
বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা ডেস্ক :ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে কোটা আন্দোলনকারীদের প্যানেলের ভিপি প্রার্থী নুরুল হক নুরু’র ওপর হামলা করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা করা হয়েছে।
এঘটনায় রোকেয়া হলের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।
সোমবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এঘটনা ঘটে।
নুরু ছাড়াও হামলায় আরও আহত হয়েছেন- স্বতন্ত্র জোটের প্রার্থী অরণী ও শ্রবণা শফিক দীপ্তি। মারধরে অজ্ঞান হয়ে পড়া নূরকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য প্যানেলের ডাকসুর সহ-সভাপতি পদপ্রার্থী লিটন নন্দীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে ‘ক্ষমতাসীন ছাত্র লীগের কয়েকজন কর্মী’ ধাওয়া দিয়েছেন।
রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা জানান, প্রায় এক ঘণ্টার পর রোকেয়া হলের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোট গ্রহণের কয়েক ঘণ্টা পর স্বতন্ত্র ও বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থী ও ছাত্রীরা তিনটি বাক্স নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে।
এর কিছুক্ষণ পর কোটা আন্দোলনকারীদের প্যানেলের ভিপি প্রার্থী নুরুল হক নুরু ঘটনাস্থলে আসেন।
এরপর ছাত্রলীগের ভিপি ও জিএস প্রার্থীও ঘটনাস্থলে আসেন। এসময় তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের নারী কর্মীরা নুরু’র ওপর হামলা করেন।
ডাকসুর ভিপি প্রার্থী লিটন নন্দীকে ধাওয়া
এদিকে প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য প্যানেলের ডাকসুর সহ-সভাপতি পদপ্রার্থী লিটন নন্দীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে ‘ক্ষমতাসীন ছাত্র লীগের কয়েকজন কর্মী’ ধাওয়া দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাস্থল থেকে আমাদের সংবাদদাতা জানান যে আজ (৩ মার্চ) সকাল পৌনে ১১টার দিকে বাম ছাত্র সংগঠনের নেতা লিটন নন্দীকে প্রথমে হল কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। পরে তিনি হলে ঢুকে নির্বাচনে কারচুপির বিষয়ে অভিযোগ তোলেন। এসময় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়।
সেসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
লিটন নন্দী বলেন, আমরা যখন মুহসীন হলের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে যাই তখন ছাত্রলীগ নেতা সানির নেতৃত্বে কয়েকজন শিক্ষার্থী আমাদের ধাওয়া করে। আমরা কেন্দ্রীয় সংসদের প্রার্থী হওয়া সত্ত্বেও আমাদেরকে হলে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। তারপর আমরা সেখান থেকে বের হয়ে প্রভোস্ট স্যারের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে ছাত্রলীগের লোকজন আমাদেরকে ধাওয়া করে।
সেসময় হলের প্রভোস্ট এবং নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন উল্লেখ করে লিটন আরও বলেন, হামলার যে সংস্কৃতি বিরাজমান রয়েছে তা থেকে আমরা আশঙ্কা করতে পারি যে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে না।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, রোকেয়া হলে নয়টি ব্যালটবাক্স আসার কথা থাকলেও ছাত্রীদের ছয়টি বাক্স দেখানো হয়েছে। আর তিনটি ব্যালটবাক্স হল সংসদ রুমে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। সেগুলো ছাত্রীদের দেখানো হচ্ছে না।