Home খেলাধূলা ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে নিউজিল্যান্ড

ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে নিউজিল্যান্ড


৯২ রানে ৬ উইকেট হারানো ভারত সপ্তম উইকেটে পেল ১১৬ রানের অসাধারণ জুটি। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুলদের ব্যর্থ হওয়ার দিনে রবীন্দ্র জাদেজা খেললেন অনবদ্য এক ইনিংস। তাকে সঙ্গ দিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তারপরও শেষ হাসি হাসতে পারল না ভারত। জাদেজার ঝড় থামিয়ে, ধোনিকে বিদায় করে ফাইনালের টিকিট পেল নিউজিল্যান্ড।
বৃষ্টির কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া ভারত ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনাল রিজার্ভ ডেতে অর্থাৎ বুধবার (১০ জুলাই) ফের মাঠে গড়ানোর পর দেখা মিলল টানটান উত্তেজনার একটি ম্যাচ। ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে বিরাট কোহলিদের ১৮ রানে হারিয়ে ফাইনালে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করল কেন উইলিয়ামসনের দল।
নিউজিল্যান্ডের ৮ উইকেটে ২৩৯ রানের জবাবে ৪৯.৩ ওভারে ভারতের ইনিংস থামে ২২১ রানে। ১৮ রানের জয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে গেল কিউইরা। ভারতের হয়ে জাদেজা করেন সর্বোচ্চ ৫৯ বলে ৭৭ রান। ধোনির ব্যাট থেকে আসে ৭২ বলে ৫০ রান। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ম্যাট হেনরি ৩ উইকেট নেন ৩৭ রানে। ম্যাচসেরাও হয়েছেন এই পেসার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউজিল্যান্ড: ২৩৯/৮ (৫০ ওভারে) (গাপটিল ১, নিকোলস ২৮, উইলিয়ামসন ৬৭, টেইলর ৭০, নিশাম ১২, ডি গ্র্যান্ডহোম ১৬, ল্যাথাম ১০, স্যান্টনার ৯*, হেনরি ১, বোল্ট ৩*; ভুবনেশ্বর ৩/৪৩, বুমরাহ ১/৩৯, হার্দিক ১/৫৫, জাদেজা ১/৩৪, চাহাল ১/৬৩)
ভারত: ২২১ (৪৯.৩ ওভারে) (রাহুল ১, রোহিত ১, কোহলি ১, পান্ত ৩২, কার্তিক ৬, হার্দিক ৩২, ধোনি ৫০, জাদেজা ৭৭, ভুবনেশ্বর ০, চাহাল ৫, বুমরাহ ০*; বোল্ট ২/৪২, হেনরি ৩/৩৭, ফার্গুসন ১/৪৩, ডি গ্র্যান্ডহোম ০/১৩, নিশাম ১/৪৯, স্যান্টনার ২/৩৪)।
গুটিয়ে গেল ভারত
তিন বল বাকি থাকতেই ২২১ রানে অলআউট হলো ভারত। ৪৯তম ওভারের শেষ বলে লোকি ফার্গুসন বোল্ড করেন ভুবনেশ্বর কুমারকে। আর ইনিংসের শেষ ওভারে যুজবেন্দ্র চাহালকে উইকেটরক্ষক টম ল্যাথামের ক্যাচ বানান জিমি নিশাম।
রানআউটে কাটা পড়লেন ধোনি
রবীন্দ্র জাদেজার বিদায়ের পর ভারতের আশা হিসেবে টিকে ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। কিন্তু ৪৯তম ওভারের তৃতীয় বলে ডাবল নিতে গিয়ে রানআউটে কাটা পড়লেন তিনি। নিভে গেল ভারতের আশা। মার্টিন গাপটিল দুর্দান্ত কিছু ক্যাচ ধরে এবারের বিশ্বকাপে নজর কেড়েছেন। স্কয়ারের পেছন থেকে তার অবিশ্বাস্য এক সরাসরি থ্রোতে আউট হলেন ধোনি।
৪৮.৩ ওভারে ভারতের স্কোর ২১৬/৮। ধোনি সাজঘরে ফিরলেন ৭২ বলে ৫০ রান করে।
জাদেজাকে বিদায় করে জুটি ভাঙলেন বোল্ট
৫৯ বলে ৭৭ রান করে বিদায় নিলেন রবীন্দ্র জাদেজা। তার উইকেটটি নিলেন ট্রেন্ট বোল্ট। জাদেজার বিদায়ে ভাঙল ১০৪ বলে ১১৬ রানের জুটি। ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ব্যাটে-বলে সংযোগ না ঠিক হওয়ায় বল অনেক উঁচুতে উঠে যায়। তবে ক্যাচ নিতে কোনো ভুল করেননি কিউই দলনেতা কেন উইলিয়ামসন।
৪৮ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ২০৯/৭। উইকেটে ৪৩ রান করা মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গী ভুবনেশ্বর কুমার।
ধোনি-জাদেজা জুটির সেঞ্চুরি
৯২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলা ভারতকে একেবারে ধ্বংসস্তূপ থেকে টেনে তুলেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি ও রবীন্দ্র জাদেজা। তাদের ব্যাটিংয়ে মহাবিপদে পড়ে যাওয়া দলটি পাচ্ছে জয়ের সুবাস।
৫২ বলে এসেছিল এই জুটির হাফসেঞ্চুরি। সেঞ্চুরি পূরণ হলো আরও দ্রুত। ৯৭ বলে তিন অঙ্কে ছুঁয়ে ফেলেছে জুটির রান। ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে জুটির শতরান পূরণ করেছেন ধোনি।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে রান তাড়ায় সপ্তম বা এর পরের কোনো উইকেট জুটিতে কেবল দ্বিতীয়বারের মতো হলো শতরান। ১৯৮৭ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই অষ্টম উইকেটে ১১৭ রানের জুটি গড়েছিলেন জিম্বাবুয়ের ইয়ান বুচার্ট ও ডেভ হটন।
মারমুখী ব্যাটিংয়ে জাদেজার ফিফটি
আট নম্বরে নেমে দারুণ ব্যাটিং করছেন রবীন্দ্র জাদেজা। বাহারি সব শটের পসরা সাজিয়েছেন তিনি। দলের অন্য ব্যাটসম্যানরা যেখানে রান তুলতে খাবি খেয়েছেন, সেখানে তার ব্যাটে উল্টো সুর। চড়াও হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের বোলারদের ওপরে।
মাত্র ৩৯ বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেছেন বাঁহাতি জাদেজা। ফিফটি তুলে নিতে সমান তিনটি করে চার ও ছয় মেরেছেন। ৪২তম ওভারে জিমি নিশামের পঞ্চম বলটি স্কয়ার লেগে ঠেলে দিয়ে ২ রান নিয়ে ব্যক্তিগত মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি।
৪৫ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ১৮৮/৬। মহেন্দ্র সিং ধোনি ৫৫ বলে ২৯ ও জাদেজা ৪৩ বলে ৫৪ রানে উইকেটে আছেন। জয়ের জন্য ৫ ওভারে ভারতের চাই ৫২ রান।
ভারতকে জয়ের আশা দেখাচ্ছেন ধোনি-জাদেজা
দলের এমন বিপর্যয়ে আগেও হাল ধরেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। এদিনও উইকেটের এক প্রান্তে ধীরেসুস্থে ব্যাটিং করছেন তিনি। অন্যপ্রান্তে মারমুখী মেজাজে আছেন রবীন্দ্র জাদেজা। তিনি রান বাড়াচ্ছেন দ্রুত গতিতে।
১৯৫ বলে দলীয় একশো রান পূরণ হয়েছিল ভারতের। পরের পঞ্চাশ রান এসেছে মাত্র ৫৫ বলে। অর্থাৎ ভারত দেড়শো ছুঁয়েছে ৪০তম ওভারের ঠিক শেষ বলে।
দলীয় ৯২ রানে ষষ্ঠ উইকেটের পতনের পর জুটি বেঁধেছেন ধোনি-জাদেজা। ইনিংসের সেরা এই জুটি পঞ্চাশ পেরিয়েছে এরই মধ্যে। তার জন্য লেগেছে মাত্র ৫২ বল।
এই প্রতিবেদন লেখার সময়, ভারতের সংগ্রহ ৪১ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৯ রান। ধোনি ৪৯ বলে ২৭ ও জাদেজা ৩৭ বলে ৪৫ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য ৫৪ বলে ভারতের দরকার ৮১ রান।
পান্ডিয়ার বিদায়ে বড় চাপে ভারত
