাবে কাজ করার নিশ্চয়তা দিতে হবে।
৬.প্রধানমন্ত্রী,মন্ত্রীপরিষদ,এম পি জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন বিচার বিভাগ,ডাক্তার,শিক্ষক এবং সকল প্রকার সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের জবাবদিহীতার আওতায় আনতে হবে।সবার সম্পদের হিসাব প্রতিবছর জমা দিতে হবে এবং দুর্নিতি দমন কমিশন যেকোন সময় যেকোন ব্যাক্তি,গোষ্টি,প্রতিষ্টান এবং প্রশাসনকে যেন তলব করতে পারে ও অপরাধির বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করতে পারে তাহা নিশ্চিত করতে হবে।
৭.কেউ যদি ১ টাকাও দুর্নিতি করে তাহার থেকে ১০ টাকা জরিমানা আদায় করতে হবে এবং ১ টাকা পাচার করলে তার সমস্ত সম্পত্তি সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত করে সরকারের কোষাগারে জমা করতে হবে কারন যাতে করে ,কেউ দুর্নিতি এবং টাকা পাচার করতে সাহস না পায়।
৮.বিগত সময়ে যারা বিভিন্ন অপকর্ম,দুর্নিতি,অন্যায় অবিচার এবং বিচার বহির্ভুত হত্যার সাথে জরিত ছিল তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করে সকল স্তরের প্রশাসনকে সস্কারের মাধ্যমে ঢেলে সাজাতে হবে।
৯.সকল ব্যাক্তি,প্রতিষ্টানে কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারিদের বেতন বৈষম্য সমন্বয় করতে হবে।
১০.দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায়,মাদক ও চোরাচালান দমন,নারী ও শীশু পাচার রোধে সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে আধুনিক প্রশিক্ষন ও সরঞ্জামাদির মাধ্যমে আরো শক্তিশালী করে অত্যাধুনিক ভাবে গরে তুলতে হবে।
১১.শিক্ষাব্যাবস্থা পরিবর্তনের পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষার প্রসার বাড়াতে করতে হবে।দক্ষ জনশক্তি গড়ে তূলে সকল প্রকার উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে পন্য বিদেশে রপ্তানী করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়িয়ে দেশের অর্থনিতি উন্নয়ন করতে হবে।প্রশ্নফাস,কোচিং পদ্ধতি ও প্রাইভেট নির্ভর শিক্ষাব্যাবস্থা বন্ধ করে লেখাপড়ার মান উন্নত করতে হবে।স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা , বিশ্ববিদ্যালয় এবং সকল প্রকার প্রতিষ্ঠানে দলীয় ছাত্ররা রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। শিক্ষকরাই
জাতীর মেরুদন্ড এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের কর্নধার বিধায় শিক্ষকদের সর্বোচ্চ সম্মান ও সহযোগীতা করতে হবে এবং শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রদের প্রতি আনুগত্য বাড়াতে হবে।
১২.কৃষিখাতে ভর্তুকি দিয়ে এবং কৃষকদের প্রশিক্ষন ও বিনা সুধে লোন দিয়ে খাদ্যের চাহিদা পুরন করে বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে দেশের অর্থনিতি উন্নত করতে হবে।
১৩.পোশাক ও চামড়া শিল্পের শ্রমিকের বেতন বৃদ্ধিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে এবং সরকার কর্তৃক মালিকদের সর্বোচ্চ সহযোগিতার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে সরকারের গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখতে হবে।
১৪.প্রত্যান্ত অঞ্চল পর্যন্ত স্বাস্থসেবা পৌছে দিতে হবে,সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে কম খরচে অত্যাধুনিক সেবা নিশ্চিত করতে হবে।ডাক্তারদের ভিজিট ডাক্তারদের কোয়ালিফিকেশন অনুযায়ী সরকার কর্তৃক নির্ধারন করে দিতে হবে।সকল প্রকার ডাক্তারের পরিক্ষা নিরিক্ষার খরচের নির্ধারিত চার্ট থাকতে হবে।
১৫.রেমিটেন্স যোদ্ধারা যেহেতু দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে সেহেতু তাদের বিমান ভাড়া কমিয়ে,ভিসার খরচ কমিয়ে,বিনা সুধে লোন দিয়ে বিদেশে যেতে সরকার কর্তৃক সর্বোচ্চ সহযোগীতা এবং উৎসাহ প্রধান করতে হবে।বিমান বন্দরে তাদের সর্বোচ্চ সম্মান দেখিয়ে সকল প্রকার হয়রানী বন্ধ নিশ্চিত করতে হবে।
