ক্যাম্পাস খবর

    Home ক্যাম্পাস খবর

    গৌরবোজ্জ্বল অতীত নিয়ে শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

    0

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি হলো আজ বৃহস্পতিবার। ১৯২১ সালের ১ জুলাই এই ভূখণ্ডের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে। শত বছরে দেশের এই শীর্ষ বিদ্যাপীঠের গৌরবের দিক অনেক। কিন্তু সেই মহিমা শেষভাগে এসে অনেকটাই ম্লান হয়ে গেছে।

    শুরুর দিকে জ্ঞানচর্চা, বিজ্ঞান ও সামাজিক গবেষণা, পাঠদানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল অগ্রণী। বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ, দার্শনিক, বিজ্ঞানী, সাহিত্যিকদের বড় অংশ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন, পড়িয়েছেন। ১৯৫২ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত এ দেশের সব গণ-আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক ভূমিকা ছিল অসামান্য।

    এখন সাবেক ও বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হলো, জ্ঞানচর্চা, গবেষণা ও পাঠদানের মানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যাশিত উন্নতি হয়নি। বরং অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়েছে। শিক্ষক ও ছাত্ররাজনীতি এখন দলীয় লেজুড়বৃত্তির দোষে দুষ্ট। বিভাগ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে, বিপরীতে মানের দিক দিয়ে অবনমন ঘটেছে। শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এসেছে বহুবার।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষের সংকট প্রবল। আবাসনসংকট প্রবল। খাবারের মান নিম্ন। হল নিয়ন্ত্রণ করে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন। তাদের হাতে শিক্ষার্থীদের নিগৃহীত হওয়ার অভিযোগ বহু বছরের। কিন্তু সেগুলোর সমাধান নেই, উদ্যোগও তেমন একটা চোখে পড়ে না। অবশ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার ব্যয় অনেক কম। সীমিত আয়ের ও গ্রামাঞ্চলের মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এই বিশ্ববিদ্যালয় বড় ভরসার জায়গা।

    শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে আপাতত বিশেষ কোনো অনুষ্ঠান নেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। করোনা পরিস্থিতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজ শুধু অনলাইনে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে ভাষাসৈনিক আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ: ফিরে দেখা’ শীর্ষক মূল বক্তব্য উপস্থাপন করবেন। অবশ্য শতবর্ষের মূল অনুষ্ঠান বর্ণাঢ্য ও জাঁকজমকপূর্ণভাবে আয়োজন করা হবে আগামী ১ নভেম্বর। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এ অনুষ্ঠান হবে, যেখানে রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

    ১৯২১ সালে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আলোচনা শুরু হয় বঙ্গভঙ্গ রদের পর। ঢাকা: স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী বইয়ে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন লিখেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বঙ্গভঙ্গ রদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে। পূর্ববঙ্গে মুসলমান মধ্যশ্রেণি বা পেশাজীবী শ্রেণি গড়ে তুলেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পূর্ববঙ্গ, পূর্ব পাকিস্তান ও বর্তমান বাংলাদেশের প্রশাসন, স্বাধীন পেশাজীবী, রাজনীতিবিদ—অধিকাংশই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

    ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যখন যাত্রা শুরু করে, তখন অনুষদের সংখ্যা ছিল তিনটি—কলা, বিজ্ঞান ও আইন। বিভাগ ছিল ১২টি—সংস্কৃতি ও বাংলা, ইংরেজি, শিক্ষা, ইতিহাস, আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজ, পার্সি ও উর্দু, দর্শন, অর্থনীতি ও রাজনীতি, রসায়ন, গণিত ও আইন। শুরুতে শিক্ষক ছিলেন ৬০ জন, শিক্ষার্থী ৮৭৭ জন।

    এখন বিভাগ দাঁড়িয়েছে ৮৪টিতে। ইনস্টিটিউট হয়েছে ১৩টি। শিক্ষক এখন ১ হাজার ৯৯২ জন ও শিক্ষার্থী ৩৭ হাজার ১৮ জন। ৫৬টি গবেষণাকেন্দ্র হয়েছে। তবে তেমন কোনো গবেষণা না থাকার যুক্তি তুলে ধরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমালোচনা বেশি হয়।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেবর বেশি বেড়েছে মূলত গত দুই দশকে। ২০০০ সালে বিভাগের সংখ্যা ছিল ৪৭, এখন তা ৮৪। এ সময়ে শিক্ষক বেড়ে হয়েছেন দ্বিগুণের বেশি। শিক্ষার্থী ছিলেন সাড়ে ২২ হাজার, যা ৩৭ হাজার ছাড়িয়েছে। এ সময়ে বিভিন্ন বিভাগে সান্ধ্য কোর্সসহ নানা ধরনের কোর্স খোলা হয়েছে, যা মূলত বাণিজ্যিক উদ্যোগ। শিক্ষকরাজনীতি, ছাত্ররাজনীতি, শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির প্রবণতাও মূলত শেষ তিন দশকের।