পান্ত-পান্ডিয়ার ব্যাটে প্রাথমিক চাপ সামলে নিয়েছিল ভারত। কিন্তু ৪৭ রানের জুটির পর দলকে আবার বিপদে ফেলে সাজঘরমুখী পান্ত। এবার দলকে মহাবিপদে ফেলে দিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। শুরু থেকে দেখে শুনে খেলতে থাকা এ ব্যাটসম্যান রানের গতি বাড়াতে গিয়ে আউট হয়েছেন মিচেল স্যান্টনারের বলে। ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ঠিকভাবে খেলতে না পারায় বল উঠে যায় আকাশে। মিড উইকেটে সে ক্যাচ লুফে নিতে বেগ পেতে হয়নি কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে। ৬২ বলে ২টি চারের সাহায্যে ৩২ রান করেছেন পান্ডিয়া। দলীয় ৯২ রানে বিদায় নেন তিনি।
৩৩ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১০৬ রান। ১৪ রানের ব্যাট করছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। নতুন ব্যাটসম্যান রবীন্দ্র জাদেজা উইকেটে আছেন ৯ রানে।
পান্তকে বিদায় করে জুটি ভাঙলেন স্যান্টনার
ধ্বংসস্তূপ থেকে ভারতকে টেনে তুলেছিলেন রিশভ পান্তই। হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে ৪৭ রানের জুটি গড়ে ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন ভালো কিছুর। কিন্তু একটি ভুলে শেষ হলো তার প্রতিরোধ। আগের চারটি বল ডট দেওয়ায় রানের জন্য হাঁসফাঁস করছিলেন পান্ত। ছোট মাঠের সুবিধা নিয়ে রানের গতি বাড়াতে গিয়ে ভুলটা করে ফেলেন তিনি। মিচেল স্যান্টনারের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে মিড উইকেটে ধরা পড়েন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের হাতে। ৫৬ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ৩২ রান করেছেন পান্ত।
২৩ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৭১ রান। পান্ডিয়া ২২ রানে ব্যাট করছেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি।
ভারতের দলীয় পঞ্চাশ
দলীয় ৫ রানে সাজঘরে ফিরেছেন ৩ টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুলের সঙ্গে নেই অধিনায়ক বিরাট কোহলিও। এরপর স্কোরবোর্ডে ১৯ রান যোগ করতে দলের বিপদ আরও বাড়িয়ে ফিরে যান দিনেশ কার্তিক। তবে দারুণ চাপে পড়া দলটির হাল হার্দিক পান্ডিয়াকে নিয়ে ধরেছেন রিশভ পান্ত। এর মধ্যেই দলের অর্ধশত রানের কোটা পার করেছেন তারা। ১৬.১ ওভারে (১০৫ বলে) এসেছে দলের হাফসেঞ্চুরি।
১৮ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ৪ উইকেট হারিয়ে ৬০ রান। পান্ত ২৫ ও পান্ডিয়া ১৯ রানে ব্যাট করছেন।
হেনরির তৃতীয় শিকার কার্তিক
এবারের বিশ্বকাপে ভারতের পক্ষে সবচেয়ে বেশি রান করা তিন ব্যাটসম্যান রোহিত, কোহলি ও রাহুল। তাদের বিদায়ে মহাবিপাকে পড়া দলের বিপদ আরও বাড়িয়ে গেলেন দিনেশ কার্তিক।
গোটা আসরে ভুগেছে ভারতের মিডল অর্ডার। দ্রুত কার্তিকের বিদায়ে আরেকবার তা প্রমাণ হলো। তবে এক্ষেত্রে তাকে দোষ দেওয়ার উপায় নেই। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে এক হাতে অবিশ্বাস্য এক ক্যাচ ধরলেন জিমি নিশাম। ম্যাট হেনরি পেলেন নিজের তৃতীয় উইকেট।
কার্তিক করেন ২৫ বলে ৬ রান। চার আছে একটি। এই প্রতিবেদন লেখার সময়, ১০ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৪ রান। উইকেটে আছেন রিশভ পান্ত ১২ ও মাত্রই নামা হার্দিক পান্ডিয়া শূন্য রানে।
শুরুতেই ফিরলেন রোহিত-কোহলি-রাহুল
এমনটা বোধ হয় স্বপ্নেও ভাবেনি ভারত! ইনিংসের প্রথম ১৯ বলের মধ্যে বিদায় নিলেন টপ অর্ডারের তিন তারকা! রীতিমতো কাঁপছে ফেভারিট দলটি। নিউজিল্যান্ডও কী এমন দুর্দান্ত শুরু আশা করেছিল?
