Home ঢাকা ক্যাম্পাস ‘৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে কি কি ঘটেছিলো তা ঠিক করে দিচ্ছে সরকার’

‘৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে কি কি ঘটেছিলো তা ঠিক করে দিচ্ছে সরকার’


জাবি প্রতিনিধি : ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে কি কি ঘটেছিলো এবং সেটা কিভাবে বলতে হবে তা ঠিক করে দিচ্ছে সরকার বলে মন্তব্য করেছেন তেল গ্যাস খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।

রোববার (১০ মার্চ) বিকেল সাড়ে তিনটায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ইতিহাস বিভাগে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন Inspire Care & Cultivate Human Aid (ICCHA /ইচ্ছা)’র আয়োজনে ‘প্রজন্মের মুক্তিযুদ্ধ ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ, বিপ্লবে বা যে কোন ঘটনাকে কিভাবে দেখবো অথবা কিভাবে বলবো সেটার ব্যাখ্যা কখনো ফরমায়েশ ভাবে দিয়ে হয় না। উপর থেকে নির্দেশ আসলো আর সেভাবে ইতিহাস লিখতে হবে এটার মাধ্যমে ইতিহাস চর্চা হয় না। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গবেষণা এবং তার থেকে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সময়ের সামগ্রিক শক্তি অর্জন করার ক্ষেত্রে একটা বড় ধরনের আশংকা আমি করছি। সেটা হচ্ছে একটা চেষ্টা লক্ষ্যে করা যাচ্ছে যে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ কি কি ঘটেছিলো এবং সেটা কিভাবে বলতে হবে তা ঠিক করে দিচ্ছে সরকার। সরকার যেভাবে ঠিক করে দিবে সেভাবেই বলতে হবে। তার বাইরে কিছুই বলা যাবে না। এটা জ্ঞান চর্চা এবং সৃজনশীলতার পিছনে একটা বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হলো তেমন একটা সমাজ প্রতিষ্ঠা যেখানে সাম্য, মানবিকতা ও ন্যায়বিচার থাকবে। সেক্ষেত্রে আমাদের দেখতে হবে কতটুকু সাম্য, মানবিকতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হলো। যদি প্রতিষ্ঠিত না হয়ে থাকে তবে সেই চেতনাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। চিন্তা প্রকাশের স্বাধীনতা হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। যখন কেউ চিন্তাপ্রকাশের স্বাধীনতাকে কেড়ে নিবে বুঝতে হবে সে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী লোক।’

তিনি আরো বলেন, ‘উন্নয়নের নামে নদী, বন ও ব্যাংক শেষ করে দেওয়া হচ্ছে। আর এসবের সুবিধা নিচ্ছে কতিপয় মানুষ। গণ-বিরোধী এসব কাজ হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী কাজ।

সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাবির প্রতœতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম শাহনাওয়াজ, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তারেক রেজা, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আরিফা সুলতানা, সহযোগী অধ্যাপক আবু তোয়াব শাকির এবং প্রভাষক নাসিমা হামিদ।