Home ব্রেকিং শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভব গণহত্যার স্বীকৃতি আদায় করা : ওবায়দুল কাদের

শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভব গণহত্যার স্বীকৃতি আদায় করা : ওবায়দুল কাদের


২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতির দাবি জোরাল করতে স্বাধীনতা পক্ষের ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণকারী সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, ‌‘শেখ হাসিনা সাহস নিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন। তিনি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি এনেছেন। শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভব ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতি আদায় করা। এই স্বীকৃতি আদায়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল রাজনৈতিক দল থেকে দাবি জোরাল করতে হবে।’

গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ যৌথভাবে এই সভার আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী বাঙালি জাতির ওপর যে গণহত্যা চালায়, সেই দিনটিকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতির দাবি জোরাল করতে স্বাধীনতার স্বপক্ষের ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণকারী সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘এই দাবিতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাধীনতার পক্ষের সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এ বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘের স্বীকৃতি আদায়ে কোনো রাজনৈতিক দল একটা কথা বলে না।

২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতি পাওয়ার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘এটা নিয়ে অন্য কোনো সরকার এর আগে কোনো কথা বলেনি। অনেক দিন হয়ে গেছে। এখন জাতিসংঘের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে। জাতিসংঘে এজেন্ডা নিয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের লোক লেগে থাকতে হবে। ইতিহাসের অনেক হত্যাকাণ্ড আন্তর্জাতিক গণহত্যার স্বীকৃতি পায়নি।’

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমুখ।

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক গণহত্যার স্বীকৃতি আমরা পাইনি। কারণ, ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এই ইতিহাসকে মুছে ফেলা হয়েছিল। স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছিল। যার কারণে আমরা এই স্বীকৃতি পাইনি।’