
বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা ডেস্ক : গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভারতীয় আধা সামরিক বাহিনীর ওপর সন্ত্রাসী হামলাকে কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তান তুমুল উত্তেজনার মধ্যেই কাশ্মীর সীমান্তে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। দুদেশের সেনাদের গুলি বর্ষণের কারণে সরিয়ে নেয়া হয়েছে সীমান্তের বাসিন্দাদের।
এ-অবস্থায় পাকিস্তানকে সময় মতো সমুচিত জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ভারতের ক্ষমতাসীনরা। আক্রান্ত হলে ইসলামাবাদের পক্ষ থেকেও নয়া দিল্লিকে দেখে নেয়ার পাল্টা হুমকি এসেছে। এর মধ্যে থমথমে কাশ্মীরে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা, তবে ভারত সরকারই কাশ্মীরীদের হেনস্থা করছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
ঠিক সেসময় কাশ্মীরের রাজৌরি জেলার নওসেরা সেক্টরে দুই দেশের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে গতকাল শনিবার বিকেলে। নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে হঠাৎই হামলা চালায় পাকিস্তানী সেনারা। পরে ভারতীয় সেনাবাহিনীও এর পাল্টা জবাব দেয়। মধ্যরাত পর্যন্ত হামলা-পাল্টা হামলা চলে বলে জানায়, স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো।
একই ঘটনা কাশ্মীরের পুঞ্চ সেক্টরেও। সেখানেও দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলির খবর মিলেছে। এ অবস্থায় দুই দেশের সীমান্ত থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হয়। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় নয়া দিল্লিতে দফায় দফায় বৈঠক করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এদিকে, কাশ্মীর জুড়ে নামানো হয়েছে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী। চলছে ব্যাপক ধরপাকড়।
এ অবস্থায় কাশ্মিরীদের অধিকার সুরক্ষায় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে। ভারত সরকার সাধারণ মানুষের ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা। পাকিস্তানের করাচিতেও ভারতের কাশ্মিরবাসীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ হয়। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে