Home ব্যাংক-বীমা কমিশন ‘জিরো’ (শুন্যের) কোটায় এবং অনৈতিক কমিশন বন্ধ করা হলেই বীমা...

কমিশন ‘জিরো’ (শুন্যের) কোটায় এবং অনৈতিক কমিশন বন্ধ করা হলেই বীমা শিল্পের গতি ফিরে আসবে


মোঃ রফিকুল ইসলাম : বিশ্বাস, সততা, ভালোবাস, সেবা এবং বিপদের দিনে বিশ্বস্ত বন্ধুর পরিচয়ই হলো বীমা ব্যবসা। সুখে, দুঃখের সারথি হলো বীমা। একজন বীমা কর্মী সঠিক সময় বীমা পলিসি দিয়ে সেবার হাত বাড়িয়ে দেন। তেমনিভাবে কোন বীমা গ্রাহক কোন রকম ক্ষতিগ্রস্ত হতেই তাঁর পাশে গিয়ে দাড়াচ্ছেন বীমা কর্মীরা এবং উত্থাপিত বীমা দাবী নিরুপিত হওয়ার সাথে সাথেই আর্থিক সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেন।

পক্ষান্তরে ব্যাংক গ্রাহকের টাকা দালালীর মাধ্যমে শিল্পপতিদেরকে ঋণ দিয়ে থাকেন। উক্ত ঋনের টাকায় গড়ে উঠা শিল্প প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ হলে কোন ব্যাংক তার পাশে থাকে না বরং ব্যাংকের টাকা কিভাবে রিকভারী করা যাবে সেই চিন্তা নিয়ে তারা কাজ করে থাকেন।

বীমাকারী প্রতিষ্ঠানের কাজই হলো বীমা গ্রহীতাকে সহযোগীতা করা। তাদের বিপদে পাশে থাকা। অতীতে বীমা শিল্পকে নিয়ে অনেকে অনেক ভুল ধারনা পোষন করেছিলেন। এখন মানুষের সেই ভুল ধারনা বদলিয়ে গিয়েছে।

বীমা শিল্পে কিছুটা ছলচাতুরীপনা থাকলেও সেটা অনেকটা দূর হয়েছে। বীমা কোম্পানীসমূহের নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আডিআরএ তা দূরীকরণে সরাসরি কাজ করে বীমা শিল্পের স্বচ্ছতা আনায়নে নিরলস ভূমিকা গ্রহণ করেছেন।

আমরা যারা বীমা শিল্পে কাজ করছি আমাদের অনেকের কাছেই বীমা সম্পর্কে অজানা ছিল। তবে বীমা আইন ২০১০ এর কার্যক্রম পরিচালনার পর থেকে আমরা অনেকেই বীমা সম্পর্কে অনেক নতুন নতুন তথ্য জেনেছি এবং সেমতে কাজ করছি। ফলে বীমা গ্রহীতার মনে যে অস্বচ্ছতার কাজ করেছিল তা আজ অনেকটাই দূর হয়েছে। বীমা গ্রহীতাগণ আজ তাদের সম্পদের বীমা করতে স্বচ্ছন্দবোধ করছেন তাদের মধ্যে স্বচেনতা সৃষ্টি হয়েছে, আজ তাদের সম্পদের ঝুঁকি নিতে বীমা করার জন্য এগিয়ে আসছে।

বীমা এমন একটি প্রকল্প যা নির্ণয় করা কঠিন। শুধুমাত্র বীমা গ্রহীতার মুখের কথার উপর বিশ্বাস করে সুদুর প্রসারী ঝুঁকির আবরণ দেয়া হয় এবং বিশ্বাসের উপরই অনেকটা নির্ভর করে। আমরা বিশ্বাস করি, বীমা শিল্পে যারা কাজ করে যাচ্ছেন তারা চেষ্টা করেন তাদের প্রতিটি কথাই বাস্তবায়ন করার জন্য।

