নিজস্ব প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক বাবু সুজিত রায় নন্দী বলেছেন, বিশ্ব মানবতার আলোকবর্তিকা জননেত্রী হাসিনা শুধুমাত্র বাংলাদেশেরই প্রধানমন্ত্রী নন, তৃতীয় বিশ্বের একজন মানবিক নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করছেন সারা বিশ্বের দরবারে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বঙ্গ কন্যা শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার(১৫ ফ্রেবুয়ারি) বিকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে জনতার প্রত্যাশা সোসাইটির উদ্যোগে আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা এবং শীতবস্ত্র ও করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
সুজিত রায় নন্দী
সুজিত রায় নন্দী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যুগান্তকারী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলনের পটভূমি রচিত হয়। বাঙালির স্বাধীকার আন্দোলনের প্রতিটি ধাপে ভাষা আন্দোলনের মূল মন্ত্র সবিশেষ ভূমিকা রেখেছে।
তিনি বলেন, একুশের ধারাবাহিতায় আমাদের আজকের স্বাধীনতা। স্বাধীনতার পেছনে বায়ান্নর আন্দোলনের আবদান অনস্বীকার্য।
বায়ান্নর আগে থেকে ভাষা আন্দোলন দানা বাঁধতে থাকে। বায়ান্নতে তা চূড়ান্ত পর্যায়ে রূপ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় ছয় দফা, গণঅভ্যুত্থ্যান ও চূড়ান্ত স্বাধীনতা অর্জন।
তিনি বলেন, ভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করার কারণেই একুশে ফেব্রুয়ারি আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তাই আমাদের তরুণ সমাজকে বায়ান্ন এর ভাষা আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার মূলনীতি যুক্ত করে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের ভিত্তিস্থাপন করে গেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির আদর্শ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তখনই একটি অশুভ শক্তি সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এসকল ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে, এ অশুভ শক্তির জায়গা বাংলাদেশে হতে পারে না।
সুজিত রায় নন্দী বলেন,স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে এখন উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ। এজন্য বিশ্ব নেতারা উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে গত এক দশকে ডিজিটাল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে গেছে ইন্টারনেট ও তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা। করোনার প্রাদুর্ভাবে ২০২০ সালের শুরুতে বিশ্ব যখন থমকে গিয়েছিল, সেই সময়টাতেও বিচক্ষণতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে বর্তমান সরকার।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য নেতৃত্বের কারণেই মহামারিকালেও থেমে নেই মানবিক উন্নয়ন। তার নির্দেশে নিয়মিতভাবে সরকারি সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে সারাদেশে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত কোটি কোটি মানুষের ঘরে। নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক শ্রমিক মজুরের হাতে।
অনুষ্ঠানে জনতার প্রত্যাশা সোসাইটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইসমত কাদির গামার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ও এইচ এম সবুজ সরকারের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা -৫ এর ১৪ দলের সমন্বয়ক এবং যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনর রশিদ মুন্না।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শরফুদ্দিন আহমেদ সেন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ গোলাম সারোয়ার কবির, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এফএম শরিফুল ইসলাম শরিফ, যাত্রাবাড়ী ৫০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব শেথ রফিকুল ইসলাম, জনতার প্রত্যাশা সোসাইটির কার্যকরী সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর দেলওয়ার হোসেন খান, ৫০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুসলে উদ্দিন আহমেদ মুরাদ।
এছাড়াও যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
