
২০১৯ সালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আংশিক কমিটি গঠন করা হয়েছিলো। পরের বছর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হলেও এখন পর্যন্ত ৭৫টি ওয়ার্ড ও ২৪টি থানার একটিতেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেননি মহানগরের নেতারা। তবে এসব থানা-ওয়ার্ডে নতুন করে কমিটি গঠনের জন্য শুরু হয়েছে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন। ইউনিট পর্যায়ে চলছে সম্মেলন। দক্ষিণ আওয়ামী লীগের এসব ওয়ার্ডে কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠনের জন্য মহানগরের নেতা ও থানা কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে যুক্ত করে গঠন করা হয়েছে টিম।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তিন মাসের মধ্যে দলের তৃণমূল গোছানোর কথা বলেছেন। এছাড়া দলের নেতাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু নির্দেশনাও দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে দলের গুরুত্বপূর্ণ এ ইউনিটের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা সঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির। পাঠকদের জন্য চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা: প্রায় ৬ মাস ধরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড পর্যায়ে ইউনিট পর্যায়ের সম্মেলন চলছে। এখন কোন অবস্থায় আছে?
হুমায়ুন কবির: ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ৭৫টি ওয়ার্ড ও ২৪টি থানা নিয়ে গঠিত। একেকটি ওয়ার্ডে ৫ থেকে ১০টি ইউনিট রয়েছে। সবমিলিয়ে এসব ওয়ার্ডে এক হাজারের বেশি ইউনিট রয়েছে। ওয়ার্ডের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন করতে কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠন করা হয়েছিলো। মহানগর ও থানা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সমন্বয়ে এসব টিম গঠন করা হয়। এসব টিমের নেতৃত্বে ওয়ার্ড পর্যায়ে সম্মেলনের মাধ্যমে ইউনিট পুনর্গঠনের কাজ চলছে। ইউনিট পর্যায়ে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম শেষ করে একেকটি ওয়ার্ডের সম্মেলন হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৯০ শতাংশ ওয়ার্ডের ইউনিট সম্মেলন শেষ হয়েছে। বাকি ইউনিটগুলোর সম্মেলন মে মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা: মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড পর্যায়ে হাইব্রিড-অনুপ্রবেশকারীদের দৌরাত্ন দেখা যায়। এসব রোধে কি করছেন?
হুমায়ুন কবির: আমরা ইউনিটের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের পরপরই ইউনিট কমিটি ঘোষণা করছি। ইউনিট সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, কোনো কোনো ইউনিটে সহ-সভাপতি ও যুগ্ম সম্পাদকও ঘোষণা করা হচ্ছে। এছাড়া ইউনিটগুলোতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে। কমিটিতে যোগ্য ও ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে। ইউনিট সম্মেলনে করা হচ্ছে যাতে করে দলে হাইব্রিড, অনুপ্রবেশকারীরা না ডুকতে পারে। হাইব্রিড-অনুপ্রবেশকারীদের দৌরাত্ন যাতে কমানো যায়, আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করছি।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা : ২০১৯ সালে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ওয়ার্ড ও থানা কমিটিগুলো এখনো পুরাতন কমিটিতে চলছে। নতুন কমিটি গঠন কার্যক্রম কবে নাগাদ হতে পারে?
হুমায়ুন কবির: মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের সাংগঠনিক কাজে কিছুটা ভাটা পড়েছিলো। করোনা পরিস্থিতি ঠিক হওয়ার পর আমরা ইউনিটগুলোর সম্মেলন শুরু করেছি। ইউনিটের সম্মেলন শেষ হলে আমরা মেয়াদোত্তীর্ণ ওয়ার্ড ও থানা কমিটি গঠনের কাজ শুরু করবো। আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল আগামী ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হতে পারে। আমরা ডিসেম্বরের আগেই মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ের সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন কার্যক্রম শেষ করতে চাই।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা : আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার কথা বলেছেন। আপনারা কি প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন?
হুমায়ুন কবির: ঢাকা মহানগর দক্ষিণে আটটি সংসদীয় আসন রয়েছে। এসব আসনে নৌকাকে বিজয়ী করাই আমাদের লক্ষ্য। ইউনিট পর্যায়ে সম্মেলনের মাধ্যমে আমাদের নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। আমরা সাধারণ মানুষের কাছে নির্বাচনের দাওয়াত পৌঁছে দিচ্ছি। তৃণমূলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদেরকে আমরা সুসংগঠিত করছি। সংগঠনকে সুসংগঠিত করার পাশাপাশি আমাদের নির্বাচনী প্রস্তুতিও চলমান আছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করার জন্য আমরা নিরলসভাবে কাজ করছি।