Home আইন/আদালত পুলিশ কর্মকর্তাকে বঁটি দিয়ে কোপাল আসামির মা!

পুলিশ কর্মকর্তাকে বঁটি দিয়ে কোপাল আসামির মা!


বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা ডেস্ক : নওগাঁর আত্রাইয়ে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ধরতে গিয়ে আসামির স্বজনদের হামলায় এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ দু’জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার কালীকাপুর ইউনিয়নের মদনডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাতেই এস আই মুনির উদ্দিন বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন- উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের মদনডাঙ্গা গ্রামের রইচ উদ্দিনের ছেলে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি সোহেল রানা (২৫), তার মা সূর্য বিবি (৫২), বোন নাজমা খাতুন নাইচ (২৮) ও আঁখি আক্তার পাখি (২০)। আসামি ও আটককৃতদের বাড়ি একই এলাকায়।

জানা যায়, আত্রাই উপজেলা নারী ও শিশু নির্যাতন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থেকে উপজেলার মদনডাঙ্গা গ্রামের সোহেল রানার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। থানার ওসি মোবারক হোসেন মামলার দায়িত্ব দেন এএসআই মনির উদ্দিনের ওপর। বুধবার সকালে আসামি সোহেল রানাকে আটকের জন্য পুলিশ কনস্টেবল আজিজুল হককে সঙ্গে নিয়ে মদনডাঙ্গা গ্রামে যান মনির উদ্দিন। এ সময় সোহেলের বাড়ি থেকে সোহেলকে আটক করা হয়। ঘটনায় সোহেলের মা ও দুই বোন সোহলেকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। পরে সোহেলের মা ধারালো বঁটি দিয়ে মনির উদ্দিনের ওপর হামলা করেন।

এ সময় মনির উদ্দিনের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন। হামলায় মনির উদ্দিনের ডান বাহুসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরতর জখম হয়। তাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসা কনস্টেবল আজিজুল হকও আহত হন। পরে থানা পুলিশে সংবাদ দিলে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে আসামিসহ চারজনকে আটক করে।

আত্রাই থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোবারক হোসেন এ বিষয়ে বলেন, যৌতুকের মামলার আসামি ছিলেন সোহেল রানা। তাকে আটক করা হলেও তার স্বজনরা তাকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন এবং পুলিশের ওপর হামলা করে। পরে থানা থেকে পুলিশ গিয়ে আসামিসহ চারজনকে আটক করা হয়। সরকারি কাজে বাধাপ্রদান করায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং বৃহস্পতিবার সকালে তাদের নওগাঁ জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে।