Home ব্রেকিং পাউবো’তে হচ্ছেটা কি? ৯৮% টাকা অপচয় করেও পাউবো’র ‘গ্রেট দুর্নীতিবাজ’ বহাল তবিয়তে...

পাউবো’তে হচ্ছেটা কি? ৯৮% টাকা অপচয় করেও পাউবো’র ‘গ্রেট দুর্নীতিবাজ’ বহাল তবিয়তে ॥ খুটির জোরে নতুন ডাকাতির ছক চূড়ান্ত ॥ দুদক খতিয়ে দেখছে-


বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা ডেস্ক :পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ও মাননীয় উপমন্ত্রী যখন পাউবোকে গতিশীল করতে নদী থেকে নদীতে ছুটে বেড়াচ্ছেন- প্রত্যেকটি কাজের ব্যাপারে সম্যক ধারণা নিয়ে তাৎক্ষণিক নির্দেশ প্রদান করে সরকারের ইমেজ বৃদ্ধি করছেন। সম্মানিত সচিব কবীর বিন আনোয়ার নতুন প্রকল্প গ্রহণ ও চলমান প্রকল্প বাস্তবায়নের যখন আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন ঠিক তখন পাউবো’র ‘গ্রেট দুর্নীতিবাজ’হিসেবে চিহ্নিত একজন অফিসার দুর্নীতির ছক একে প্রকাশ্যেই লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছে। পাউবো’র সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিকট তিনি ‘গ্রেট দুর্নীতিবাজ’ হিসেবে পরিচিত। দুর্নীতির আলো-আঁধারে তার আসল নাম ঢাকা পড়েছে অনেক আগেই। চাকুরী জীবনের প্রতিটি পোস্টিং দুর্নীতির খাতিরে অতি লোভনীয়। তার লোভের আগুনে সব কিছু হারিয়েছেন সিরাজগঞ্জ, বগুড়া আর কুড়িগ্রামের মানুষ। বিপরীতে তার সম্পদের পাহাড় ক্রমেই আরো স্ফীত হয়েছে। প্রতিটি পোস্টিং-এর বিপরীতে খরচ করেছেন অজস্র মুদ্রা যা দুর্নীতির মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকেই অবৈধভাবে অর্জিত। কুড়িগ্রামে থাকাকালে তিনি জরুরী কাজ এবং প্রকল্পের কাজের এডিশনাল ডাম্পিং থেকে ৯৮.৪১% টাকা আত্মসাত করেছেন যা পাউবো’র প্রধান প্রকৌশলী (মনিটরিং) কাজী তোফায়েল হোসেনের রিপোর্টে স্পষ্টভাবে সংরক্ষিত আছে। এই প্রতিবেদন অনুযায়ী তার চাকুরী হারিয়ে জেলের ভাত খাওয়ার কথা থাকলেও তিনি আছেন বহাল তবিয়তে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সবচেয়ে সংবেদনশীল ডিভিশন সিরাজগঞ্জে বর্তমানে তিনি গদীনশীন। সিরাজগঞ্জে বর্তমান পদে যোগদানের আগেই তিনি পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটে ইতিমধ্যেই সম্পৃক্ত করেছেন অতি প্রভাবশালীদের আত্মীয়-স্বজনকে যারা তার গদি টিকিয়ে রাখার অতিরিক্ত দায়িত্বে নিয়োজিত। সিরাজগঞ্জে যোগদানের প্রয়োজনে এই চক্রকেই ব্যবহার করেছেন তিনি। পোস্টিং পেতে খরচ করেছেন বিপুল পরিমান টাকা। সিরাজগঞ্জে পোস্টিং পেতে তদ্বিরের সময় তিনি বলেছেন, তিনি বুয়েট ছাত্রলীগের বড় নেতা ছিলেন। অথচ খোজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি ছাত্রলীগের নেতা তো দূরে থাক সমর্থকও ছিলেন না।

সূত্রমতে, বগুড়ায় দায়িত্ব পালনকালে তার দুর্নীতিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন বগুড়ার তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম সরকার (বর্তমানে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী) এবং তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এ, কে এম মমতাজউদ্দিন (পরে ডিজি পদ থেকে অবসরপ্রাপ্ত)। তারা শেষ পর্যন্ত তাকে কাজ থেকে প্রায় সাত মাস বিরত রাখতে বাধ্য হয়েছিলেন। সিরাজগঞ্জে দায়িত্ব পালনকালে তার দুর্নীতির কারণে অনেক প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল যা আজও পাউবো’র সিনিয়র অফিসারদের মুখে মুখে সরস গল্প আকারে পরিবেশিত হয়। কিন্তু এই সব কিছুকে ছাপিয়ে প্রভাবশালীদের আত্মীয়-স্বজনদের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে সিরাজগঞ্জে আসতে সক্ষম হয়েছেন। পাউবো প্রশাসন এই প্রকৌশলীর উপরে অত্যন্ত বিরক্ত হলেও শুধুমাত্র খুটির জোর অত্যন্ত শক্ত থাকায় কোন ব্যবস্থা নিতে পারছেন না।

অভিজ্ঞমহল মনে করেন, আসন্ন বর্ষা মৌসুমে এই অফিসারের দুর্নীতির কারণে সিরাজগঞ্জ আবার যেন ভাঙ্গনের শিকার না হয় সেই লক্ষ্যে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ অত্যাবশ্যক। ভুক্তভোগীমহল এ ব্যাপারে দুদক, এনএসআই, ডিজিএফআই, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সর্বোপরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।