নব্বইর দশক থেকেই বীমা কোম্পানীর সাথে জড়িত। আজ দেখতে দেখতে প্রায় ৩২ বছর অতিবাহিত হচ্ছে। সরাসরি ও পরোক্ষভাবেই বীমায় কাজ করেছি। তবে সরাসরি ১৯৯৭ সাল থেকে একটি নন-লাইফ বীমা কোম্পানীতে অফিসার পদে কর্মজীবন শুরু করি ও ২০১৯ সালে ঐ কোম্পানী থেকে চাকুরী ইস্তফা দিয়ে একই বছর ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স কোঃ লিঃ-এ পুনরায় কর্মজীবন শুরু করি অদ্যাবধি এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছি।

বীমা ব্যবসা হলো একটি সেবা মুলক কাজ। স্বচ্ছতার সাথে ও সঠিকভাবে যে যত সেবা দিতে পারবে সে তত ব্যবসা আহরণ করতে পারবে। বাজারে তার তত পরিচিতি পাবে। দেশ ও জাতিকে আত্মনির্ভরশীল করতে এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনতে হলে বীমার বিকল্প নাই।

বীমা ব্যবসা হলো ধৈর্য্য ও সাধনার ফল। যে যতবেশী ধৈর্য্যশীল হবেন সে তত বেশী অর্জন করতে পারবেন। এখানে মান অভিমানের কিছু নেই। যার মধ্যে ধৈর্য্য সহনশীলতা নেই সে বীমা ব্যবসা সফলকাম হবেন না। ব্যবসায় সফলকাম হতে হলে বীমা ব্যবসার সাথে অতোপ্রতোভাবে লেগে থাকতে হবে। তবেই সফলতা অর্জন করা সম্ভব।

আইডিআরএ ও বিআইএ এবং বীমা শিল্পের সহযোগী সংস্থাগুলোর যৌথ ও একযোগে কাজ করে বীমা শিল্পের অনৈতিক কমিশন দূর করা সম্ভব। কারণ এখানে শতভাগ শিক্ষিত লোক কাজ করছেন। তারা ন্যায় এবং অন্যায় বুঝেন তাই সদইচ্ছা থাকলে তারা কখনই অনৈতিক প্রতিযোগীতায় পা বাড়াবেন না এবং অনৈতিক লেন-দেন থেকে বিরত থাকবেন।

আইডিআরএ-এর বেধে দেয়া এজেন্সি কমিশন অতিক্রম করে অনৈতিকভাবে অধিক হারে কমিশন দিয়ে বীমা ব্যবসা বাগিয়ে নিচ্ছেন। একদিন নিজেদের বুকে হাত রেখে ওয়াদা করেছিলেন অনৈতিক কাজ করবেন না। কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য বাজারে আজ পঞ্চাশ পারসেন্ট বা আরোও অধিক কমিশন দেয়া হচ্ছে। প্রশ্ন থাকে কেন এই অবৈধ কাজটি জেনে শুনে করে যাচ্ছেন। মহান আল্লাহ মানুষের রূহ্ (আত্মা) সৃষ্টি করে বলেছিলেন দুনিয়ায় গিয়ে তোমরা কি আমাকে স্বীকার করবে, তখন সকল রূহ্ (আত্মা) সমস্বরে বলেছিলেন আমরা আপনাকে এক আল্লাহ এবং সৃষ্টি কর্তা ও পালন কর্তা হিসাবে অবশ্যই স্বীকার করবো। কিন্ত দুঃখের বিষয় আজ আমরা আল্লাহকে ভুলে পার্থিব জীবন নিয়ে মাতামাতি করছি। তাতে আমাদের অমঙ্গল ছাড়া কিছুই অর্জিত হয়নি বা হবে না। তদ্রুপ বীমা শিল্পের সিইওগণ নিজেদের বুকে হাত রেখে বলেছিলেন বীমা শিল্পে অনৈতিক কাজ করবো না এবং অন্যকেও অনৈতিক কাজ করতে দেবো না কিন্তু আজ তারা সেই ওয়াদা থেকে সরে গিয়েছেন এবং অনৈতিক কাজে নিজেদেরকে জড়িয়ে ফেলেছেন সাথে সাথে অন্যদেরকেও উৎসাহিত করেছেন।

