Home ক্যাম্পাস খবর জিয়া বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডে জড়িত না তা বিএনপি কখনই প্রমান করতে পারেনি—কৃষিমন্ত্রী

জিয়া বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডে জড়িত না তা বিএনপি কখনই প্রমান করতে পারেনি—কৃষিমন্ত্রী


বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : কৃষি মন্ত্রী ড.মো: আব্দুর রাজ্জাক বলনে, আগস্টে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম ঘটনার
জন্মদেয় পাকিস্তানের মদদপুষ্ট স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ও জিয়া। ১৫ আগস্ট বাঙালী
হারায় ইতিহাসের মহানায়ক জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শখে
মুজিবুর রহমানকে। জিয়া ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত না,তা বিএনপি
কখনই প্রমান করতে পারেনি। জড়িত ছিল বিধায় জিয়া বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে
হত্যাকারীদের রক্ষার জন্য জারী করে কুখ্যাত ইনডিমিনিিিট অধ্যাদেশ।
আজ (মঙ্গলবার) জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যায়ের জহির রায়হান সেমিনার হলে জাতির
পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎ র্বাষিকী ও জাতীয় শোক
দিবস উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ র্শীষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা
বলেন।
মন্ত্রী বলনে,পৃথিবীর ইতিহাসে নিকৃষ্ট হত্যাকান্ড ১৫ আগস্ট। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার
মূল উদ্দশ্যে ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস কওে ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র পরিচালনা করা।
র্দীঘ ২১ বছর শামরিক আইনে কখনবা গণতন্ত্রেও লেবাসে গণ তন্তদ্রকে হত্যা করা
হয়েছে। দেশকে বানিয়েছে জঙ্গিবাদ এবং দেশ প্রেম হয়েছিল ভুলন্ঠিত। বাংলাদেশ
পেল র্দূনীতিগ্রস্ত রাষ্ট্রের তকমা।
তিনি আরও বলেন; ইতিহাস বিকৃত হয়েছে। ১৫ ও ২১ আগস্ট একই সুতোয়
গাথা। একটির মাস্টার মাইন্ড ছিল জিয়া আর ২১ আগস্টে তারকে জিয়া। ইতিহাস
কাউকে ক্ষমা করেনা তেমনি ক্ষমা পাবেনা ১৫ ও ২১ আগস্টের কুশিলবরাও। জিয়ার
মরণোত্তর বিচার ফাঁসি ও তারকে জিয়াকে দেশে এনে বিচারের সম্মুখীন করা
হবে।
তিনি আরও বলনে; বঙ্গবন্ধুর আর্দশের পথ ধরে দেশ পরিচালনা করছেন মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,দেশকে তিনি করেছেন বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল।
স্বাধীনতা বিরোধীরা এখন ঘাপটি মেরে আছে দেশে বিদেশে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ও
সুসংগঠিত থাকতে হবে। দেশ আজ উন্নয়নের মহসড়কে, এখন আমাদেও ঐক্যবদ্ধ
থেকে উন্নরাষ্ট্রে যে স্বপ্ন আমাদের দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তা বাস্তবায়নে
তার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। আগামীর রাষ্ট্রের দায়িত্বে যাবেন বর্তমান
প্রজন্মকে সত্যিকারের ইতিহাস জানাতে হবে। তাদেরকে উন্নত রাষ্ট্রের
উপযোগি নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব আপনাদেও,শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে
বল্লেন কৃষিমন্ত্রী। শোক দিবসের আলোচনা তখনই সফল হবে যখন বঙ্গবন্ধুর আর্দশ
অনুসারে তার দেখানো পথে আমরা চলবো।

অনুষ্ঠানের সভাপতত্বি করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপার্চায অধ্যাপক
ড.ফারজানা ইসলাম। বিশেষে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড.মো: নুরুল
আলম, প্রো-উপার্চায (শিক্ষা), প্রো-উপার্চায(প্রশাসন)ড.মো: আমির
হোসেন ও কোষাধ্যক্ষ শেখ মো.মনজুরুল হক।