Home রাজনীতি ইতিহাস বিকৃতিরোধে সাংবাদিকদের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে : এনামুল হক শামীম

ইতিহাস বিকৃতিরোধে সাংবাদিকদের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে : এনামুল হক শামীম


পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেছেন, দেশের ইতিহাস বিকৃতির জনক বিএনপি, তারাই ইতিহাসের খলনায়ক জিয়াউর রহমানকে বারবার ইতিহাসের নায়ক বানানোর ব্যর্থ চেষ্টা করেছে। তাই ইতিহাস বিকৃতিরোধে সাংবাদিকদের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে। কারণ গণমাধ্যম হলো সমাজ ও রাষ্ট্রের দর্পণ। সাংবাদিকরা হলেন জাতির বিবেক।

জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনামুল হক শামীম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি জয় বাংলা স্লোগানকে বিএনপি নিষিদ্ধ করে দেয়, বন্ধ করে দেয় ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার। গণমাধ্যম থেকে পাঠ্যপুস্তক পর্যন্ত সব জায়গা থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার অপপ্রয়াস চালানো হয়। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে জিয়ার পর খালেদা জিয়াও যুদ্ধাপরাধীদের এমপি-মন্ত্রী করেছেন।
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি জাতির হাজার বছরের আরাধ্য যে কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জিত হয়। তিনিই স্বাধীনতার ঘোষক। কোনো মেজরের হুইসেলে স্বাধীনতা হয়নি। মহান মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিস্তানি গুপ্তচর। জিয়া অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নানাভাবে পুরস্কৃত করে। জিয়া ১৯৭৯ সালের ৯ জুলাই কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করেন। সেদিন সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মধ্যে দিয়ে তার আমলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার বাধাগ্রস্ত করা হয়। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করে জিয়া প্রমাণ করেছেন তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের রক্ষাকারী এবং এই হত্যার ষড়যন্ত্রের মূল কুশিলব।

এনামুল হক শামীম বলেন, বিএনপি অরাজকতা ও সন্ত্রাস সৃষ্টি করে ক্ষমতায় যেতে চায়। বিএনপি-জামায়াত কখনো জনগণের বন্ধু হতে পারে না। আস্তাখুঁড়ে বিএনপি কখনো আর দাঁড়াতে পারবে না। তারা ঘরে ঢুকে গেছে। ক্ষমতায় যেতে হলে জনগণের কাছে পাশে থাকতে হয়। পেট্টোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করে ক্ষমতায় আসা যায় না। খালেদা জিয়াতো এতিমের টাকা মারার দ্বায়ে সাজাপ্রাপ্ত। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃপায় বাসায় থাকতে পারছে খালেদা জিয়া, এটা ভুলে গেলে চলবে না। সুতরাং ক্ষমতায় আসতে হলে সংবিধান অনুয়ায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের জন্য হলেও বিএনপির নির্বাচনে আসা উচিত। দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি, সমৃদ্ধির ধারাবাহিকতা রক্ষায় জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে পঞ্চমবারের মতো ক্ষমতায় আনবে জনগণ।

টলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ মাহবুব আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক জীবনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপি, অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর এমপি, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এমএ কাদের খান, ডিইউজে’র সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, ডিআরইউ’র সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব।