Home ক্যাম্পাস খবর তীব্র শীতে ঠাকুরগাঁও জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ ঘোষণা

তীব্র শীতে ঠাকুরগাঁও জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ ঘোষণা


তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ও ঠান্ডায় বিপর্যস্ত ঠাকুরগাঁও জেলার জনজীবন। এতে চরম দুর্ভোগে জেলার দুস্থ, অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষ। মধ্য জানুয়ারি থেকে দ্বিতীয় দফায় দেশের উত্তরাঞ্চলের এই জনপদে বেড়েছে শীতের প্রকোপ। কোথাও কোথাও বইছে শৈত্যপ্রবাহ। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাচ্ছেনা কেউ। এমন পরিস্থিতিতে জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির উপরে না উঠা পর্যন্ত সব স্কুল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, ঠাকুরগাঁওয়ে তাপমাত্রা নিরূপণের কোনো দপ্তর নেই। তবে প্রতিদিন তাপমাত্রা পরিমাপ করে কৃষি সম্প্রসাারণ অধিদপ্তর। তারা জানায়, বিগত ৪/৫ দিন ধরে প্রথমে মৃদু ও পরে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ চলছে জেলায়। গতকাল শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৭টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৭-৯৮ শতাংশ।
আজ শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৫-৯৬ শতাংশ। রাতে এই তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকে বলেও জানায় জেলা কৃষি সম্প্রসাারণ অধিদপ্তর ।
তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে গেলে স্কুল বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহীদ আকতার ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার মনছুর রহমান স্বাক্ষরিত আলাদা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
এতে বলা হয়, তাপমাত্রা ১০ডিগ্রি সেলসিয়াসে না আসা পর্যন্ত জেলার সকল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে শিক্ষকরা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে অন্যান্য কার্যক্রম অব্যাহত রাখবেন।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহীদ আকতার ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার মনছুর রহমান পৃথকভাবে জানান, তাপমাত্রা সর্বনিম্ন থাকায় শিক্ষার্থীদের অসুবিধার কথা বিবেচনায় রেখে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান ছুটির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের কষ্টের কথা বিবেচনা করে জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। আবহওয়া স্বাভাবিক হলে আবারো বিদ্যালয়ের পাঠদান প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানান তিনি।