    আইন অনুযায়ী ‘স্বায়ত্তশাসিত’ হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মূলত দলীয় রাজনীতির নিয়ন্ত্রণেই পরিচালিত হয়। উপাচার্য পদে নিয়োগ হয় সরকারের পছন্দে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে নিয়োগ হয় সরকারপন্থী শিক্ষক সংগঠনের অনুগতদের। আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন থাকায় প্রশাসনিক সব পদেই এখন নীল দলের শিক্ষকেরা। বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় থাকাকালে পদগুলোতে ছিলেন সাদা দলের শিক্ষকেরা। দল ভারী করতে গিয়ে অপ্রয়োজনে বিভাগ খোলা ও শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ প্রবল।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কেউ কেউ মনে করেন, মানের দিক দিয়ে বাংলাদেশে সব ক্ষেত্রে যে অবনমন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার বাইরে নয়। তবে দেশে এখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ই এগিয়ে। গবেষণাপত্রের সংখ্যায় ও বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিংয়ে দেশের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ই সবার ওপরে থাকে। এর বিপরীত মত হলো, সব ক্ষেত্রে যখন অবনমন, তখন পথ দেখানোর ভূমিকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেই নিতে হবে। দেশের এখন দরকার শিক্ষার মান ও গবেষণায় উন্নতি। সেখানে এগিয়ে যেতে হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষক ও ইউজিসি অধ্যাপক হাসিনা খান, যিনি সম্প্রতি পাট থেকে নতুন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক তৈরির ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার করে সাড়া ফেলেছেন, তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুটা খুব ভালো ছিল, কিন্তু মাঝপথে আমরা হারিয়ে গেছি।’

    এই অধ্যাপক মনে করেন, উঁচু মানের শিক্ষক-গবেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছেন। তবে গবেষণায় জোর দেওয়া জরুরি। শিক্ষার্থীদের পড়ানোর মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বকে কী দিচ্ছে, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।

    এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ স্থগিত করেছে ঢাকা বোর্ড

    0

    ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ স্থগিত করা হয়েছে। রোববার নতুন এক ‘জরুরি বিজ্ঞপ্তি’তে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েচ্ছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

    করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে আটকে রয়েছে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফরম পূরণ। এর মধ্যে শুক্রবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এইচএসসির ফরম পূরণ শুরু হচ্ছে ২৯ জুন, চলবে ১১ জুলাই পর্যন্ত।

    এতে আরো বলা হয়েছিল, এইচএসসি পরীক্ষা ২০২১ উপলক্ষে কোনো নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। ফলে এ সংক্রান্ত কোনো ফি আদায় করা যাবে না। করোনা মহামারীর কারণে অনলাইনের মাধ্যমে ফরম পূরণ করতে হবে।

    ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষাসংক্রান্ত নিয়মাবলি সঠিকভাবে অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য দেশের সকল কলেজের অধ্যক্ষ ও সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল ওই বিজ্ঞপ্তিতে। এর একদিন পর রোববার ফরম পূরণ স্থগিত রাখার নির্দেশনা দেয় শিক্ষা বোর্ড।

    নতুন এই নির্দেশনা ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সংশ্লিষ্ট সকল কলেজ অধ্যক্ষ ও সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠিয়ে ফরম পূরণ সংক্রান্ত সব কার্যক্রম স্থগিত করতে বলা হয়েছে।

    বোর্ডের নতুন ‘জরুরি বিজ্ঞপ্তি’তে বলা হয়েছে

    ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এস এম আমিরুল ইসলাম সাক্ষরিত রোববারের জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই মর্মে এইচএসসি পরীক্ষা ২০২১-এর পরীক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে চলে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ কাযক্রম স্থগিত করা হলো। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সময়ে ফরম পূরণ কার্যক্রমের তারিখ ঘোষণা করা হবে।