আমরা শুনেছি হাকিম বদলায় হুকুম বদলায় না অথচ আমরা কি দেখলাম। আইডিআরএ কমিশন “শুন্য” ঘোষণা দিয়ে আবার তাদের সেই আইন বা বিধি ভঙ্গ করে আইন পরিবর্তন করলেন। প্রশ্ন থাকে কেন? এবং কাদের স্বার্থে নিজেদের গড়া আইন নিজেরাই ভঙ্গ করলেন।

আপনাদের সেই লেস ধরেই আজ বীমা শিল্পের বারোটা বাজিয়েছে। আমরা সবাই জানি নদীতে নতুন নতুন চর জাগে। এই চর কি একদিনে হচ্ছে? না, একদিনে হয়নি, ধীরে ধীরে-ছোট ছোট বালুকনা একত্র হয়ে বড় আকার ধারণ করে নদীর বুকে চর জাগে। সেইমতে আইডিআরএ-এর ঘোষণা ছিল কমিশন “শুন্য” আবার ঘোষণা এলো পনেরো পারসেন্ট এজেন্সি কমিশন দিতে হবে। সেই পনেরো পারসেন্টের সাথে যোগ হতে হতে আজ পঞ্চাশ পারসেন্ট বা আরও অধিক হারে অনৈতিক কমিশন প্রদান করা হচ্ছে।

বীমা শিল্পে অবক্ষয়ের আরও একটি কারণ রয়েছে। কোন উন্নয়ন কর্মকর্তার পরিচিত ভালো ব্যাংকার, ভালো শিল্পপতি বা ভালো প্রতিষ্ঠানে জব করেন উচ্চ পদে আপনজন বা বন্ধু। এদের মাধ্যমে ঐ উন্নয়ন কর্মকর্তা ভালো ব্যবসা আহরণ করে বলে হুটহাট বীমা কোম্পানী তাকে উচ্চ পদ-পদবী দিয়ে চাকুরী দেন অথচ ঐ পদের জন্য তিনি যোগ্য নন। এভাবেও বীমা শিল্পের ক্ষতি বীমা কোম্পানীসমূহের সিইওগণ দিয়ে যাচ্ছেন। ফলে বীমা কোম্পানীসমূহের ভাবমুর্তি নষ্ট হচ্ছে।

একজন ডাক্তারের অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং দীর্ঘদিন প্রাকটিস করে যাচ্ছেন। অনেক অনেক ডাক্তারই তার ছাত্র এবং তার জুনিয়র। এই দুই ডাক্তারকে নাম করা একই হসপিটালে চাকুরী দেয়া হলো। দেখা গেল অভিজ্ঞ ডাক্তার সাহেবের চেম্বারে এসি নেই, নেই কোন ভালো সোফা। অথচ ঐ ডাক্তারের ছাত্রের রুমে এসি ও ভালো সোফাসহ আরও অনেক কিছু রয়েছে। এর কারণ হলো হসপিটালে যে যত বেশী ডায়াগনিষ্টিক পরীক্ষা নিরীক্ষা দিয়ে হসপিটালে টাকা রোজগারের পথ করে দিতে পারে তাকেই হসপিটালের মালিক এসি ও ভালো সোফা কেন তারে আরও অনেক কিছু উপহার দিতেও পিচ পা হবে না। ঠিক সেই রকমই যোগ্য ব্যক্তিরা পেছনে পড়ে যাচ্ছেন বা ঝড়ে পরে যাচ্ছেন। অযোগ্যরা অনৈতিকভাবে কাজ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। এই সকল বিষয়গুলো আমাদের সকলেরই নজরে আনতে হবে।

