আন্তর্জাতিক

    Home আন্তর্জাতিক

    ভূমধ্যসাগরে জাহাজডুবিতে ১৭০ শরণার্থীর মৃত্যু

    0

    বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা ডেস্ক : ভূমধ্যসাগরে দুটি জাহাজডুবির ঘটনায় ১৭০ শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর।

    ইউএনএইচসিআর ছাড়াও ইতালিয়ান নৌবাহিনী লিবিয়া উপকূলে ১১৭ যাত্রীবাহী একটি জাহাজডুবে যাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে।

    ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র ফ্লাবিও ডি গিয়াসোমো বলেন, জীবিত উদ্ধার করা তিন শরণার্থী জানিয়েছেন- লিবিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করা তাদের রাবারের নৌকাটিতে ১২০ যাত্রী ছিলেন। খবর বিবিসির।

    অপর শরণার্থীবোঝাই জাহাজটি ডুবেছে ভূমধ্যসাগরের পশ্চিমে আল বোরান সাগরে। সেখানে কমপক্ষে ৫৩ শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে একটি বেসরকারি সংস্থা জানিয়েছে।

    গত বছর ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়ার সময় দুই হাজার ২০০ জনের বেশি অভিবাসী প্রাণ হারিয়েছে।

    এ ঘটনার পর ইউএনএইচসিআরের হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘ইউরোপ যাওয়ার পথে গত বছর সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

    আমরা সব দেখেশুনে চোখ বুজে থাকতে পারি না। সাগরে এ মৃত্যুর মিছিল থামাতে হলে এ ব্যাপারে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে।

    ভাড়ায় ভগ্নি মিলছে যেখানে

    0

    বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা ডেস্ক :  জাপান মানেই সুসজ্জিত ভবনে ভরা আলো–ঝলমল নগর আর কর্মব্যস্ত সবার ছুটে চলা। অথচ এই নগরেই গড়ে উঠেছে বিচিত্র পেশা—‘ভাড়াটে বোন’ সরবরাহ। অর্থের বিনিময়ে বোন হিসেবে কাজ করেন তাঁরা। চাকচিক্যের দেশে কী এমন হলো যে ‘ভাড়াটে বোন’ সরবরাহের পেশা গড়ে উঠল?

    এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে যা বেরিয়ে এল, তা বেশ ভয়াবহ। অনেকটা আলোর নিচে অন্ধকারের মতো ঘটনা। জানা গেল, হিকিকোমোরি নামের একটি সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে জাপানের তরুণ প্রজন্ম। এতে আক্রান্ত তরুণ-তরুণী সমাজ থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেন। তাঁরা ঘরবন্দী হয়ে যান। মা-বাবা বা আপনজনদের সঙ্গ এড়িয়ে চলেন। বরং কিছু জানতে চাইলে বিরক্ত হন, কখনোবা সহিংস আচরণ করেন। দিনের পর দিন, বছরের পর বছর তাঁরা এভাবেই থাকেন। টিভি দেখেন, গেম খেলেন। আর কিছুতে তাঁদের মন থাকে না।

    হিকিকোমোরিতে আক্রান্ত হতে পারেন যে–কেউ। তবে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী তরুণদের মধ্যে এই প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। বয়সী অল্প কিছু মেয়ের মধ্যেও এমনটা দেখা যায়। হিকিকোমোরিতে আক্রান্ত সন্তান থাকাটা সমাজের চোখে লজ্জাজনক। তাই পরিবার তাদের কথা গোপন রাখে। কীভাবে এ থেকে মুক্তি পাবে, সেই চিন্তায় অস্থির থাকে। জাপানে তরুণ প্রজন্মের প্রায় পাঁচ লাখ এই সমস্যায় আক্রান্ত। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি বলে মনে করা হয়।

    বিবিসির সাংবাদিক কথা বলেন কেনতা নামের হিকিকোমোরিতে আক্রান্ত এক তরুণের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বিদ্যালয়ে আমি মেয়েদের সঙ্গে বেশি মিশতাম। এ জন্য সবাই আমাকে খ্যাপাত। বলত, তুমি ছেলে না মেয়ে? আমার ভীষণ খারাপ লাগত। আমি খুবই অসুখী বোধ করতাম। নিঃসঙ্গ বোধ করতাম। সারাক্ষণ কাঁদতাম। মা-বাবাকে দোষারোপ করতাম। নিজের ওপর রাগ হতো, সমাজের ওপর রাগ হতো। মনে হতো আমার কিছু করার নেই। এমন পরিস্থিতি পর্যন্ত হয়েছে যে, বাবা-মাকে পুলিশ ডেকেছে। মুক্তি পেতে আমি ওষুধ খাচ্ছিলাম। তবে কিছুতেই আমার কিছু হয়নি। আমি সারা রাত ভিডিও গেম খেলে, সারা দিন ঘুমাতাম। সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘুমাতাম। আবার সারা রাত খেলতাম, সারা দিন ঘুমাতাম।’

