Home আইন/আদালত যেভাবে হলি আর্টিজানে হামলা করেন শরিফুল

যেভাবে হলি আর্টিজানে হামলা করেন শরিফুল


বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা ডেস্ক : শরিফুল তার আমিরের নির্দেশে রাজশাহী বিদ্যালয়ের অধ্যাপককে হত্যা করে আত্মগোপনে চলে যায়। ঠিক তার তিন মাস পর গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলা করে। ওই হামলার পর সে ফের আত্মগোপনে চলে যায়।

শনিবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খান। এর আগে শুক্রবার (২৫ জানুয়ারী) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থেকে শফিকুলকে আটক করে র‌্যাব-৫।

মুফতি মাহমুদ বলেন, রাজশাহী বিদ্যালয়ে (রাবি) অধ্যয়নরত অবস্থায় সহপাঠী শোভনের মাধ্যমে জঙ্গিবাদে জড়ায় শরিফুল ইসলাম ওরফে খালিদ (২৭)। তারপর ২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল সংঘবদ্ধ হয়ে রাবি’র ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক ড. রেজাউল করিমকে হত্যা করে। সেই মামলার মৃত্যুদণ্ড আসামি সে। তার কয়েক মাস পরই গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলার পরিকল্পনায় প্রধান ভূমিকায় ছিলেন শরিফুল। ফের আত্মগোপনে গিয়ে ২০১৭ সালের অক্টোবরে সে প্রকাশ্যে এসে আবারো জঙ্গিদের সুসংগঠিত করার চেষ্টা করে।

উদ্দেশ্য ছিল দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা। কিন্তু তার এসব পরিকল্পনা র‌্যাব ভেঙ্গে দিতে শুরু করলেও সে খুব চালাক হওয়ায় নিজেকে এতোদিন আত্মগোপনে রেখেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ধরা পড়লো।

তিনি আরও বলেন, শরিফুল অধ্যাপককে হত্যার পর আত্মগোপনে থেকে গত সপ্তাহে গ্রেপ্তার অপর জঙ্গি নেতা রিপন সহ মধ্যপ্রাচ্য থেকে ৩৯ লাখ টাকা সংগ্রহ করেছিল হলি আর্টিজান হামলার জন্য। তবে সেসব টাকা কারা দিয়েছিল সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি র‌্যাব কর্মকর্তা। এ বিষয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

শরিফুলের জন্ম রাজশাহী জেলার বাগমারা এলাকায়। সে বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং রাজশাহী সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করার পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজী বিষয় নিয়ে অনার্সে ভর্তি হয় ২০১০-১১ সেসশনে। এরপর সেখানে তিন বছর পড়াশুনার পর সে জঙ্গিবাদে জড়ায় তার অপর সহপাঠী শোভনে মাধ্যমে।

গ্রেপ্তার শরিফুলের বরাত দিয়ে মুফতি মাহমুদ বলেন, ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি নেতাদের শূন্যস্থান পূরণ করতে নব্য জেএমবি সদস্যরা পুনরায় সুসংগঠিত হবার চেষ্টা করছে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন অঞ্চলের বেশ কয়েকজন জঙ্গি সদস্য একত্রিত হয়েছে। এমনকি এরই মধ্যে তারা হিজরত করার জন্য বাসা থেকে বের হয়েছে। তবে এই আইএস মতাদর্শী জঙ্গি সদস্যদের সম্পর্কে আমাদের কাছে যে তথ্য রয়েছে তাতে জানা গেছে, এদের সঙ্গে একজন নারী সদস্যও আছে।

‘পলাতক জঙ্গিরা সুযোগ সুবিধা অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। তারা বিভিন্ন নাশকতার পরিকল্পনা করছে। তবে তাদের উপর আমাদের কঠোর নজরদারি আছে। আমরা অতি দ্রুত তাদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। তার ধারাবাহিকতায় গত কয়েক দিনে বেশ কয়েকজন জঙ্গি সদস্যদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। এ ধারা অব্যাহত রয়েছে’- বলেন মুফতি মাহমুদ খান।