আইডিআরএ-এর কিছু পদক্ষেপ প্রসংশনীয়। যেমন (১) বীমা মেলা। এই বীমা মেলা করে বীমা শিল্পকে জনগণের গোড়দৌড়ে পৌঁছাতে পেরেছেন। বীমা শিল্পকে মানুষ চিনতে পেরেছে। বীমা কি তা আজ অনেকেই চিনতে পেরেছেন, জানতে পেরেছেন। ফলে বীমার পরিচিতি বৃদ্ধি পেয়েছে। (২)আইডিআরএ-কর্তৃক “শুন্য” পারসেন্ট কমিশন ঘোষণায় বীমা ব্যবসা বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং বীমা শিল্পে স্বচ্ছতা ও বিশ্বচ্ছতা ফিরে এসেছিল। দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে সেই স্বচ্চতায়ে এজেন্সি পুনরায় চালু করার কারণে বীমা শিল্পকে চোরা বালিতে ধরে ফেলেছে। যতই দিন যাচ্ছে অনৈক কমিশন ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই দয়া করে বীমা কমিশন শুন্য কোটায় যেতে হবে। অন্যথায় বীমা কোম্পানীসমূহ নষ্ট হয়ে যাবে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাবে।

আইডিআরএ-বীমা শিল্পের “মা-বাবা ও মুরুব্বী” তাঁদের নীতি নির্ধারণেই এই শিল্পের উন্নয়ন হবে। তারা একদিকে এজেন্সি কমিশন পুনরায় চালু করেছেন, আবার রেইট কমিয়েছেন। ফলে তাদের হাতে গড়া শিল্প তারাই ধ্বংশ করেছেন। আমরা জানি কেউ কোন কিছু সৃষ্টি করলে তার হাতে গড়া সৃষ্টির প্রতি ভালোবাসা থাকে অন্যরকম। কিন্তু পরিতাপের সাথে বলতে হচ্ছে আডিআরএ-তাদের দো-নীতির কারণে বীমা শিল্প ধ্বংস হচ্ছে এবং আরও হবে।

বীমা শিল্পই ঝুঁকির ব্যবসা। জানা অজানা সম্পদের বীমা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ঝুঁকি আবরিত হয়। প্রবাদে আছে প্রচারে প্রশার ঘটে। যে কোম্পানী যত বেশী বীমা দাবী পরিশোধ করতে সে কোম্পানীর তত বেশী নাম ডাক থাকবে এবং বেশী বেশী ব্যবসা আহরিত হবে।

অনেক সময় কিছু কিছু বীমা গ্রহীতা অনৈতিকভাবে বীমা দাবী উত্থাপন করে থাকেন। ফলে বীমাকারী প্রতিষ্ঠান সার্ভেয়ার নিয়োগ দিয়ে বীমাকৃত দাবীর সম্পদের ক্ষতির নিরূপন করেন। সার্ভেয়ারে প্রতিবেদন অনুযায়ী বীমা দাবী নাকোচ হলেও আইডিআরএ অনেকটা যুক্তিক বা অযুক্তিক প্রভাব খাটিয়ে বীমা দাবী আদায় করে থাকেন। বীমা কোম্পানীসমূহ এটার থেকেও বাঁচতে চান।

এই শিল্পকে রক্ষা করতে হলে আইডিআরএ-এর উচিৎ সরকারের উচ্চ পর্যায় আলোচনা করে বীমা সম্পর্কে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই পাঠ্যপুস্তুকে অর্ন্তুভুক্ত করা। তাহলে এই শিল্পে ডিগ্রীধারী ছেলেমেয়েরা ভবিষ্যতে কাজ করবে এবং বীমা সম্পর্কে জ্ঞাত হবে।