    কেনতার মতো মানুষকে মুক্তি দিতে এগিয়ে এসেছে নিউ স্টার্ট নামের একটি সংগঠন। তারাই ভাড়ায় বোন সরবরাহ করার ধারণা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে। তাদের এই উদ্যোগ যে কাজে লাগছে, সেই প্রমাণও মিলেছে।

    নিউ স্টার্টের হয়ে ভাড়ায় কাজ করেন—এমন এক বোন আয়াকো। এই বিশেষায়িত দলে আছেন তাঁর মতো আরও অনেক নারী। হিকিকোমোরিতে আক্রান্ত তরুণদের সহায়তা করার জন্য এই তরুণীদের ভাড়ায় নেওয়া হয়। তাঁদের মূল কাজ ওই তরুণদের নিজের ঘরের বাইরে বের করে নিয়ে যাওয়া। সমাজে আবার মিশে যেতে সহায়তা করা।

    তরুণেরা কেন হিকিকোমোরিতে আক্রান্ত হচ্ছেন, এর কোনো কারণ জানা যায়নি। এর কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা নেই। সুনির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসাও নেই। তবে নিঃসঙ্গতা থেকে এমনটা হতে পারে ধরে নিয়েই কাজ শুরু করে নিউ স্টার্ট। চেষ্টা করে তরুণদের নতুন পথে নিয়ে যেতে, তাদের সামনে নতুন জগৎ মেলে ধরতে।

    যে তরুণীরা হিকিকোমোরিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সারাতে কাজ করেন, তাঁরা কেউই চিকিৎসাবিজ্ঞানে ডিগ্রিধারী নন। একেবারেই সাধারণ যোগ্যতার। তবে তাঁদের আয় শুনলে কপালে চোখ উঠে যেতে বাধ্য। মাসে এক লাখ ইয়েনের বেশি আয় তাঁদের। আয়াকো নামের ভাড়াটে বোন বললেন, ‘আমি কোনো কৌশল জানি না। আমি শুধু তাদের সঙ্গে তাদের মতো করে মেশার চেষ্টা করি।’ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি এ পেশায় আছেন।

    আয়াকোর সাহচর্যে বদলে যেতে শুরু করে কেনতা। ছয় মাস ধরে কেনতার ভাড়াটে বোন হিসেবে কাজ করছেন তিনি। কেনতা এখন বাড়ির বাইরে বের হন। কেনতা বলেন, ‘আমি আমার ভাড়ায় আনা বোনকে দেখে খুশি হই। গল্পগুজব করি। দুজনে মিলে বাইরে খাওয়াদাওয়া করতে যাই। তিনি আমাকে অনেক সাহায্য করেন। আমার নিজেকে আর একা মনে হয় না। ভালো লাগতে শুরু করে। তিনি আমাকে প্রেরণা দেন। নিজের ওপর বিশ্বাস ফিরে আসছে আমার।’

    এভাবে ভাইবোনের মতো থাকতে থাকতে অনেক সময় উভয়ের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে সেটা সব সময় নয়। আয়াকোর ভাষ্য, তাঁদের সাহচর্য পেয়ে সবাই যে খুব খুশি হয় বা তাদের সঙ্গে প্রাণ খুলে মজা করে, এমনটা সব সময় হয় না। তবে কেনতার মতো অনেকেই তাঁদের ভালোভাবে মেনে নেন। কেনতাও বললেন, ‘আমি যখন আর তাঁকে দেখব না, তখন খুব খারাপ লাগবে। তবে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আনন্দও আমার মধ্যে তখন প্রবলভাবে কাজ করবে। আমি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ।’ আয়াকো জানালেন, তিনি রোগীদের সঙ্গে ভণিতা করেন না। কারণ, সেটা তারা বুঝে ফেলে। তাঁর ভাষায়, ‘আমি যা, যেমন, সেটাই তাদের সামনে তুলে ধরি। সেভাবেই কাজ করি।’ তবে এ পেশায় টিকতে হলে ধৈর্যের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য তাঁর।