১৬.সকল চাকরির পুর্বে সাতার ও সামরিক প্রশিক্ষন দিতে হবে যাতে দেশের দুর্যোগময় মুহুর্তে প্রশিক্ষিত মানুষ গুলো যাতে অসহায় মানুষের পাশে দাড়াতে পারে।
১৭.প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত বিদ্যুৎসেবা পৌছে দিতে হবে এবং বর্তমান মিটারের পরিবর্তে নতুন মিটার দিতে হবে।অন্যান্য চার্জ যাতে গ্রাহকের নিকট হতে কর্তন করা না হয় তাহা নিশ্চিত করতে হবে।
১৮ .পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ,বন্যা থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্যে বেশি করে গাছ লাগানোর পাশাপাশি খাল ও নদী খনন,দখল কৃত খাল উদ্ধার করতে হবে,কল-কারখানার আবর্জনা যেন নদীতে ফেলা না হয় এবং পরিবশ দুষন ধোয়া যেন পরিবেশের ক্ষতি করতে না পারে তাহা নিশ্চিত করতে হবে।সকল শহর এবং এলাকায় পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যাবস্থা করতে হবে যেন বৃষ্টির পানিতে রাস্তা ডুবে না যায়।
১৯. যানজট বাংলাদেশের একটি প্রধান সমস্যা,যানযট নিরসনে রাস্তার পাশে ফুটপাত দখল্মুক্ত করতে হবে,নির্দিষ্ট স্থান ব্যাতিত গাড়ী পার্কিং ও গাড়ী থামানো
যাবে না। আনফিট গাড়ি চালানো বন্ধ করে দেওয়া এবং অপ্রশিক্ষিত ও ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যাতিত গাড়ী যাতে চালাতে না পারে তাহা নিশ্চিত করতে হবে।সরকারি খাতে খরচ কমানোর জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপুর্ন ব্যাক্তি ব্যাতিত সরকারি গাড়ি বরাদ্দ না করে বিশেষ সম্মিলিত কয়েকজনের জন্য বড় গাড়ি বরাদ্দ করা যেতে পারে।
২০.সকল প্রকার গাড়ী ভারার চার্ট বিভিন্ন স্থানে টানিয়ে দিতে হবে যাতে করে যাত্রীদের অতিরিক্ত ভারা দিতে না হয় এবং যাত্রীরা অযথা হয়রানীর শিকার না হয় তাহা নিশ্চিত করতে হবে।বিভিন্ন পরিবহনে সর্বদা চাদাবাজী হয়ে থাকে।সড়ক সহ অন্যান্য সকল স্থানে চাঁদাবাজী বন্ধ করতে হবে। সদরঘাটে “নিজের মাল নিজে নিবে,অন্য জনকে কেনো টাকা দিবে”।সদরঘাটে যেকোনো ধরনের মালামাল আনা নেওয়া করার জন্যে যাতে অন্য কাউকে অতিরিক্ত টাকা না দেওয়া লাগে এবং যাত্রীরাদের হয়রানী বন্ধ করতে হবে। রেলওয়ে
স্টেশনে যাত্রীরা যাতে হয়রানী এবং ভোগান্তির শিকার না হয় সে জন্যে টিকেট কালোবাজারী বন্ধ করতে হবে।
২১.”মাদককে না বলি,নেশা,ঘুষ,জুয়া ও দুর্নিতীমুক্ত দেশগড়ি”এই স্লোগানকে লালন ও ধারন করে মাদক সেবন,সংরক্ষন,সংগ্রহ,পরিবহন,আমদানি এবং চোরাই পথে যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে তাহা নিশ্চিত করতে হবে।ঘুস,জুয়া ও দুর্নিতির বিরুদ্ধে সরকারের শক্ত অবস্থান নিতে হবে।
২২.প্রত্যেকটি থানা, উপজেলা, জেলা, মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং সংসদ ভবনের সামনে একটি করে অভিযোগ বক্স থাকতে হবে যাহাতে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারি,প্রশাসন ও প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে সাধারন মানুষ অভিযোগ করতে পারে।সকল পর্যায়ের একটি করে কমিটি দ্বারা একমাস পরপর যাতে বক্স খোলা হয় ও সে অনু্যায়ী অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে সুষ্ট ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে অপরাধী চিহ্নিত করে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থ্যা গ্রহন করতে হবে।যেখানে অভিযোগ বক্স স্থাপন করা হবে সেখানে যাতে সি সি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত না হয়ে নিরাপত্তা কর্মি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
২৩.উদ্দেশ্য প্রনোদিত মিথ্যা,বানোয়াট,হয়রানিমুলক মামলা যদি কেউ করে থাকে,মামলা কারি যদি তা প্রমান করতে না পারে তাহলে তাহার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
