অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে ‘মেলবোর্ন বাংলা স্কুল’ ও ‘মেলবোর্ন বাংলাদেশি কম্যূনিটি ফাউন্ডেশন’ এর উদ্যোগে ‘জাতীয় শহীদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালন করা হয়।
অতিথিবৃন্দ স্কুলের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, ও অভিভাবকদের নিয়ে অমর একুশে উপলক্ষে আয়োজিত শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন বাংলা স্কুলের শিক্ষক মিতা পারভিন এবং নাসিমা খান আর বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউট এবং আর এম আই টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী, চিত্রশিল্পী হাসিনা চৌধুরী মিতা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করে স্কুলের শিক্ষার্থী সুমাইয়া হক। এরপর ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণ করে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেলবোর্ন বাংলা স্কুলের অধ্যক্ষ ও মেলবোর্ন বাংলাদেশি কম্যূনিটি ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোল্লা মোঃ রাশিদুল হক।
এরপর অমর একুশের উপর এক প্রামান্য চিত্র দেখানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের মোরল্যান্ড সিটি কাউন্সিলের কাউন্সিলর স্যু বোল্টন। এছাড়া বক্তব্য রাখেন থাই ল্যাঙ্গুয়েজ স্কুলের প্রধান শিক্ষক নামটিপ ম্যুর। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মেলবোর্ন বাংলাদেশি কম্যূনিটি ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেস্টা ড. মাহবুব আলম, কৃষিবিদ মাহাবুবুর মোল্লা, জিপি ড. আবুল কাশেম, অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ ইসলামিক কাউন্সিলের প্রাক্তন সভাপতি আবু জাফর মোহাম্মাদ আলী, চিত্রশিল্পী হাসিনা চৌধুরী মিতা প্রমুখ।
এরপর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অস্ট্রেলিয়া এবং বাংলাদেশের সম্মিলিত জাতীয় সঙ্গীত ও অমর একুশের গান গেয়ে শোনায় মেলবোর্ন বাংলা স্কুলের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও অতিথি বৃন্দ। অনুষ্ঠানে থাই জাতীয় সঙ্গীত শোনায় থাই ল্যাঙ্গুয়েজ স্কুলের শিক্ষার্থী প্যাট্রিক, এবং কবিতা শোনায় আরেক শিক্ষার্থী। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ছড়া ও কবিতা আবৃত্তি করে ও গান গেয়ে শোনায় মেলবোর্ন বাংলা স্কুলের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবক বৃন্দ। তাদের মধ্যে সুমাইয়া হক, সাদ ইবনুল হক, মানহা মাহবুব, মানিভা মাহবুব, আরিশা বিনতে আফতাব, নেহান রানা, আরাশ রানা, নুসাইবা, আফরাজ, সুহাইলা, আবু বকর, আলীনা হক ও ফউজিয়া প্রমুখ।
এরপর শুরু হয় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। পুরস্কার বিতরণ করেন কাউন্সিলর স্যু বোল্টন। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় ছোটদের মধ্যে প্রথম হয় মানিভা, দ্বিতীয় হয় আলীনা, ও তৃতীয় হয় নুসাইবা। বড়দের মধ্যে প্রথম হয় আরিশা, দ্বিতীয় হয় সাদ এবং যুগ্মভাবে তৃতীয় হয় সুমাইয়া এবং মানহা। তাছাড়া চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সবাইকে সার্টিফিকেট ও বিভিন্ন পুরস্কার দেয়া হয়।
অনুষ্ঠান শেষে সবাইকে অনুষ্ঠানে আসার জন্যে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন মোল্লা মোঃ রাশিদুল হক। সার্বিক তত্তাবধানে ছিলেন মোল্লা মোঃ রাশিদুল হক, ড. মাহবুবুল আলম, মোঃ সাব্বির, মোঃ রাশেদ, মিতা পারভীন, জোবাইদা আলী, নাসিমা খান সহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠান শেষে সবাই একসাথে দুপুরের খাবার উপভোগ করেন।