    আয়াকোর এই মন্তব্য কেন ঠিক, তা স্পষ্ট হলো এক বাবার কথায়। হারুতো নামের ছদ্মনামধারী এক বাবা বলেন, কিশোর বয়সে তাঁর ছেলে নিজেকে ঘরে বন্দী করে ফেলে। একবার ঘুষি মেরে জানালার সব কাচ ভেঙে ফেলল। নিজের মাকে এমন জোরে ঘুষি দিল যে তাঁর পাঁজর ভেঙে গেল। ছেলের এমন অবস্থার দুই দশক পেরিয়ে গেছে। এখনো সে নিজের ঘরেই নিজেকে আটকে রাখে। কীভাবে এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হবে, তা তিনি জানেন না। ছেলে তার মায়ের মৃত্যুর পরও আগের মতোই আছে। ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত তিনি।

    এই বাবা তখন নিউ স্টার্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেখান থেকে আৎসুকো নামের এক তরুণী তাঁর ছেলের বোন হওয়ার জন্য যান। আৎসুকো বললেন, ‘ওই বাড়িতে গিয়ে আমি ভয়াবহ বিপদের মধ্যে পড়ি। ওই তরুণ ঘর থেকে বের হতে চাননি। উল্টো আমাকে মারধর করেন। আমি আর সেখানে যাইনি।’

    ঠিক কী কারণে হিকিকোমোরি হয়, তার কারণ বেশ জটিল। কেনতার ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ে হাসিঠাট্টার শিকার হওয়ার বিষয়টি কাজ করেছে। বিষণ্নতা, মাত্রাতিরিক্ত চাপ থেকেও এমনটা হতে পারে। তবে একেকজনের লক্ষণ একেক রকম হয়।

    মনোবিজ্ঞানী তামাকি সাইতো বলেন, জাপানে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা ১০ হাজারের কম। অথচ হিকিকোমোরিতে আক্রান্তের সংখ্যা কয়েক লাখ। অনেকে ভাবেন, হিকিকোমোরিতে আক্রান্তরা অলস। আবার কেউ কেউ ভাবেন, তাঁরা বিপজ্জনক কিংবা তাঁরা ভয়াবহ অপরাধী হতে যাচ্ছে। আসলে বিষয়টা এমন না।

    ভাড়ায় বোন সরবরাহের পাশাপাশি ভাড়ায় থাকার ব্যবস্থাও আছে নিউ স্টার্টের। আছে খণ্ডকালীন কাজের ব্যবস্থাও। তবে সেগুলো জনসেবামূলক কাজ। এখানে যাঁরা আসেন, তাঁরা ফোন ব্যবহার করতে পারেন না। ভিডিও গেম খেলা নিষিদ্ধ। শুধু টিভি দেখতে পারেন, তাও সবাই মিলে এক জায়গায় বসে। দেড় যুগের বেশি সময় ধরে এখানে প্রায় দুই হাজার লোক থেকেছেন। ৮০ শতাংশের বেশি এক বছরের মতো এখানে থেকে স্বাভাবিক হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। মিশে গেছেন মূল স্রোতে।

    ভাড়ায় নিউ স্টার্টের আবাসনে থেকেছেন ইকো নামের এক তরুণ। তিনি জানালেন, এখানে থেকে থেকে তাঁর জীবন বদলে গেছে। জীবনবোধ ইতিবাচক হয়েছে। হতাশা, একাকিত্বকে পেছনে ফেলে তিনি এখন সাধারণ আর স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন। তবে নিজে ভালো থেকেই ক্ষান্ত হননি তিনি। তাঁর মতো যাঁরা হিকিকোমোরিতে আক্রান্ত, তাঁদের পাশে দাঁড়ান তিনি। বিশেষ করে আক্রান্ত তরুণীদের ভাই হয়ে পাশে দাঁড়ান তিনি। এটা করেন স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে। কারণ, হিকিকোমোরিতে আক্রান্ত তরুণীদের অবস্থা বেশি খারাপ। গোপনীয়তার সংস্কৃতি এই তরুণীদের জীবনকে আরও খারাপ করে তোলে।

    মেক্সিকোতে তেলের পাইপলাইন বিস্ফোরণ, নিহত বেড়ে ৬৬

    0

    বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা ডেস্ক : মেক্সিকোর হিদালগো প্রদেশে ফুটো হয়ে যাওয়া একটি তেলের পাইপলাইন থেকে তেল চুরি করতে গিয়ে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৭৬ জন আহত হয়েছেন।

    শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে ত্লাহুয়েলিলপান শহরের কাছে ‘তুলা’ তেল শোধনাগারে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়। তবে দেশটির প্রেসিডেন্ট এ ঘটনা নিয়ে কঠোর ব্যবস্থার ঘোষণা দিয়েছেন।

    দেশটির প্রেসিডেন্ট অ্যানড্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ অবরাডোর জানান, এতে বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে।

    প্রেসিডেন্ট ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট অ্যানড্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ অবরাডোর বলেন, তেল চুরির বিষয়টি বন্ধে পরিকল্পনা চালিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, আমরা থামব না, আমরা এটির নির্মূল করব।

    এদিকে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয় প্রাদেশিক গভর্নর ওমর ফায়াদ বলেন, পাইপের ফুটো দিয়ে গড়িয়ে পড়া তেল চুরি করতে স্থানীয়রা হুড়োহুড়ি করছিল। তার মধ্যেই হঠাৎ করে আগুন লেগে পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।

    তিনি বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও ওই এলাকা এখন প্রচণ্ড উত্তপ্ত হয়ে আছে। যে কারণে উদ্ধারকর্মীদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

    বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, স্থানীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ফুটেজে রাতের আকাশে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে ও কালো ধোঁয়ায় চারদিক ছেয়ে যেতে দেখা গেছে। তার মধ্যে লোকজনের চিৎকার ও কান্নার আওয়াজও পাওয়া গেছে।

    এক বিবৃতিতে মেক্সিকোর রাষ্ট্রীয় জ্বালানি কোম্পানি পেমেক্স বলেছে, তেলের পাইপলাইনে অবৈধ ফুটো করার কারণে আগুন ধরে গেছে। বিস্ফোরণের পর ওই এলাকায় হাজার হাজার মেরিন সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। একই সঙ্গে তেলের সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

    অতীতেও মেক্সিকোর এই কোম্পানির তেলের পাইপলাইনে বিস্ফোরণে অনেক মানুষের প্রাণহানির রেকর্ড রয়েছে। ২০১৩ সালে মেক্সিকো সিটিতে কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে এক বিস্ফোরণে ৩৭ জনের প্রাণহানি ঘটে। ২০১২ সালে পেমেক্সের এক গ্যাস স্থাপনায় আগুনে ২৬ জন মারা যায়।

    মেক্সিকোয় গ্যাস পাইপলাইনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ; নিহত ২১

    0

    বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা ডেস্ক :  মধ্য মেক্সিকোয় জ্বালানি গ্যাসের পাইপলাইনে আগুন লেগে ভয়াবহ বিস্ফোরণে প্রাণ হারালেন কমপক্ষে ২১ জন। আহত প্রায় আরও ৭১ জন।

    মেক্সিকো শহর থেকে ৮০ মাইল দূরে মধ্য মেক্সিকোর তালহুয়েলিলাপানে ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ।

    ঘটনার পর দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় উদ্ধারাকরী দল। পৌছায় দমকল বাহিনী। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও চলছে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ।

    দেশটির হিদালগো রাজ্যের গভর্নর ওমর ফায়াদ জানিয়েছেন, তিয়াহুয়েলিলপান শহরের কাছে অবস্থিত তুলা তেল শোধনাগারে ফুটো হওয়া জ্বালানি তেলের পাইপলাইন থেকে তেল বের হতে দেখে স্থানীয় লোকজন সেখান থেকে তেল চুরি করতে ভিড় জমায়। ওই সময়ই সেখানে বিস্ফোরণ ঘটে।

    বিস্ফোরণের সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে নিহত হয় বেশ কয়েকজন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাদের অধিকাংশের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।

    স্থানীয় সময় শুক্রবার গভীর রাতে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। টেলিভিশন ফুটেজে তিয়াহুয়েলিলপান শহরের রাতের আকাশ ছুঁয়ে যেতে দেখা গেছে আগুনের শিখাকে।

    খবর পেয়ে পরে গভর্নর ফায়াদ হেলিকপ্টারে করে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং আশপাশে বসবাসকারীদের সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছেন। হেলিকপ্টার থেকে ধারণ করা ভিডিওচিত্র টুইটারে শেয়ারও করেন তিনি।

    মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেঁ মানুয়েল লোপেজ ওব্রাদোর স্থানীয় লোকজনকে রক্ষায় সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছেন।

    পাইপলাইন লিক হওয়ার কারণ এখনো পরিষ্কার নয়। তবে মেক্সিকোর রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোলিয়াম কোম্পানি পেমেক্স অতীতেও বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে।

    সর্বশেষ ২০১৩ সালে মেক্সিকো সিটিতে কোম্পানিটির সদরদপ্তরে বিস্ফোরণে অন্তত ৩৭ জন এবং ২০১২ সালে এর একটি গ্যাস ফ্যাসিলিটিতে আগুন লেগে আরও ২৬ জন নিহত হয়েছিল।

    ৯৬ টাকায় হতে পারেন বাড়ির মালিক!

