Home জাতীয় রূপগঞ্জে কারখানার আগুনের ঘটনায় চেয়ারম্যান ও এমডিসহ ৮ জন আটক

রূপগঞ্জে কারখানার আগুনের ঘটনায় চেয়ারম্যান ও এমডিসহ ৮ জন আটক


নারায়ণগঞ্জের সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড লিমিটেড কারখানার আগুনের ঘটনায় ইতোমধ্যে সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হাসেম ও এমডিসহ ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তাদের সংশ্লিষ্টতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিন্দুমাত্র গাফিলতি থাকলেও কারও ছাড় নেই।

শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, এখানে মই দিয়ে ১৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। সারা বাংলাদেশ এই ঘটনায় স্তব্ধ,একসঙ্গে এতগুলো লোকের প্রাণহানিতে। আমরা দেখেছি. প্রথমে তিনজন পরবর্তীতে মৃত উদ্ধার হয়েছে ৪৯ জন। আমাদের ফায়ার সার্ভিস কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করেছে। হাশেম ফুড প্রোডাক্ট প্রতিষ্ঠানে কত লোক কাজ করছিল সব তদন্তে বের হবে। তারা কী করছিল সকল বিষয় নিয়েই আমাদের তদন্ত কমিটি হয়েছে। ডিসি তদন্ত কমিটি করেছেন এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ও তদন্ত কমিটি করেছে। তদন্তের পরেই আমরা বলতে পারবো এখানে কী ঘটেছে। এটি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ঘটনা। যারা ইন্তেকাল করেছেন আমরা তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, একটা দুর্ঘটনা হয়েছে, অনেকগুলো মানুষ মারা গেছেন। এখানে মামলা হবে তদন্তও হবে। যারা সামান্যতম দোষী তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনা হবে। তদন্তের দোষী কেউ ছাড় পাবে না।

মন্ত্রী আরও বলেন, প্রথমত ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, ইউএনও ডিসি তাৎক্ষণিকভাবে এখানে এসেছেন। ১৭ জনকে জীবিত উদ্ধারও করেছে। তাদের বেগ পেতে হয়েছে নিভাতে।

তিনি আরও বলেন, এখানে শিশু শ্রমিকও থাকতে পারে, বিল্ডিং তৈরির ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা তদন্তের আগে কিছু বলতে পারবো না। তদন্তে সব বের হবে এবং কেউ ছাড় পাবে না।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম ৮ জনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত ওই কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ডেমরা, কাঞ্চনসহ ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৯ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে আগুন। তবে এ সময়ের মধ্যে ঝরে গেছে ৫২টি প্রাণ। আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন।