Home ব্রেকিং হেফাজতের নতুন কমিটিতে বাদ পড়লেন যারা!

হেফাজতের নতুন কমিটিতে বাদ পড়লেন যারা!


বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক :  অরাজনৈতিক সংগঠন বলে দাবি করা হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নব গঠিত কমিটিতে রাখা হয়নি সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা শফীপুত্র হেফাজতের প্রচার সম্পাদক মাওলানা আনাস মাদানী ও তার অনুসারীদের। রোববার (১৫ নভেম্বর) হেফাজতের দূর্গ বলে খ্যাত হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষা ভবনে অনুষ্ঠিত হেফাজতের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে গঠিত কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে আহমদ শফী অনুসারী বলে পরিচিত আরো কয়েকজন বাদ পড়েছেন।

আনাস মাদানীকে নতুন কমিটিতে কোনো পদ না দিলেও আহমদ শফীর জ্যেষ্ঠপুত্র মাওলানা ইউসুফ মাদানীকে নতুন কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হতে পারে বলে জানিয়েছেন হেফাজতের এক কেন্দ্রীয় নেতা।

বাদের তালিকায় উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে রয়েছেন- ইসলামী ঐক্যজোটের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও হেফাজতের ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত আমিনী, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব ও হেফাজতের যুগ্মমহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ, ইসলামী ঐক্যজোটের চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি ও যুগ্ম মহাসচিব মঈনুদ্দীন রুহী।

এছাড়া আল্লামা শফীর বিশস্ত হিসেবে পরিচিত বেফাকের সাবেক কো-চেয়ারম্যান ও মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুসকে হেফাজতের নায়েবে আমীর থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। চট্টগামের ঐতিহ্যবাহী নাজিহাট মাদ্রাসার সাবেক মুহতামিম হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা সলিমুল্লাহও নব গঠিত কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন।

রোববার সন্ধ্যায় হেফাজতের নায়েবে আমীর মুফতি ওয়াক্কাস বলেন, আমি কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমির, ঢাকা মহানগরী কমিটির প্রধান উপদেষ্টা অথচ আমাকে এখন পর্যন্ত কোনো কিছু জানানো হয়নি।

একটি বিশেষ মহলের ইন্ধনে এ কাউন্সিল হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

মুফতি ওয়াক্কাস বলেন, আল্লামা শফীর অবর্তমানে এখন একজন আমীর নিযুক্ত করাই ছিল প্রধান কাজ। কিন্তু তা না করে পুরো কমিটি বিলুপ্ত করা হল। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভাবে একটি বিশেষ মহলের ইন্ধনে এটি করা হয়েছে বলে আমার মনে হয়। যারা চায় না দেশের আলেমরা এক থাকুক।

প্রসঙ্গত, গত ১৭ সেপ্টেম্বর হেফাজতে ইসলামের আমীর শাহ আহমদ শফী মারা যান। এরপর থেকেই আমীর নির্বাচন নিয়ে সংগঠনটির মধ্যে নানা আলোচনা শুরু হয়।

শনিবার ঢাকায় ও চট্টগ্রামে পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে হেফাজতে ইসলামের প্রতিনিধি সম্মেলন নিয়ে প্রশ্ন তোলে আল্লামা শফীপুত্র আনাস অনুসারী একটি অংশ। চট্টপ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রয়াত আল্লামা শফীর শ্যালক মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন। আর ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ। ওই সময় মুফতি ফয়জুল্লাহ সদ্য সমাপ্ত হেফাজতের কাউন্সিল অবৈধ দাবি করে স্থগিত চেয়েছিলেন।