    0

    বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা ডেস্ক : জনপ্রিয় মার্কিন শহর সানফ্রানসিসকোর মতো এলাকায় বসবাসের জন্য একটি বাড়ির মূল্য ১০ লাখ মিলিয়ন ডলার। ইতালিয়ান সাম্বুকা শহরে পশ্চিম সিনিলাই এলাকায় একটি বাড়ির দাম এক ইউরো বা ১.১৫ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ৯৬ টাকা। এমন বিজ্ঞাপন দিয়েছে সাম্বুকা নগর কর্তৃপক্ষ। আর এটি যে কোনো দেশের নাগরিক কিনতে পারবে।

    এমন নামমাত্র মূল্যে বাড়ি বিক্রির পেছনের কারণ হল সেখানে মানুষ কম। কর্তৃপক্ষ শহরটি পুনর্গঠন ও জনসংখ্যা বাড়াতে এমন উদ্যোগ নিয়েছে। প্রতিটা বাড়ি ৪৩০ স্কয়ার ফিট থেকে ১৬৪০ স্কয়ার ফিট।

    কিন্তু আধুনিক এ যুগে মানুষ গ্রাম ছেড়ে পাড়ি জমাচ্ছেন শহরে। তাইতো ইতালির অন্য গ্রামের মতো এ অঞ্চলও প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়েছে।

    সিএনএনে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন সম্প্রচারিত হওয়ার পর হাজার হাজার মানুষ ইতালির এই শহরে নিজের একটা আশ্রয় তৈরি করতে উৎসুক হয়ে ওঠেন। বিজ্ঞাপন দেয়ার পর গত শুক্রবার পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ থেকে বাড়ি কিনতে চেয়ে ৩৮ হাজার ইমেইল পেয়েছে নগর কর্তৃপক্ষ।

    সাম্বুকা একটি জাঁকজমকপূর্ণ শহর। ২০১৬ সালে ইতালির সৌন্দর্যপূর্ণ শহরের একটি।

    সাম্বুকার উপমেয়র জুজেপ্পে কাচোপ্পো এবং টুরিস্ট কাউন্সিলর সিএনএনকে এক সাক্ষাৎকার দেন। এতে তিনি সাম্বুকাকে শান্তির ও কোলাহলমুক্ত শহর হিসেবে বলেন। তিনি বলেন, এটা খুবই ভালো একটা ব্যাপার। আর মানুষের আগ্রহ দেখে আমি বিস্মিত। অল্প কয়েকদিনেই আমি চাপের মধ্যে পড়ে গেছি। ইমেইলের ইনবক্স পুরো ভর্তি।

    তবে টাকা দিলেই যে বাড়ি পাওয়া যাবে এ ব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি মেয়র জুজেপ্পে । তিনি বলছেন, ‘আমি ক্রেতাদের উদ্দেশে বলব আপনারা হতাশ হবেন না। আপনাদের আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি। এখানে প্রতারণার কোনো ঝুঁকি নেই। আপনি যদি ওই বাড়ি কিনতে চান, তো সঙ্গে সঙ্গেই তা হাতে পেয়ে যাবেন।

    ছেলের মা হলেন টিউলিপ সিদ্দিক

    0

    বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা ডেস্ক : ছেলে সন্তানের মা হলেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক। বৃহস্পতিবার সকালে হ্যাম্পস্টিডের রয়্যাল ফ্রি হাসপাতালে দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দেন তিনি।

    ক্যামডেন নিউ জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হ্যাম্পস্টিড অ্যান্ড কিলবার্নের এই এমপি বৃহস্পতিবার সকালে রয়্যাল ফ্রি হাসপাতালে সিজারিয়ানের মাধ্যমে পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। দেশটির ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে নেতৃত্বাধীন সরকারের বেক্সিট ইস্যুতে ভোটাভুটিতে অংশ নিতে সন্তানের জন্মদান পিছিয়ে দিয়েছিলেন টিউলিপ।

    মঙ্গলবার ব্রেক্সিট চুক্তির বিপক্ষে ভোট দিতে হুইল চেয়ারে করে হাউস অব কমন্সে যান তিনি। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টার কিছুক্ষণ আগে টিউলিপ ছেলে সন্তানের মা হন। নতুন এই সন্তানের নাম রাখা হয়েছে রাফায়েল মুজিব সেন্ট জন পার্সি।

