বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা ডেস্ক : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে তিনটি আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন কারান্তরীণ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত আইনি জটিলতায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি তিনি। তার নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টি এখনও অমীমাংসিত।
খালেদা জিয়া যে তিনটি আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন, সেগুলো হচ্ছে: বগুড়া-৬, বগুড়া-৭ ও ফেনী-১।
এসব আসনের একটিতে জয় পেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল বগুড়া-৬ (সদর) আসনে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিকল্পপ্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এই আসনে ফখরুল ধানের শীষ প্রতীকে ২ লাখ ৭ হাজার ২৭ ভোট পেয়েছেন নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মহাজোট প্রার্থী জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক লাঙল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪০ হাজার ২৬২ ভোট।
এদিকে বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম বাবলু বেসরকারিভাবে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। ট্রাক প্রতীকে তিনি পেয়েছেন, ১ লাখ ৮৯ হাজার ৩৮ ভোট। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী (ডাব) ফেরদৌস আরা খান মিনু পেয়েছেন ৬৪ হাজার ২৯২ ভোট। এছাড়া মহাজোট প্রার্থী জাতীয় পার্টির মুহম্মাদ আলতাফ আলী (লাঙ্গল) পেয়েছেন ২৬ হাজার ৫৪ ভোট।
এই আসনে খালেদা জিয়ার বিকল্পপ্রার্থী ছিলেন গাবতলী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও গাবতলী উপজেলা চেয়ারম্যান মোরশেদ মিল্টন এবং শাজাহানপুর উপজেলা চেয়ারম্যান সরকার বাদল। কিন্তু তারাও আইনি জটিলতায় প্রার্থী হতে পারেননি। ফলে আসনটি বিএনপি প্রার্থী শূন্য হয়।
পরে সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম বাবলুকে সমর্থন দেয় বিএনপি।
এছাড়া ফেনী-১ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন মহাজোটের প্রার্থী জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার।
শিরিন আখতার ২ লাখ ১ হাজার ৮১০ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী ধানের শীষের রফিকুল ইসলাম মজনু পেয়েছেন ২৫ হাজার ৬১৬ ভোট।
উল্লেখ্য, ফেনী-১ আসন থেকে আগে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন খালেদা জিয়া।