২৪.পথ শিশুদের পুনোর্বাসন করে তাদের প্রশিক্ষনের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করে দেশের উন্নয়নে অংশগ্রহন করার জন্যে সরকার কর্তৃক সর্বোচ্চ সহযোগীতা করতে হবে।বৃদ্ধ,দরিদ্র,ভিক্ষুক,প্রতিবন্ধী,বিকলাঙ্গ এবং অসহায় ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের ব্যাবস্থা করতে হবে।
২৫.দেশের সকল মানুষের ট্যাক্সের টাকায় যেহেতু সরকারের সকল সংস্থা চলে সেহেতু প্রশাসনের ব্যাক্তিদের জনগনের শাষকের ভুমিকায় না থেকে সেবকের ভুমিকায় থেকে জনগনকে সর্বোচ্চ সহযোগীতা করতে হবে। ভূমি অফিস,পাসপোর্ট অফিস,বি আর টি এ অফিস সহ সকল গুরুত্বপুর্ণ অফিস দালাল মুক্ত করে জনগনকে সুন্দর সেবা দিয়ে তাদের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।
২৬.”জমির দলিল যার,জমি তার”তা নিশ্চিত করতে যেসমস্ত জমি খাস হয়ে গিয়েছে তাহার বকেয়া ভ্যাট আদায় করে জমির মালিক কে জমি ফিরিয়ে দিতে হবে।
২৭.সাংবাদিকদের মুক্ত ও স্বাধীনভাবে সংবাদ সংগ্রহ,প্রকাশ ও প্রচারে সরকার কর্তৃক সহযোগীতা এবং তাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।কোনো সাংবাদিক মিথ্যা,বানয়াট উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও লোভের বসবর্তি হয়ে কোনো সংবাদ প্রচার করে তাহার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নিতে হবে ।
২৮.অসুস্থ মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল হচ্ছে ডাক্তার,তাই ডাক্তারদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে পাশাপাশি ডাক্তারদের এবং সরকারি ও বে-সরকারি ডাক্তারদের সেবার মান উন্নত করতে হবে।
২৯.বাংলাদেশের সড়ক,ব্রিজ,কাল্ভার্ট,বেরিবাধ এবং সরকারি যে সমস্ত স্থাপনা নির্মান করা হবে তাহা যেন দীর্ঘমেয়াদি এবং টেকসই করে নির্মান করা হয় তাহা নিশ্চিত করতে হবে।
৩০.সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা বৃদ্ধিকরে মেধা এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে,যাতে ঘুস বা অন্যান্য সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়োগ না হয় তাহা নিশ্চিত করতে হবে তাহলেই ঘুস এবং দুর্নিতি মুক্ত দেশ গঠিত হবে।সকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারিদের যোগ্যতা এবং মেধার ভিত্তিতে পদন্নোতি দিতে হবে যাতে রাজনৈতিক বা বিশেষ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পদন্নোতি না হয় তাহা নিশ্চিত করতে হবে।বিভিন্ন সচিব এবং পরিচালক নিয়োগের সময় উক্ত ব্যক্তি পূর্বে যেসব
বিষয় নিয়ে অতিতে কাজ বা পড়াশোনা করেছেন তাদেরকে সেইসব বিষয়ের উপর যাতে নিয়োগ দেওয়া হয় তাহা নিশ্চিত করতে হবে।
৩১.বাংলাদেশে আমরা সবাই বাঙালি,আমরা সবাই ভাই ভাই,তাই সকল ধর্মীয় কার্যকলাপ যাতে স্বাধীনভাবে চালাতে পারে এবং ধর্ম বর্ণ ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে সবাই যার যার ধর্ম নির্ভয়ে পালন করতে পারে এবং তা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে ।
৩২.বাংলাদেশে যেহেতু ইসলাম ধর্মের মানুষ বেশি এবং ইসলামিক রাষ্ট্র তাই প্রতিটা ইউনিয়নে অন্তত পক্ষে একটি করে সরকারি মসজিদ নির্মান এবং সরকারি ইমাম নিয়োগ দেওয়া হয় তাহার পাশাপাশি সকল শিক্ষা প্রতিষ্টানে আল-কোরআন শিক্ষা বাধ্যতামুলক করা হয় তাহা নিশ্চিত করত হবে।
৩৩.বাংলাদেশে সর্বদলীয় সরকার গঠন করতে হবে,কারণ সকল দলের মধ্যেই কিছু দক্ষ এবং ভালো মানুষ আছে যারা দেশের উন্নয়নের জন্যে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করতে পারবে এবং বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ আছেন তাদেরকে নিয়ে সরকার গঠন করলে দেশ অতি দ্রুত উন্নয়নের শিখরে পৌছে যাবে ইনশাআল্লাহ।