    সন্তানের জন্মের পর টিউলিপ সিদ্দিক ও তার স্বামী ক্রিশ্চিয়ান পার্সি হাসপাতালের কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। “আমরা রয়্যাল ফ্রি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, ধাত্রী ও অন্যান্য কর্মীদের সাহসী কাজ এবং আমাদের সন্তানকে সুন্দরভাবে দেখাশোনা করার জন্য তাদের প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।

    রাফায়েল মুজিব সেন্ট জন পার্সি টিউলিপ সিদ্দিক দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান। এর আগে ২০১৬ সালে আজালিয়া নামের এক কন্যা সন্তান কোল আলো করে তাদের।

    রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রশ্নে অস্পষ্ট অবস্থান আসিয়ান মন্ত্রীদের

    0

    বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা ডেস্ক : গত বছর ডিসেম্বরে মিয়ানমার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর আঞ্চলিক জোট আসিয়ানকে সঙ্গে নিয়ে ধাপে ধাপে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেবে। তবে শুক্রবার থাইল্যান্ডে শেষ হওয়া আসিয়ানের দুইদিনের বৈঠক থেকে প্রত্যাবাসন নিয়ে সুস্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। বৈঠক থেকে মিয়ানমারকে রোহিঙ্গা সংকটের নেপথ্য কারণ উদঘাটন করে বাস্তুচ্যুতদের ফিরিয়ে নেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, প্রত্যাবাসন উদ্যোগে সহায়তা দিতে আসিয়ানের যে প্রতিনিধি দলের রাখাইনে যাওয়ার কথা ছিল, ‘অস্থিতিশীল পরিস্থিতি’র অবসান না হলে তারা সেখানে যাবেন না। ঠিক করে নাগাদ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে, তার দিনক্ষণও জানাতে পারেনি তারা।

    ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সন্ত্রাসবিরোধী শুদ্ধি অভিযানের নামে শুরু হয় নিধনযজ্ঞ। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হতে থাকে ধারাবাহিকভাবে। এমন বাস্তবতায় নিধনযজ্ঞের বলি হয়ে রাখাইন ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয় প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা।

    ১‌৭ ও ১৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে আসিয়ানের পক্ষ থেকে বলা হয়, মিয়ানমারের উচিত রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণ খুঁজে বের করা এবং তার সমাধানে সহযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করা, যাতে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা রাখাইনে ফিরে গিয়ে নতুন জীবন শুরু করতে পারে। আসিয়ানের বর্তমান সভাপতি রাষ্ট্র থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডন প্রামুদিনি সমাপনী সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে আসিয়ান জাতিসংঘের কাছে সহযোগী হওয়ার প্রস্তাব পাঠিয়েছি সংস্থাটি।

    ২০১৮ সালের নভেম্বরে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত আসিয়ান সম্মেলনের আলোচনায় প্রাধান্য পায় রোহিঙ্গা সংকট। ডিসেম্বরে মিয়ানমার সফরে যান আসিয়ানের মহাসচিব। সংস্থাটির পক্ষ থেকে ‘নিডস অ্যান্ড অ্যাসেসমেন্ট টিম’ নামে একটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর ব্যাপারে নেপিদোর সঙ্গে তাদের আলোচনা হয়।  সে সময় সু চি সরকারের সমাজ কল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক মন্ত্রী ইউ উইন মিয়াত আইমিয়ানমার টাইমসকে জানিয়েছিলেন, আসিয়ানের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে ৭ লাখেরও বেশি শরণার্থী প্রত্যাবর্তন পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করবে।

    কথা ছিল ১২ জানুয়ারি থেকে ২৬ জানুয়ারি আসিয়ানের ওই টিম রাখাইনে থেকে সেখানকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে। তবে সেখানার অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে কারণ দেখিয়ে সেই সফর স্থগিত রাখা হয়েছে। সম্মেলনে থাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, কেবল তখনই ওই কাজ শুরু করা সম্ভব, যখন রাখাইনে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করবে। প্রত্যাবাসনের জন্য নির্দিষ্ট কোনও সময়সীমা নাই বলে স্বীকার করেছেন তিনি। আসিয়ানের ‘মানবিক সহায়তা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র-এএইচএ’ থেকে রাখাইনে প্রতিনিধি দল পাঠানোর ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়েছে। ডন প্রামুদিনি আশা প্রকাশ করেন, ‘এএইচএ মিয়ানমার সরকারকে তাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করবে। আমাদের আশা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এটি সম্ভব হবে।