    আবারও বাড়ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি

    0

    করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে প্রায় দেড় বছর ধরে। এ অবস্থায় আগামী ৩০ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও চলমান মহামারির প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় যথাসময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হচ্ছে না।

    এদিকে করোনার ঊর্ধ্বগতিতে সোমবার থেকে আসছে কঠোর লকডাউন। এ অবস্থায় ফের অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে যথাসময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা।

    শিক্ষামন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের হার ক্রমেই বাড়ছে। আজকেই (গতকাল) ২১ শতাংশের বেশি ছিল। ৫ শতাংশের নিচে না আসলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হচ্ছে না। ৩০ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সম্ভাবনা নেই। তবে পরিস্থিতি বুঝে শিক্ষামন্ত্রী সিদ্ধান্ত জানাবেন। এর জন্য কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে।’

    শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২৮ হাজার ২৪৭ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ২৭ হাজার ৬৫৩টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৯৩ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৪ লাখ ৬৩ হাজার ১১৯টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ।

    জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পরিস্থিতি খারাপ হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কোনো সুযোগ নেই। আমরা কাউকে ঝুঁকির মধ্যে দেখতে চাই না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে চলমান ছুটি আরও বাড়ানো হতে পারে।’

    অন্যদিকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেছেন, ‘সরকারের ঘোষিত তারিখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি আছে। সরকারের নির্দেশনা পেলেই প্রতিষ্ঠান খোলা যাবে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে পরিস্থিতির ওপর।’

    এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সোমবার থেকে সাতদিনের জন্য সারাদেশে কঠোর লকডাউন শুরু হচ্ছে। এসময় জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। জরুরি কারণ ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হতে পারবেন না। বিধিনিষেধের বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানিয়ে শনিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আদেশ জারি করা হবে।

    কঠোর লকডাউনের সময় জরুরি পণ্যবাহী বাহন ছাড়া সব ধরনের যানবাহনের চলাচল বন্ধ থাকবে। অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে ব্যববহৃত যানবাহন শুধু চলাচল করতে পারবে। গণমাধ্যম এ বিধিনিষেধের আওতামুক্ত থাকবে।

    ধান দিয়া কী হইবো মানুষের জান যদি না থাকে’

    0

    ‘ধান দিয়া কী হইবো মানুষের জান যদি না থাকে’
    চাঁদপুর সরকারি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার সময় আমাদের সময়কালে (১৯৮৭-৮৮) সৈয়দ ওয়ালি উল্লাহর ’লাল সালু’ উপন্যাস পাঠ্য সূচীর অন্তর্ভূক্ত ছিল এবং আমার শ্রদ্বেয় আবু ইসহাক স্যার পরম যত্নে খুব মজা করেই এ উপন্যাসটি আমাদের পড়াতেন। এমনভাবে রসিয়ে রসিয়ে আমাদের পড়াতেন যে আজ এত বছর পরেও তার বেশ কিছু কথা এখনও স্মৃতি পটে জাগরুক হয়ে আছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হল রহিমার সংলাপ “ধান ধান দিয়া কী হইবো মানুষের জান যদি না থাকে ” এবং “তুমি এত দয়ালু খোদা, তবু তুমি কি কঠিন” আর মজিদের সংলাপ “তোমার দাড়ি কই মিঞা” এবং “ কিন্তু যার অন্তরে খোদা রসূলের স্পর্শ লাগে না, তার কি আর দুনিয়াদারি ভালো লাগে”।

    এমনি আরো অনেক সংলাপে উপন্যাসটি ছিল অত্যন্ত সমৃদ্ধ। আমার আলোচনার উপজীব্য সে উপন্যাস নয়, শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি’র একটি সময়োপযোগী বক্তব্য নিয়ে। গত রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারা মুক্তি দিবস উপলক্ষে স্বপ্ন ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, “পরীক্ষা এক বছর না দিলে এমন কোনো বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে না।

    তিনি বলেছেন, আপনাদের সুস্থতা এবং জীবন আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যাপারে কি করা যায় আমরা সেগুলো নিয়েও ভাবছি। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না, ভুলপথে যাবেন না। নিজেরা নিজেদের বাড়ীতে সুস্থ থাকার চেষ্টা করুন, মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য কাজ করুন, কোনো খারাপ কিছুতে নিজেদের জড়িয়ে ফেলবেন না। ভয়ের কোনো কারণ নেই, পরীক্ষা দিতে হবে কি না সেটি পরের কথা। আমরা চাই আমাদের সন্তানরা সুস্থ থাকুক। পরীক্ষা এক বছর না দিলে জীবনে এমন কোনো বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে না”।