৩৪.সর্বদা বাজার মনিটরিং এর মাধ্যমে দ্রব্য মুল্য সাধারন মানুষের ক্রয় সীমার মধ্যে রাখতে হবে,যাতে করে কোন প্রকার সিন্ডিকেটের কারসাজি দ্বারা দ্রব্যমুল্যের দাম না বাড়ে তা নিশ্চিত করতে হবে।
৩৫.জুলাই ২০২৪ এর স্বাধীনতা আন্দোলনে যাহারা শহীদ হয়েছেন তাদের সু-নির্দিষ্ট তালিকা প্রনয়ন করে শহীদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগীতা সহ অন্যান্য সকল সহযোগীতা করতে হবে এবং যাহারা আহত হয়েছেন তাদের উন্নত চিকিতসার মাধ্যমে সুস্থ করতে হবে ও সরকার কর্তৃক সর্বোচ্চ সহযোগীতা চলমান রাখতে হবে।
৩৬.সরকার কর্তৃক দেশের বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের রাষ্ট্র উন্নয়নে অন্তত পক্ষে মাসে একবার মতামত নেওয়া যেতে পারে।
৩৭.বাংলাদেশের যে সমস্ত সংস্থা তাদের চাকরি জাতীয় করনের জন্যে দাবি করেছেন,তাদের দাবির প্রতি যথাযথ সম্মান দেখিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে বিচার বিশ্লেশন করে পুর্নাঙ্গ সংস্কারের মাধ্যমে জাতীয় করন করা যেতে পারে।
৩৮.সকল ব্যাক্তি প্রতিষ্টান,সরকারি এবং বে-সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারি যাতে স্বাধীনভাবে তাহার মতামত প্রকাশ করতে পারে,যাতে মত প্রকাশে বাধা প্রদান করা না হয় এবং মতামত প্রকাশের কারনে তাকে কোন প্রকার শাস্তির সম্মুখিন হতে না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
৩৯.যাহারা অন্যায় অপরাধ করে বিদেশে পালিয়ে গিয়েছে তাদের দেশে ফিরিয়ে দ্রুত ফিরিয়ে এনে সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বিচার কার্য সম্পুর্ন করতে হবে।বিদেশে যে সমস্ত টাকা পাচার হয়েছে তাহা যতদ্রুত সম্ভব দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।
৪০.সন্ত্রাসী যেকোন দলের বা গোষ্টির হোক তাহার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করতে হবে।রেল নৌ,ও সড়ক পথে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৪১.বাংলাদেশের পুলিশ কর্তৃক গাড়ি আটক করা হলে মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত থনায় জমা রাখা হয়,পরে কোন এক সময় পুরো গাড়ীটি নষ্ট হয়ে ব্যাবহারের অনুপযোগী হয়ে যায় বিধায় দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধীত হয়।দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি বাচানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট স্বল্প সময় নির্ধারন করে দিলে ঐ সময়ের মধ্যে যদি মামলা নিষ্পত্তি না হয় তাহলে উক্ত গাড়িটি যাতে নিলামে বিক্রি করে টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়।আর যদি গাড়ির মালিক মামলার রায় পায় তাহলে গাড়ির বিক্রির টাকা ইহার মালিককে যাতে প্রদান করা হয়।
৪২.কোন দেশ যাতে অন্য দেশের বিপক্ষে কোনো প্রকার বাধ দিতে না পারে তাহা আন্তর্জাতিক ভাবে সমাধান করতে হবে আর যদি সমাধান করা না যায় বাংলাদেশের ক্ষতি হয় এমন কোনো বাধ অন্যদেশ দিয়ে থাকে তাহার বিপরিতে আরো শক্তিশালী এবং উচূ বাধ বাংলাদেশ কর্তৃক নির্মান করতে হবে।
দাবিগুলো আমার একান্তই ব্যাক্তিগত মতামত।এই দাবি গুলো যদি আপনাদের কারো মনের মতো হয় বা আপনার মতের সাথে মিলে যায় তাহলে বেশি করে প্রচার করবেন।যদি একটি দাবি ও সরকার কর্তৃক বাস্তবায়িত হয় তাহলেই আমার লেখার সার্থকতা হবে।আর যদি এই লেখায় কোন প্রকার ভুলত্রুটি হয়ে থাকে বা কেও সামান্য পরিমান কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
ইমাম হোসেন]
পিতাঃ মৃত এম এ আলীম(সাবেক প্রতিষ্টাতা মহাসচিব,বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশ কর্মচারি ইউনিয়ন)
গ্রামঃচরভাগা আজগর হাওলাদার কান্দি,পোস্টঃচরভাগা
থানাঃসখিপুর,জেলাঃশরীয়তপুর