মন্থর উইকেট। সুইং আছে। তার সঙ্গে মেঘলা আবহাওয়া। কিউই পেসারদের জন্য উপযোগী কন্ডিশন। তার সুবিধা নিয়ে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার রোহিত শর্মাকে ফেরালেন ম্যাট হেনরি। উইকেটের পেছনে উইকেটরক্ষক টম ল্যাথামের হাতে ক্যাচ দিলেন চলমান আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। দলীয় ৪ রানের মাথায় ৪ বলে ১ রান করে আউট হলেন তিনি।
পরের ওভারে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা দেন ট্রেন্ট বোল্ট। বাঁহাতি পেসার এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন ভারতীয় দলনেতা বিরাট কোহলিকে। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি সময়ের সেরা ব্যাটসম্যান। আম্পায়ার্স কলের সৌজন্যে তাকে সাজঘরে ফেরায় কিউইরা। কোহলির সংগ্রহ ৬ বলে ১ রান। দলের স্কোর তখন ২ উইকেটে ৫ রান।
চতুর্থ ওভারে ফের আক্রমণে এসে ফের উইকেট উৎসব করেন হেনরি। তার অফ স্ট্যাম্পের বাইরের ডেলিভারি আরেক ওপেনার লোকেশ রাহুলের ব্যাট ছুঁয়ে জমা পড়ে ল্যাথামের হাতে। কাকতালীয়ভাবে রাহুলও ১ রানে আউট হন। তিনি খেলেন ৭ বল।
এই প্রতিবেদন লেখার সময়, ৩.১ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৫ রান। উইকেটে আছেন রিশভ পান্ত ১ ও দিনেশ কার্তিক শূন্য রানে।
ফাইনালে উঠতে ভারতের লক্ষ্য ২৪০ রান
ভারতকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে শেষ ওভারগুলোতে ঝড় তোলার দরকার ছিল রস টেইলরের। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানকে থামিয়ে ফাইনালে ওঠার লক্ষ্যটা ছোটই রাখল ভারত।
ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে আগের দিনের ৪৬.১ ওভারে ৫ উইকেটে ২১১ রান নিয়ে খেলতে নামে নিউজিল্যান্ড। বাকি থাকা ২৩ বলে মাত্র ২৮ রান যোগ করে তারা। হারায় আরও ৩ উইকেট।
৯০ বলে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেন অভিজ্ঞ টেইলর। তার আগে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ৯৫ বলে করেছিলেন ৬৭ রান।ভারতের হয়ে পেসার ভুবনেশ্বর কুমার ৩ উইকেট পান ৪৩ রান দিয়ে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউজিল্যান্ড: ২৩৯/৮ (৫০ ওভারে) (গাপটিল ১, নিকোলস ২৮, উইলিয়ামসন ৬৭, টেইলর ৭০, নিশাম ১২, ডি গ্র্যান্ডহোম ১৬, ল্যাথাম ১০, স্যান্টনার ৯*, হেনরি ১, বোল্ট ৩*; ভুবনেশ্বর ৩/৪৩, বুমরাহ ১/৩৯, হার্দিক ১/৫৫, জাদেজা ১/৩৪, চাহাল ১/৬৩)।
ভুবনেশ্বরের তৃতীয় শিকার হেনরি
৪৯তম ওভারের শেষ বলে ম্যাচে নিজের তৃতীয় উইকেট শিকার করলেন পেসার ভুবনেশ্বর কুমার। নিলেন ম্যাট হেনরির উইকেট। ২ বল খেলে ১ রান করে সীমানার কাছে ভারতীয় দলনেতা বিরাট কোহলির হাতে ক্যাচ দিলেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের দলীয় ২৩২ রানে পতন হলো তাদের অষ্টম উইকেটের। উইকেটে মিচেল স্যান্টনারের সঙ্গী হলেন ট্রেন্ট বোল্ট।
টেইলরের পথ ধরলেন ল্যাথাম
টেইলরের বিদায়ের পর নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপে কেবল একজন বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান ছিলেন। সেই টম ল্যাথামও টিকলেন না। বিদায় নিলেন পরের বলেই। ৪৯তম ওভারে ভুবনেশ্বর কুমারের প্রথম বলটি উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড উইকেটে জাদেজার হাত ক্যাচ দিলেন তিনি। তার সংগ্রহ ১১ বলে ১০ রান। নিউজিল্যান্ডের স্কোর তখন ২২৫/৭।