    আমি সরকার এবং শিক্ষামন্ত্রীর এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই তার এ বক্তব্যের সাথে একমত এবং সঠিক পদক্ষেপ বলেই মনে করি যদিও আমার সন্তানও আগামীতে এসএসসি পরীক্ষার্থী সেও দীঘ দিন ক্লাস থেকে বঞ্চিত। অনেকে হয়তো আমাকে ভুল বুঝতে পারেন, বিশেষ করে যারা বুঝে না বুঝে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলনে যুক্ত হচ্ছেন বা বিভ্রান্ত হচ্ছেন।

    কেননা কৃষ্ণ চন্দ্র মজুমদারের ভাষায় বলতে হয়ঃ-
    চিরসুখীজন ভ্রমে কি কখন
    ব্যথিত বেদন বুঝিতে পারে
    কী যাতনা বিষে, বুঝিবে সে কিসে
    কভূ আশীবিষে দংশেনি যারে।

    হ্যাঁ, আমি এবং আমার গোটা পরিবার ভূক্তভোগী, এ করোনায় মাত্র ৯ ঘন্টার ব্যবধানে আমি আমার বাবা-মাকে হারিয়েছি। করোনার ভয়াল থাবা আমাদের গোটা পরিবারকে অস্বস্থিকর করে তুলে। আজ এক বৎসর পার হলেও এখনও সংসারে স্বাভাবিকতা ফিরে আসেনি। বাড়েনি আত্মীয় স্বজনদের আনা গোনা। আপাতভাবে সবকিছু স্বাভাকি মনে হলেও দৈনিক মৃত্যুহারের সাথে জীবনের গতি প্রকৃতিও ছন্দ হারিয়ে ফেলে প্রতিনিয়ত যা আমরা যারা প্রতিদিন জীবন জীবিকার তাগিদে বাইরে বের হই তারা উপলদ্ধি করতে পারি। আর এখন করোনার যে ভারতীয় ভেরিয়্যান্ট বাংলাদেশে দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে তা খুবই ভয়ংকর বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। সুতরাং শিক্ষাকাল থেকে শিক্ষার্থীদের জীবন কালের গুরুত্ব প্রতিটি বাবা-মায়ের কাছে অবশ্যই অনেক বেশী যেমনিভাবে সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশী। কোন অভিভাবকই চাইবে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়তে গিয়ে তার সন্তান করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাক।

    আর যদি মাারা যায়ও তখন সব দায় ভার এসে সরকারের উপর বর্তাবে এবং সরকারও তখন এর দায় এড়াতে পারবে না । এখন যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে সরকারের সমালোচনায় মশগুল তারাও তখন গলা ছেড়ে সরকারের সমালোচনা করতে পিছ পা হবে না। এমনতো না যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখলে সরকারকে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বোনাস দিতে হচ্ছে না। অথচ সরকার শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ শিক্ষকদের বেতন-ভাতা, ঈদ বোনাস অবিরতভাবে সরকার দিয়ে যাচ্ছে এবং আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে। শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা মাথায় রেখেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।এতে সরকারের কোন লাভ নেই। সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রী ইতিমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনার পর বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হবে।

    অঅমরা দেখেছি জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর পরিশ্রম আর সুযোগ্য নেতৃত্বের গুনে করোনাকালের শুরু থেকে যেভাবে তিনি বিচক্ষনতা ও দক্ষতার সাথে করোনা মেকাবেলা করে আসছেন তা সত্যিই প্রসংশার দাবী রাখে। বিশেষ করে সীমিত সম্পদও সীমিত আয়তনের ভূখন্ডের এ দেশে আঠারো কোটি মানুষের জীবন জীবিকা অব্যাহতভাবে গতিশীল রেখে অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন কর্মকান্ড সমান তালে চালিয়ে নেয়ার যে নেতৃত্বগুন তিনি দেখিয়েছেন তা পৃথিবীতে বিরল। জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই এক সময়ের মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরী কিসিঞ্জার অবজ্ঞার সঙ্গে যে বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে অভিহিত করেছিলেন সেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত হয়েছে আরো উত্তরোত্তর অনেক দূও এগিয়ে যাবে।

    তাই বেঁচে থাকলে শিক্ষা-চাকরি, উদ্ভাবন সবকিছুই অর্জন সম্ভব হবে, শুধু সময়ের ব্যববধান ঘটবে। আর সে শিক্ষা অর্জন করতে গিয়ে যদি প্রাণে বেঁচে থাকাই দায় হয়ে দাঁড়ায় তাহলে সে শিক্ষা কি জীবনে আদৌ কোন মূল্য বা পরিপূর্ণতা বয়ে আনবে?

