Home ক্যাম্পাস খবর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘অভিবাসন কূটনীতি’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ মডিউল চালু করা হয়েছে

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘অভিবাসন কূটনীতি’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ মডিউল চালু করা হয়েছে

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে (এনএসইউ) গত ২৪ জুলাই ‘অভিবাসন কূটনীতি’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ মডিউলটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়। এনএসইউ‘র সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্স (এসআইপিজি), আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও), বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম), বাংলাদেশ যৌথভাবে প্রশিক্ষণ মডিউলটি তৈরি করেছে। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রদূত শহীদুল হক, প্রফেসরিয়াল ফেলো, এসআইপিজি, এনএসইউ, জনাব নীরন রামজুথান, অফিসার ইন চার্জ, আইএলও বাংলাদেশ, মিস নুসরাত গাজ্জালি, ডেপুটি চিফ অফ মিশন, আইওএম এবং রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়াম, রেক্টর, ফরেন সার্ভিস একাডেমী সহ আরও অনেকে।

পরিক্রমা ডেস্ক : নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে গত  ২৪ জুলাই ‘অভিবাসন কূটনীতি’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ মডিউলটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়। এনএসইউ‘র সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্স (এসআইপিজি), আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও), বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম), বাংলাদেশ যৌথভাবে প্রশিক্ষণ মডিউলটি তৈরি করেছে। মডিউলটির লক্ষ্য হল কূটনীতিক, শ্রম সংযুক্তি, সরকারী কর্মকর্তা এবং নীতি নির্ধারকদের উন্নত অভিবাসন, বিদেশী কর্মসংস্থান নিয়ে আলোচনা এবং অভিবাসীদের সুরক্ষার জন্য কার্যকর পরিষেবা প্রদানের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। এই সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগের কার্যকারিতা  নিশ্চিত করার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফরেন সার্ভিস একাডেমি (এফএসএ) দ্বারা মডিউলটি পরিচালনা করা হবে। আইএলও, আইওএম, এফএসএ, এসআইপিজি, এবং এনএসইউর অনুষদ ও শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রদূত শহীদুল হক, প্রফেসরিয়াল ফেলো, এসআইপিজি তার সূচনা বক্তব্যে মডিউলটির একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন। তিনি বলেন, “কূটনীতি হলো মানুষের উন্নয়ন জন্য”। সুতরাং, কূটনীতিকদের অভিবাসী এবং প্রবাসীদের কল্যাণের জন্য জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে  সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকা উচিত।

জনাব নীরন রামজুথান, অফিসার ইন চার্জ, আইএলও বাংলাদেশ বলেছেন যে শ্রম অভিবাসন বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এবং সেইসাথে অনেক অভিবাসী শ্রমিক এবং তাদের পরিবারের জন্য একটি জীবনরেখা। তিনি ফরেন সার্ভিস একাডেমি, বাংলাদেশের জন্য এই প্রশিক্ষণ মডিউলটি তৈরিতে এসআইপিজি, আইএলও, এবং আইওএম এর মধ্যে সামগ্রিক সহযোগিতার প্রশংসা করেন। তিনি আশা করেন যে এই প্রশিক্ষণে অংশ নেয়ার মাধ্যমে, শ্রম সংযুক্তি এবং কূটনীতিকরা শ্রম এবং অভিবাসন সম্পর্কিত বিষয়গুলি পরিচালনা করতে আরও ভালভাবে প্রস্তুত হবেন। তিনি কূটনীতিকদের পেশাগত উন্নয়নে এই ধরনের সক্ষমতা-নির্মাণ প্রশিক্ষণ অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে কথা বলেন।

মিস নুসরাত গাজ্জালি, ডেপুটি চিফ অফ মিশন, আইওএম প্রশিক্ষণ মডিউলটিতে অভিবাসন কূটনীতির সমস্ত দিক তুলে করার জন্য এর প্রশংসা করেছেন। মডিউলটি বিশ্বব্যাপী সর্বোত্তম অনুশীলন এবং জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, এবং এটি অভিবাসীদের সব রকম সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে। তিনি এই পাঠ্যক্রম তৈরিতে এসআইপিজি, আইএলও, এবং আইওএম -এর মধ্যে সহযোগিতাকে স্বাগত জানান।

রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়াম, রেক্টর, ফরেন সার্ভিস একাডেমী উল্লেখ করেন যে অভিবাসন কূটনীতি সম্পর্কে সকল কূটনীতিকদের জ্ঞান থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মডিউলটি ফরেন সার্ভিস একাডেমিকে কূটনীতিকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করতে সক্ষম করবে, যাতে তারা অভিবাসীদের দুর্দশা কমাতে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখতে পারে।

এনএসইউ’র উপাচার্য প্রফেসর আতিকুল ইসলাম তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, সমগ্র বিশ্বের জন্য এনএসইউ’র একটি সামাজিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ফলস্বরূপ, এটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে যোগাযোগ ও সম্মিলিতভাবে কাজ করতে চায়। আয়োজক দেশ এবং অভিবাসীদের মধ্যে প্রত্যাশার ব্যবধান পর্যাপ্তভাবে সমাধান করার জন্য, কূটনীতিকদের অবশ্যই সাবধানে অভিবাসন সমস্যাটি পরিচালনা করতে হবে। তিনি এই প্রশিক্ষণ মডিউলটির সাফল্য কামনা করেন এবং প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে এটিকে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করার পরামর্শ দেন।