Home ব্রেকিং নির্বাচন নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র রাজপথে মোকাবিলা করা হবে : মায়া

নির্বাচন নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র রাজপথে মোকাবিলা করা হবে : মায়া


বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও চাঁদপুরের কৃতী সন্তান মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি সকল ষড়যন্ত্র রাজপথে মোকাবিলা করা হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছেই দেশ নিরাপদ।

চাঁদপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং সরকারের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা জনপ্রিয় এই রাজনীতিবিদ আরো বলেন, আমার অধিকার রয়েছে মতলবের মানুষের প্রতি। আগামী জাতীয় নির্বাচনে এ আসনটি শেখ হাসিনাকে উপহার দেব ইনশা আল্লাহ।

শনিবার (৭ অক্টোবর) বিকালে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভায় পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত ‘শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এসব কথা বলেন।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ছেংগারচর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির হোসেন বেপারী। সঞ্চালনা করেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান ঢালী ও পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির খান।

মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেন, সংবিধান অনুসারে যথাসময়ে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। কেউ ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না।

তিনি বলেন, আগামী বছর ২০২৪ সালে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নভেম্বরের ৮-৯ তারিখের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।

মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, নির্ধারিত সময়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর এতে দেশের জনগণ উন্নয়নের স্বার্থে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করবে। সামনের নির্বাচনে নৌকার জয়জয়কার হবে।

আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এই নেতা বলেন, বিএনপি-জামায়াত বলে তারা নাকি নির্বাচন করতে দেবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও নির্বাচন কমিশনের অধীনেই অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। যদি কেউ নির্বাচন বানচাল করতে চায় তাহলে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবো। শেখ হাসিনার হাতেই দেশ নিরাপদ। তাই আবারো নৌকাকে বিজয়ী করে শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতায় আনতে হবে।

মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, জানুয়ারি মাসে যথাসময়ে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে জামায়াত-বিএনপি যদি আগুনসন্ত্রাস করে বা নির্বাচনে বাধা দেয়, তাহলে দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে।

মতলব উত্তরের একজন ‘নব্য মুক্তিযোদ্ধা’ পরিচয়দনকারীর উদ্দেশে তিনি বলেন, কোথায় কার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন তা প্রমাণ করতে হবে। আপনারা নিজ দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হয়রানি করছেন, মামলা দিয়েছেন, যা ক্ষমার অযোগ্য। মতলব উত্তরে দুটি পরিবার চিহ্নিত স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার পরিবার। একটি হলো বাচ্চু রাজাকার, আরেকটি হলো মোহনপুরের কাজী পরিবার।

মতলবের মাটি ও মানুষের এই নেতা বলেন, মতলব উত্তর ও দক্ষিণে আমি যা উন্নয়ন করেছি তা এলাকার জনগণ জানে। অযথা মিথ্যা প্রপাগান্ডা করে লাভ নেই। আর যারা ক্ষমতায় আছে বা ছিল, তারা কাজের কাজ কিছুই করেনি। তাদের অনুরোধে করে বলব, শান্তির মতলবকে অশান্ত করার চেষ্টা করবেন না।

সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ ওচমান গনি পাটওয়ারী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদস্য সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন মানিক, মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইউব আলী গাজী, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম হাওলাদার, গাজী ইলিয়াসুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ মুক্তার হোসেন গাজী, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পারভীন শরীফ, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রিপন, পৌরসভা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তোফায়েল হোসেন, পৌর যুবলীগ নেতা শামীম প্রধান, ছেংগারচর সরকারি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক মনির হোসেন, মতলব উত্তর উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য সদরুল আমিন, জনি প্রমুখ।

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শাহ আলম, মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের প্রধান উপদেষ্টা পারভীন চৌধুরী রিনা, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক সুবর্ণা চৌধুরী বীণা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আশফাক চৌধুরী মাহী, মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল মোস্তফা তালুকদার, মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম মাস্টার, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক হানিফ দর্জি, রাধেশ্যাম সাহা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য রিয়াজুল হাসান রিয়াজ, আওয়ামী লীগ নেতা আহসান উল্লাহ হাসান, অ্যাডভোকেট সেলিম মিয়া, কলাকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান আ. সোবহান সরকার সুভা, ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজমল হোসেন চৌধুরী, ফরাজীকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দানেশ, জহিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী সেলিম মিয়া, বাগানবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নান্নু মিয়া, ষাটনল ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান একেএম শরীফ উল্লাহ সরকার, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী শরীফ, ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক মিনহাজ উদ্দিন খান, যুগ্ম আহবায়ক তামজিদ সরকার রিয়াদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জহির রায়হান, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রহমত উল্লাহ সরকার লিখন, উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন বেপারী প্রমুখ।