    লেখকঃ মোঃ আনোয়ার হাবিব কাজল
    সাংবাদিক ও কলাম লেখক
    সম্মানিত সদস্য, চাঁদপুর প্রেস ক্লাব।

    এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষা না হলে বিকল্প চিন্তা: শিক্ষামন্ত্রী

    0

    শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত আকারে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হলে বিকল্প চিন্তাও করা হচ্ছে।

    রোববার (১৩ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।

    শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসতে বাধ্য হই। এখনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি রয়েছে, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে স্কুল-কলেজ খুলে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা হবে।’

    দীপু মনি বলেন, ‘চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের উদ্বেগটা অনেক বেশি। আমরা চেষ্টা করছি, সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে তাদের পরীক্ষা নেওয়ার। যদি সেটা সম্ভব না হয় তবে বিকল্প চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। এজন্য আমরা বিকল্প পদ্ধতিতে শিক্ষাব্যবস্থা চালিয়ে যাচ্ছি। টিভি, অনলাইন ও অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করার সুযোগ পাচ্ছে।’

    শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘পরীক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। তোমরা বাসায় বসে নিয়মিত পড়ালেখা করে সিলেবাস শেষ করবে। তোমাদের সুস্থ থাকতে হবে। জীবন থেকে এক বছর চলে গেলেও কিছু হবে না, তার চাইতে সুস্থ থাকাটা বড় বিষয়।’

    তিনি বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষা ব্যবস্থার যে ক্ষতি হচ্ছে তা কাটিয়ে উঠতে নানা পদক্ষেপ হাতে নেওয়া হচ্ছে।’

    নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির নবাগত শিক্ষার্থীদের সামার ২০২১ সেমিস্টার এর ভার্চুয়াল ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত

    0

    বেসরকারী পর্যায়ে উচ্চ শিক্ষার পথপ্রদর্শক এবং বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মাঝে র্যাংকিং এ প্রথম স্থান অর্জনকারী নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সামার ২০২১ সেমিস্টারের নবাগত শিক্ষার্থীদের ভার্চুয়াল ওরিয়েন্টেশন আজ ১২ জুন অনুষ্ঠিত হয়। উচ্চ শিক্ষার শুরুতেই বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পরিচিতি অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল ভাবে অংশ নেয় নবীন শিক্ষার্থীরা। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি অনুষদের ১৬টি বিভাগে স্নাতক (সম্মান) কোর্সে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে বারশত এর অধিক শিক্ষার্থী। ভার্চুয়াল ওরিয়েন্টেশন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ এ সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
    নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন, এম. পি.। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপাতি জনাব এম. এ. কাশেম। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য, জনাব আজিম উদ্দিন আহমেদ, জনাব বেনজীর আহমেদ এবং জনাব তানভীর হারুন।
    প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন, এম. পি. বলেন, তোমরা তরুণ শিক্ষার্থীরা খুবই ভাগ্যবান, কারণ তোমরা দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছ। এটি একটি মানসম্মত প্রতিষ্ঠান এবং সম্ভবত দেশের প্রথম প্রতিষ্ঠান যা বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, এটি প্রথম থেকেই খুব উচ্চ স্তরের শিক্ষার মান বজায় রেখেছে এবং এই বিশ্ববিদ্যালয় এর স্নাতকদের বেশিরভাগই চাকুরির বাজারে ভাল স্থান দখল করে নিয়েছে। এটি এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা প্রমান করে, যদি ইচ্ছা থাকে তবে উপায় হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা যদি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হও তবে তোমরা জীবনে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে পারবে। তিনি আরও বলেন, আমরা বই থেকে শিখি, শিক্ষকদের কাছ থেকে শিখি, সহকর্মী, বন্ধুবান্ধব এবং পরিবার থেকে শিখি। তিনি শিক্ষার্থীদের নেটওয়ার্কিংয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়ার জন্য বলেন যা তাদের ক্যারিয়ারে দক্ষ হতে সহায়তা করবে। পড়াশোনা হল ভবিষ্যতের একটি পাসপোর্ট এর মত , যদি তোমরা শিখ তবে তোমরা জীবনে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে পারবে। আগামীকাল তাদের জন্য যারা আজ তার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তোমরা এনএসইউতে অধ্যয়ন করার একটি ভাল সুযোগ পেয়েছেন, তোমরা যখন এখানে পড়াশুনা করবে তখন তোমরা সময় নষ্ট করবে না। আমি আনন্দিত, এনএসইউ, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ নিয়ে গবেষণা করছে। তিনি অনুষদ সদস্য এবং অন্যান্যদের এগিয়ে নিবন্ধ লেখা এবং বই প্রকাশ করতে এগিয়ে আসতে বলেন। তিনি আরও বলেন, আমি আশা করব এনএসইউ অনুষদ সদস্যরা একাডেমিক গবেষণার পাশাপাশি দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গবেষণা করবে এবং প্রকাশ করবে।

    নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান জনাব এম. এ. কাশেম বলেন, আমরা করোনা মহামারির মধ্যেও ইউনিভার্সিটির সকল ক্লাস অনলাইনে সফল ভাবে পরিচালনা করে আসছি এবং এসব অনলাইন ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ৯৩% এর মত যা স্বাভাবিক সময় এর থেকে ও বেশি। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাতে এপর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের ১৩০০ জন শিক্ষার্থীদের বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযোগ প্রদান করেছে। এনএসইউ প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে অদ্যাবধি শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহযোগিতা হিসেবে ১৫০ কোটি টাকা প্রদান করেছে। আমরা কোভিড অনুদান হিসেবে শিক্ষার্থীদের বিগত তিন সেমিস্টারে প্রায় ৮২ কোটি টাকা প্রদান করেছি। শিক্ষা একটি জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষিত জাতি ছাড়া সুন্দর ও প্রগতিশীল দেশ গঠন করা সম্ভব নয়। শিক্ষা একটি জাতির মধ্যে মূল্যবোধ গড়ে তোলে, মানবতার বিকাশ ঘটায়। এ জন্য, একটি দেশের উন্নয়নের জন্য, সর্বাধিক মনোযোগ শিক্ষাক্ষেত্রে দেওয়া প্রয়োজন। বর্তমানে স্বাস্থ্য খাতের পর সরকার সবচেয়ে বড় বাজেট শিক্ষা খাতে দিয়েছে। আমি মনে করি এটি খুব সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। এনএসইউ এর উদ্দেশ্য হল জ্ঞানের অগ্রগতি সাধন করা, যা একটি নিরাপদ এবং আরামদায়ক শিক্ষার পরিবেশ ব্যতীত সম্ভব নয়। সে লক্ষ্যেই এনএসইউ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা বোধ তৈরিতে বদ্ধপরিকর। এসময় এনএসইউ এর উপর আস্থা রাখার জন্য তিনি অভিভাবকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং নবাগত শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানান।

    নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম বলেন, আমি জানি, শিক্ষার্থীরা সবথেকে জ্ঞানী ও দক্ষ শিক্ষকদের কাছ থেকে শিখতে চায়, আমি তোমাদের নিশ্চিত করে বলতে পারি, এনএসইউ সবচেয়ে যোগ্য এবং সবচেয়ে যত্নশীল আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষকবৃন্দ যারা শিক্ষার্থীদের পরম যত্নের সাথে শিক্ষা প্রদান করে। এনএসইউ প্রোগ্রামগুলো জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত। সমস্ত র্যাংকিং এ এনএসইউ শীর্ষে রয়েছে। আমাদের বিজনেস স্কুল কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের শীর্ষ বিজনেস স্কুলগুলির তালিকায় ৩৫১-৪০০ মধ্যে রয়েছি। আমরা অনেক নামী প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথভাবে গবেষণা করি। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সর্বশেষ তথ্য মতে, আমাদের মোট গবেষণার সংখ্যা শীর্ষ নয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বমোট গবেষণার সংখ্যা থেকে বেশি। অনলাইন ক্লাস ও পরীক্ষা পরিচালনা এর ক্যানভাস সফটওয়্যার চালুর মাধ্যমে আমরা সেরা শিক্ষাগত প্রযুক্তি ব্যাবহারে ও দেশের প্রথম প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীরা একটি ভাল চাকরির জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে, এনএসইউর স্নাতকরা ১০০ ভাগই চাকুরির বাজারে ভাল অবস্থানে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, গ্র্যাজুয়েট এমপ্লয়বিলিটি র্যাঙ্কিংয়ে এনএসইউ গোটা বিশ্বের মধ্যে শীর্ষ ৫০০ এর তালিকায় স্থান পেয়েছে।
    ভার্চুয়াল ওরিয়েন্টেশন এ অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য, চার অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান/পরিচালক, শিক্ষকবৃন্দ এবং কর্মকর্তাবৃন্দ। এছাড়াও ভার্চুয়াল ওরিয়েন্টেশটি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ সরাসরি সম্প্রচার এর মাধ্যমে সংযুক্ত ছিলেন বিপুল সংখ্যক অভিভাবক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ

    নর্দান ইউনিভার্সিটির সঙ্গে উত্তরা রেসিডেন্সিয়াল কলেজ এর সমঝোতা চুক্তি

    0

    প্রশিক্ষণ, উচ্চশিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর সঙ্গে এক সমঝোতা চুক্তি সই করেছে উত্তরা রেসিডেন্সিয়াল কলেজ।
    ১২ জুন ২০২১, এয়ারপোর্ট সংলগ্ন, নর্দান ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস, আশকোনায় এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

    চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন,
    উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম,
    বিজনেস বিভাগের প্রধান ড. মোহাম্মদ মাসুকুজ্জামান ও টেক্সটাইল বিভাগের প্রধান জনাব তানজিম হোসেন।

    অনুষ্ঠানে উত্তরা রেসিডেন্সিয়াল কলেজ এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন কলেজের চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব হোসেন ও প্রিন্সিপাল আব্দুল সাত্তার খান।

    এই চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ও মেনটোরস এডুকেশন লি:
    এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ সুসম্পর্ক গড়ে উঠার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ট্রেনিং ও দক্ষতা উন্নয়নে সহযোগীতার আশা ব্যক্ত করেন।
    শিক্ষা সংক্রান্ত নানা বিষয়ে একত্রে কাজ করার জন্য দু’পক্ষ ইতিবাচক আলোচনা করে।

    জাবিতে ৬ শিক্ষক নিয়োগ বন্ধে রিট

    0

    জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের নতুন ছয় শিক্ষক নিয়োগ বন্ধে হাইকোর্টে রিট করেছেন একই বিভাগের চার শিক্ষক। পাশাপাশি নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর লিগ্যাল নোটিশও পাঠানো হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার চার শিক্ষকের পক্ষে হাইকোর্টে রিট করেন অ্যাডভোকেট ড. সৈয়দা নাসরিন।

    ড. সৈয়দা নাসরিন বলেন, ‘আদলতে রিট ফাইল হয়েছে। রিট নং- ৫২৯৬। আগামী সপ্তাহ নাগাদ রিটের শুনানি হবে বলে আশা করছি।’

    রিটকারী শিক্ষকরা হলেন অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান, আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া, আবদুছ ছাত্তার ও সহকারী অধ্যাপক জাকির হোসেন।

    এ ছাড়া নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন এবং দর্শন বিভাগের সভাপতিকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান ড. সৈয়দা নাসরিন। দর্শন বিভাগের আটজন শিক্ষকের পক্ষে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়।

    বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি দর্শন বিভাগে ছয়জন প্রভাষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এই ছয় পদের বিপরীতে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেবেন ৫৭ জন প্রার্থী। শনিবার অনলাইনে তাদের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

    এর আগে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসির চেয়ারম্যান বরাবর নিয়োগ বন্ধে লিখিত আবেদন করেন ওই আট শিক্ষক।

    লিখিত আবেদনে বলা হয়, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বিভাগীয় শিক্ষা পর্ষদের সভা আহ্বানের ‘নীতি লঙ্ঘন’ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিভাগের সভাপতি তার ‘পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ’ দেয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বিভাগীয় নীতি লঙ্ঘন করেছেন।

    আবেদনে আরো বলা হয়, এক বছরের বেশি সময় ধরে সরাসরি ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। নানা কারণে ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসের বাইরে আছেন। এমন পরিস্থিতিতে ছয়জন শিক্ষক নিয়োগ শুধু অপ্রয়োজনীয়ই নয় বরং দূরভিসন্ধিমূলক।

    এ সব বিষয়ে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে কোন আলোচনা হয়নি। এভাবে শিক্ষক নিয়োগের ঘটনা বিভাগে নজিরবিহীন। অনলাইনে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে কোন নীতিমালা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই। এ ছাড়া প্রকাশিত শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে অনলাইনে পরীক্ষার বিষয়টি উল্লেখ নেই। এ রকম অস্পষ্টতার মধ্যে শিক্ষক নিয়োগ হতে পারে না।’