রান আউট হয়ে ফিরলেন টেইলর
ইনিংসের শেষ ভাগে নিউজিল্যান্ডের রান বাড়ানোর মূল দায়িত্বটা ছিল রস টেইলরের। তবে রানআউটে কাটা পড়ে মাঠ ছাড়লেন তিনি। রবীন্দ্র জাদেজার সরাসরি থ্রো স্টাম্প উপড়ে দিলে শেষ হয় টেইলরের লড়াই। ৯০ বলে ৭৪ রান করেন তিনি। তার ইনিংসে ছিল তিনটি চার ও একটি ছয়। ৪৮তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ২২৫ রানে ষষ্ঠ উইকেটের পতন হলো কিউইদের।
বৃষ্টিতে খেলা গড়ায় রিজার্ভ ডেতে
মঙ্গলবার টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৬.১ ওভারে ৬ উইকেটে ২১১ রান করে নিউজিল্যান্ড। এরপরই নামে বৃষ্টি। মাঝে দু’একবার বৃষ্টির ঝাপটা কমে এলেও খেলার হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ৪০ মিনিট) ছিল কাট-অফ টাইম। কিন্তু ৬টা ২৫ মিনিটে ((বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ২৫ মিনিট)) দুই আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবরো আর রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ মাঠ পর্যবেক্ষণ করে খেলা হওয়ার মতো পরিস্থিতি দেখতে পাননি। তাই ফাইনালে উঠার লড়াই রিজার্ভ ডেতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তারা।
বৃষ্টি বাগড়ার আগে নিউজিল্যান্ডকে কোণঠাসা করে রেখেছিল ভারতীয় বোলাররা। মন্থর উইকেট ও ভারতীয় বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের বিপরীতে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও অভিজ্ঞ রস টেইলর ছাড়া কেউই লড়াই করতে পারেননি।
উইলিয়ামসন তুলে নেন আসরে নিজের দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি (সেঞ্চুরি রয়েছে দুটি)। ছয়টি চারের সাহায্যে করেন ৯৫ বলে ৬৭ রান। এই ইনিংস খেলার পথে চলতি আসরের ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে পাঁচশো রান ছুঁয়ে ফেলেন তিনি। পয়েন্টে জাদেজার হাতে ক্যাচ বানিয়ে উইলিয়ামসনের উইকেটটি নেন যুজবেন্দ্র চাহাল।
উইলিয়ামসনের বিদায়ের পর লড়াইটা একাই চালান টেইলর। ৭৩ বলে ফিফটি তুলে নেওয়ার পর হাত খুলতে শুরু করেন তিনি। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে টেইলরের রান ছিল ৮৫ বলে ৬৭। অপর প্রান্তে টম ল্যাথাম ছিলেন ৩ রানে। ইনিংসের শেষ ৬.১ ওভারে আসে ৫৬ রান।
এ ম্যাচের আগে চলতি বিশ্বকাপের আরও পাঁচটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে। সবগুলোতেই জিতেছিল প্রথমে ব্যাটিং করা দল। তবে ম্যাচগুলোতে দেখা গিয়েছিল রান উৎসব। আগে ব্যাট করে সর্বোচ্চ ৩৯৭ রান করেছিল স্বাগতিক ইংল্যান্ড, সর্বনিম্ন ২৬৮ স্কোর ভারতের। তবে এদিন খেলা হচ্ছে নতুন উইকেটে।
সেমিফাইনাল বৃষ্টিতে পণ্ড হলে যা ঘটবে
বৃষ্টিতে কোনো ম্যাচ নির্দিষ্ট দিনে শেষ না করা গেলে বা মাঠে না গড়ালে রিজার্ভ ডেতে খেলা হবে। ঠিক যেখানে ম্যাচ শেষ হয়েছিল, সেখান থেকেই আবার শুরু হবে। তবে রিজার্ভ ডেতেও যদি খেলা না হয় অর্থাৎ ম্যাচ পণ্ড হয়ে যায়, তাহলে কী হবে?
সেক্ষেত্রে লিগ পর্বে যে দল পয়েন্ট তালিকার উপরে ছিল, তারা পাবে ফাইনালের পরম আকাঙ্ক্ষিত টিকিট। এই হিসাব অনুসারে, ভারত-নিউজিল্যান্ড লড়াই বৃষ্টিতে ভেসে গেলে কপাল পুড়বে কিউইদের। কারণ, লিগ পর্বে শীর্ষে ছিল ভারত। আর রান রেটে এগিয়ে থাকায় চতুর্থ হয়ে সেমিতে উঠেছিল নিউজিল্যান্ড।