আজকে কমিশনের কারণে ব্যাংকার ও বীমা গ্রহীতাগণ বীমা কর্মিদের সাথে দ্যান দরবার করছেন। গরু ব্যবসায়িরা যেমন গরুর দাম হাকিয়ে থাকেন ভাই একটু আগে কাস্টমার এতো টাকা বলে গিয়েছেন একটুর জন্য বেধে আছে আপনি কত দিবেন বলুন, আমরা এতোটি গরু এনেছিলাম মাত্র এই গরুটিই আছে একটু কম হলেও ছেড়ে দিয়ে দেশে চলে যাবো। ঠিক তেমনীভাবে ব্যাংকার ও বীমা গ্রহীতাগণ আমাদের বীমা কর্মিদের সাথে কমিশনের ব্যাপারে একই রকম আলোচনা করেন অনৈতিক কমিশন নিয়ে থাকেন।

বীমা শিল্পের ক্ষতিকারক আরও দিক রয়েছে “সেটা হলো ব্যবসায়িক টার্গেট” কোন কোন কোম্পানীতে ব্যবসায়িক টার্গেট নেই। আবার কোন কোন কোম্পানীতে ব্যবসায়িক টার্গেট রয়েছে। ফলে এই দো-নিয়মে ব্যবসা করতে গিয়ে অনেকেই অনেকভাবে অনৈতিক ও অপকর্মে জড়িত হয়ে ব্যবসা আহরণ জীবন জীবিকা অর্জন কযে যাচ্ছেন।

দেখুন খেলার মাঠে যদি খেলোয়ারগণ পেনিক থাকেন সেক্ষেত্রে খেলোয়ারগণ ভালো খেলতে পারেন না। তাদের মাথায় পেনিক, ভয় কাজ করে। তদ্রুপ বীমা কর্মীদের টার্গেট থাকলে তাদেরও মাথায় ভয় থাকে কিভাবে টার্গেট পূরণ করা যায় তা না হলে মাসের শেষে বেতন ভাতা পাওয়া যাবে না, ফলে ঘর ভাড়া, সন্তানদের লেখাপড়ার টাকা যোগার হবে না। তাই তারা বুঝে শুনেই অনেকটা অনৈতিক ভাবে ব্যবসা আহরণে মেতে উঠে।

ইদানিং শুনতে পেরেছি অনেক কোম্পানী ডেক্স কর্মকর্তা কর্মচারীদের ব্যবসায়িক টার্গেট নির্ধারণ করেছেন। ফলে ঐ সকল ডেক্স কর্মকর্তা কর্মচারীরা কিভাবে ব্যবসা আহরণ করবেন তাদের সময় কোথায়। হয়তোবা শতকরা ৫% ডেক্স কর্মকর্তা/কর্মচারী ব্যবসা আহরণ করতে পারেন। তবে তাদের উপর অতিরিক্ত চাপ দিলে তারা অনৈতিক পন্থা গ্রহণ করবে যেমন অতিরিক্ত অনৈতিক কমিশন প্রদান করবেন। কারণ তাদের মাসিক বেতন আছে এজেন্সি কমিশন যতটুকু পাবেন তার সবটুকুই পার্টি/ব্যাংকারকে দিয়ে হয়তো ব্যবসাটি নিয়ে আসবেন।

আমাদের সকলের একটা কথা মনে রাখতে হবে। যেমন দরুন যারা খেলাধুলা করেন তাদের সন্তানেরা খেলাধুলায় পারদর্শি হয়। যারা ব্যাংকার তাদের সন্তানেরা ব্যাংক সম্পর্কে ভালো ধারণা নিয়ে ব্যাংকেই তাদের চাকুরী হয়ে থাকে। পক্ষান্তরে আমরা যারা বীমায় চাকুরী করি আমাদের সন্তানদের সেই ভাবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যোগ্যতা অনুসারে বীমা কোম্পানীতে চাকুরী দেয়া উচিৎ মনে করি।