Home করোনা কিছুটা কমতে শুরু করেছে করোনাভাইরাসের দাপট

কিছুটা কমতে শুরু করেছে করোনাভাইরাসের দাপট


করোনাভাইরাসের দাপট কিছুটা কমতে শুরু করেছে। গত কয়েক দিন ধারাবাহিকভাবে কমছে শনাক্তের হার। গতকাল শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ২৭ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে দুই হাজার ৫৮৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এক দিনে এই নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৯.৩১ শতাংশে।

আগের দিন এই হার ছিল ১০.২৪ শতাংশ। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছে ২৪ জন।

সর্বশেষ ১১ জানুয়ারি এক দিনে এর চেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েছিল। সেদিন দুই হাজার ৪৫৮ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে। পরদিন ১২ জানুয়ারি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১০ শতাংশ ছাড়ায়। এরপর ১৩ জানুয়ারি শনাক্ত রোগীর সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়ে যায়। ২৮ জানুয়ারি তা পৌঁছে ৩৩.৩৭ শতাংশের রেকর্ড উচ্চতায়।

গতকাল সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাসংক্রান্ত বিবৃতিতে এসব তথ্য উঠে আসে। এতে বলা হয়, নতুন রোগীসহ দেশে এখন পর্যন্ত ১৯ লাখ ২৯ হাজার ১৫৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৮ হাজার ৯৩১ জনের মৃত্যু হয়।

এ ছাড়া এক দিনে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৯ হাজার ৯৮৮ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছে ১৭ লাখ ৩৭ হাজার ৮৫৪ জন। বর্তমানে দেশে এক লাখ ৬২ হাজার ৩৬৯ জন করোনা রোগী রয়েছে। তবে উপসর্গবিহীন রোগীরা এই হিসাবে আসেনি।

এক দিনে মৃত ২৪ জনের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ এবং সাতজন নারী। তাদের মধ্যে ১৪ জন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। চট্টগ্রাম বিভাগের তিনজন, রাজশাহী বিভাগের দুজন, খুলনা বিভাগের একজন, সিলেট বিভাগের তিনজন এবং রংপুর বিভাগের একজন।

তাদের ১৫ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি, দুজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, চারজনের বয়স ৪১ থেকে ৫১ থেকে বছরের মধ্যে, দুজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং একজনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে।

গত বছরের শেষ দিকে করোনা সংক্রমণের হার কমতে শুরু করলেও চলতি বছরে তা আবার বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়িয়ে যায়। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি তা পাঁচ হাজারের নিচে নামে। মহামারির মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪.৬৬ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১.৫০ শতাংশ।

দেশে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভেরিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।