    অভিযোগের বিষয়ে দর্শন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোস্তফা নাজমুল মানছুর বলেন, ‘২০১১ সালের পর থেকে বিভাগে কোনো শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন অবসরে এবং শিক্ষা ছুটিতে গিয়েছেন। ফলে বর্তমান কর্মরত শিক্ষকের সংখ্যা ১৭ জন। এই সংখ্যক শিক্ষক দিয়ে পাঠদান সম্ভব নয় বলেই নতুন করে চাহিদার কথা জানানো হয়।’

    এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) রহিমা কানিজকে ফোনে কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

    কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোজাম্মেল হক বলেন, ‘বিভাগটিতে এখন দুইটি পক্ষ আছে। আমার জন্য এখানে বিষয়টিতে পক্ষ-বিপক্ষ নেয়া খুব কঠিন। আর বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে ডিনের কোনো ভূমিকা থাকে না। যেহেতু বিষয়টি প্রশাসনিক, প্রশাসন বিষয়টি দেখবে।’

    বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় দেশের চার বিশ্ববিদ্যালয়

    0

    যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডস (কিউএস) বিশ্বসেরা ১ হাজার ৩০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। সে তালিকায় স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের চারটি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।

    বিশ্ববিদ্যায়গুলো হলো-বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। র‍্যাঙ্কিংয়ে বুয়েট) ও ঢাবি ৮০১-১০০০তম অবস্থান রয়েছে। এ নিয়ে টানা ৪র্থ বার কিউএস র‍্যাঙ্কিংয়ে ৮০১-১০০০তম অবস্থানে জায়গা পেল বিশ্ববিদ্যালয় দুটি।

    এবার এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে প্রথমবারের মতো স্থান করে নিয়েছে আরও দুটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এ দুটি হল ব্র্যাক ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। তালিকায় তাদের অবস্থান ১০০১-১২০০ এর মধ্যে।

    কিউএসের প্রকাশিত সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকাকে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য র‍্যাঙ্কিংগুলোর একটি মনে করা হয়। প্রতিবছরের এই সময়ে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংস প্রকাশ করে কিউএস।

    এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার সংস্থাটির ওয়েবসাইটে ‘কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংস ২০২২’ শীর্ষক বিশ্বসেরা ১ হাজার ৩০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

    ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ছাত্রলীগের শ্রদ্ধা

    0

    নিজস্ব প্রতিবেদক:

    ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবসে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে ছাত্রলীগ।

    সোমবার (৭ জুন) ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে এ শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

    ১৯৬৬ সালে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের লাহোরে আইয়ুব সরকার বিরোধী দলগুলোর সর্বদলীয় জাতীয় সংহতি সম্মেলন হয়। সম্মেলনে যোগ দিয়ে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান, দীর্ঘদিনের অন্যায়, অবিচার, বৈষম্যের বিরুদ্ধে ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন। এই দাবি উপস্থাপিত হওয়ার পর বিরোধী এই সম্মেলনে ন্যাপসহ প্রতিটি দল ছয় দফা দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেন। উপায়ান্তরবিহীন অবস্থায় শেখ মুজিবুর রহমান দলবলসহ সম্মেলন ত্যাগ করেন।

    এতো কিছুর পরেও হতাশ হননি শেখ মুজিব। লাহোর থেকে ফিরেই ছয় দফা বাস্তাবায়নে দুর্বার আন্দোলনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেন তিনি। তুলে ধরেন ছয়দফার যৌক্তিকতা। বাঙ্গালীর স্বাধীনতাসহ শাসনতান্ত্রিক কাঠামো, রাষ্ট্রের প্রকৃতি ও সার্বভৌম ক্ষমতার দাবির এ আন্দোলন সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। এই আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে ১১ জন শহীদ হন। গ্রেফতার করা হয় বঙ্গবন্ধুকে।

    বঙ্গবন্ধু যখন জেলে তার বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা করে পাকিস্তানি সরকার। তবে সব বাধা ডিঙিয়ে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, আপামর মানুষের প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু ঠিকই বাংলার মানুষের হাজার বছরের কাঙ্খিত স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। ছয়দফা ছিল সেই মুক্তি অর্জনের প্রথম ধাপ।

    0FansLike
    0FollowersFollow
    0SubscribersSubscribe