    ডন প্রামুদিনি বলেন, প্রত্যাবাসন নিয়ে সুনির্দিষ্ট সময়সীমা না থাকলেও রাখাইনবাসীর কল্যাণে প্রত্যেক আসিয়ান দেশ তাদের নিজেদের মতো করে বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে। রাখাইনকে প্রত্যাবাসনে প্রস্তুত করার পাশাপাশি সেখানকার আদিবাসী জনগোষ্ঠীর স্বার্থে বেশকিছু পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে তারা। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে স্কুল প্রতিষ্ঠা ও চালের মিল স্থাপনসহ কৃষিভিত্তিক উন্নয়নের কথা ভাবছে আসিয়ানের সদস্য দেশগুলো।
    কয়েক প্রজন্ম ধরে রাখাইনে বসবাস করে এলেও রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব স্বীকার করে না মিয়ানমার। মিয়ানমারের অধিবাসী হলেও রোহিঙ্গাদেরকে বেশিরভাগ রাখাইন বৌদ্ধ বাংলাদেশ থেকে সেখানে যাওয়া অবৈধ অভিবাসী বিবেচনা করে। উগ্র বৌদ্ধবাদকে ব্যবহার করে সেখানকার সেনাবাহিনী ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে স্থাপন করেছে সাম্প্রদায়িক অবিশ্বাসের চিহ্ন। বিদ্বেষী প্রচারণার মধ্য দিয়ে রাখাইনের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সেখানকার রাখাইন সম্প্রদায়ের মানুষ ঘৃণার চাষাবাদ করেছে দীর্ঘদিন। বিদ্বেষের শেকড় তাই দিনকে দিন আরও শক্ত হয়েছে।

    ৮২-তে প্রণীত নাগরিকত্ব আইনে পরিচয়হীনতার কাল শুরু হয় রোহিঙ্গাদের। এরপর কখনও মলিন হয়ে যাওয়া কোনও নিবন্ধনপত্র, কখনও নীলচে সবুজ রঙের রশিদ, কখনও ভোটার স্বীকৃতির হোয়াইট কার্ড, কখনও আবার ‘ন্যাশনাল ভেরিফিকেশন কার্ড’ কিংবা এনভিসি নামের কাগজ তুলে দেওয়া হয়েছে তাদের হাতে। রং-বেরঙের এইসব পরিচয়পত্রে ধাপে ধাপে আরও মলিন হয়েছে তাদের পরিচয়। ক্রমশ তাদের রূপান্তরিত করা হয়েছে রাষ্ট্রহীন বেনাগরিকে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সাম্প্রতিক অনুসন্ধান অনুযায়ী, সেনা নিধনযজ্ঞের শিকার হয়ে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসার পর বৌদ্ধ পুনর্বাসনের মধ্য দিয়ে রাখাইনকে রোহিঙ্গা শূন্য করা হচ্ছে।

    রাখাইনে সেনা অভিযানে ১৩ বিদ্রোহী নিহত

    0

    বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা ডেস্ক :  মিয়ানমারের রাখাইনে জাতিগত বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযানে আরাকান আর্মির ১৩ সদস্য নিহত হয়েছেন।

    শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

    মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলে রাখাইন রাজ্যটি অবস্থিত। বাংলাদেশ সীমান্তঘেষা এ রাজ্যে সহিংসতা দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি সেখানে নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের সঙ্গে আরাকান আর্মির মধ্যে বেশ কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে।

    আরাকানকে জাতিগত রাখাইন বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর জন্য অধিকতর স্বায়ত্ত্বশাসনের দাবিতে আন্দোলন করছে আরাকান আর্মি।

    মিয়ানমারের রাখাইনে জাতিগত ও ধর্মীয় বিদ্বেষ চরম আকারে। ২০১৭ সালে আরাকান রোহিঙ্গা আর্মির (আরসা) চালানো হামলায় নিহত হয়েছিলেন কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী।

    আর এর বদলা নিতেই ওই বছরের ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে নৃশংস নির্যাতন শুরু করে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় বৌদ্ধরা।

    এ নির্যাতনের হাত থেকে জীবন বাঁচাতে কমপক্ষে সাত লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নেন বাংলাদেশে। সেনাবাহিনীর এ অভিযানকে জাতিনিধন, গণহত্যা বলে আখ্যায়িত করেছে জাতিসংঘ ও মানবাধিকারবিষয়ক সংগঠনগুলো।

    সর্বশেষ গত ৪ জানুয়ারি রাখাইনে স্বাধীনতা দিবসে সহিংসতা হয়। ওই দিন ভোরের আগেই বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে বুথিডাং শহরে চারটি পুলিশ পোস্টে হামলা চালায় জাতিগত রাখাইন বিদ্রোহীরা।

    এতে ১৩ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। আহত হয়েছেন ৯ জন। পরে সেনাবাহিনী সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    এদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক এজেন্সি বলেছে, গত কয়েক সপ্তাহের সহিংসতায় প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে রাখাইনে।

    ফের অশান্ত রাখাইন রাজ্য, বেড়েছে সেনা মোতায়েন

    0

    বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা ডেস্ক : আবারো অশান্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য। গত ৪ জানুয়ারি আরাকান আর্মি’র হামলায় ১৩ পুলিশ সদস্য নিহতের পর সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নিরাপত্তা ঘাঁটি ও বাঙ্কার বসিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। একইসঙ্গে বাড়ানো হয়েছে সেনা সংখ্যাও। এসব অভিযোগ করেছেন আরাকান আর্মির নেতা মেজর জেনারেল টান মিয়াত নেইং।

    এদিকে আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের শূন্য রেখার ১৫০ গজের মধ্যে তমব্রু খালে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছে মিয়ানমার। ফলে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় জনগণের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে। এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।

    আরকান আর্মির নেতা টান মিয়াত নেইংয়ের বরাত দিয়ে মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইরাওয়াদী’র খবরে বলা হয়েছে, সরকারি সেনারা আকাশ ও সড়ক পথে রাখাইনে আসছে। উত্তর রাখাইনে সেনারা বেসামরিক নাগরিকদের গণহারে গ্রেফতার করছে এবং গ্রামগুলোতে মর্টার ছুঁড়ছে। একইসঙ্গে সেনারা যুদ্ধক্ষেত্রে গ্রামবাসীদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। বিদ্রোহীদের ওপর হামলায় মিয়ানমার সেনারা হেলিকপ্টার ব্যবহার করেছে। বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী ‘ফোর কাটস’ নীতি অবলম্বন করছে।

    এদিকে রাখাইনে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের বিষয়ে সরকারের মুখপাত্র বলেছেন, প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে হামলার এলাকায় মোতায়েনকৃত সেনাদের সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রয়োজনে সামরিক হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে। সেনাবাহিনী এ সব নির্দেশ পালন করছে এবং আরাকান আর্মির বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে।

    রাখাইনে সশস্ত্র বৌদ্ধ সংগঠন আরাকান আর্মি’র সঙ্গে সরকারি বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ডে আটকে থাকা হাজার হাজার রোহিঙ্গা। দুই পক্ষের সংঘর্ষে আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের।

    অন্যদিকে আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের শূন্য রেখার ১৫০ গজের মধ্যে তমব্রু খালে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছে মিয়ানমার। ফলে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় জনগণের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে। বিশেষ করে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ডে আটকা পড়া কয়েক হাজার রোহিঙ্গা। ফলে নতুন করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এমন অবস্থায় ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও’কে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

    গতকাল মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট মহাপরিচালক মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেন। সেখানে রাষ্ট্রদূত উ লুইনের কাছে সীমান্তে শূন্য রেখার কাছে মিয়ানমারের স্থাপনা নির্মাণের কারণ জানতে চাওয়া হয়। একইসঙ্গে নেপিদোর কাছে এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা চেয়ে ঢাকা একটি কূটনৈতিক চিঠি দিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।

    হারলেন তেরেসা বেক্সিট প্রশ্নে ভোটে

    0

    বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা ডেস্ক : ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদন প্রশ্নে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে হেরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে।

    মঙ্গলবার রাতে হাউস অব কমন্সে তেরেসার উপস্থাপিত প্রস্তাব ৪৩২-২০২ ভোটে প্রত্যাখ্যাত হয়ে যায় বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

    ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি পাস হওয়ার প্রশ্নে তেরেসার এ হারের ফলে নতুন সংকট তৈরির যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল তা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সেটিই এখন সময়ের অপেক্ষা।

    পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট চুক্তি প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী তেরেসা এখন তিন দিনের মধ্যে বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপনের সুযোগ পাবেন। সেই প্রস্তাবও যদি প্রত্যাখ্যাত হয়, তবে চুক্তিবিহীন বিচ্ছেদের পথে হাঁটতে হবে যুক্তরাজ্যকে।

    0FansLike
    0FollowersFollow
    0SubscribersSubscribe