আইন/আদালত

    Home আইন/আদালত

    ১৫০ দিনের বেশি সরকারি কর্মকর্তা ওএসডি রাখা অবৈধ

    0

    ১৫০ দিনের বেশি কোন সরকারি কর্মকর্তাকে ওএসডি রাখার বিধানকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।

    বুধবার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

    সংশ্লিষ্ট কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত রায় নিশ্চিত করেন।

    বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই শতাধিক কম্পিউটার চুরি

    0

    গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) আবারও কম্পিউটার চুরির অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে গত তিন বছরে চার বারে দুই শতাধিক কম্পিউটার চুরির অভিযোগ পাওয়া গেলো।

    এর আগে আরও তিন বার কম্পিউটার চুরির কথা জানায় কর্তৃপক্ষ। ২০১৭ সালে ৫০টি, ২০১৮ সালে ৪৭টি ও ২০১৭ সালের আগেও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বেশ কিছু কম্পিউটার চুরির অভিযোগ ওঠে। এবার একুশে ফেব্রুয়ারি গ্রন্থাগার (কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার) থেকে ৯১টি কম্পিউটার চুরি হয়েছে বলে রেজিস্ট্রার দফতর সূত্রে জানা গেছে।

    আজ সোমবার (১০ আগস্ট) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. শাহজাহান ও রেজিস্ট্রার ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তারা জানান, ঈদের ছুটি শেষে গতকাল রবিবার (৯ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর বিষয়টি সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ অবগত হয়। এসময় দেখা যায়, গ্রন্থাগারের পেছনের দিকের জানালা ভেঙে কম্পিউটারগুলো চুরি করা হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।

    এ ব্যাপারে সহকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম জানান, ‘চুরির বিষয়ে জানার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করেছি। সিসিটিভিতে ২৭ জুলাই থেকে গতকাল রবিবার (৯ আগস্ট) পর্যন্ত ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। এ সময়ে কোনও চুরির ঘটনা ঘটেনি। আর এর আগে ২০ তারিখ উপাচার্য (চলতি দায়িত্ব)) গ্রন্থাগার পরিদর্শন করেছিলেন। তখনও সব কম্পিউটার যথাস্থানে ছিল। তাই আমরা ধারণা করছি ২০ থেকে ২৭ তারিখের মধ্যবর্তী সময়ে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে।’

    তিনি আরও জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ জন গার্ডের মধ্যে ২০ জন ২৩ তারিখ থেকে কোনও নির্দিষ্ট কারণ না জানিয়েই অনুপস্থিত ছিলেন। তাই নিরাপত্তাজনিত কিছুটা সমস্যা ছিল। তবে আমরা চেষ্টা করেছি অবশিষ্ট গার্ড ও আনসারদের সমন্বয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।’

    বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি (চলতি দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মো. শাহজাহান বলেছেন, এ ঘটনায় রেজিস্টার বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এর আগেও তিন বার বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিটার চুরি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালে চুরির ঘটনার একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি বর্তমানে সিআইডিতে তদন্তাধীন রয়েছে।’

    রাজধানীর কদমতলী এলাকা হতে আনুমানিক ২৫ লক্ষ টাকার হেরোইনসহ ০১ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব

    0

    র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব নিয়মিত জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, অস্ত্রধারী অপরাধী, ছিনতাইকারীসহ মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছে। “চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে” ¯েøাগানকে সামনে রেখে মাদক নির্মূলে র‌্যাব মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

    এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ২৩ নভেম্বর ২০২১ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক রাত ০১:৪০ ঘটিকায় র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল রাজধানী ঢাকার কদমতলী থানাধীন পোস্তগোলা এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে আনুমানিক ২৫,০০,০০০/- (পঁচিশ লক্ষ) টাকা মূল্যের ২৫০ (দুইশত পঞ্চাশ) গ্রাম হেরোইনসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম মোঃ মহিউদ্দিন (৩০) বলে জানা যায়।

    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। সে বেশ কিছুদিন যাবৎ কদমতলীসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় হেরোইনসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সরবরাহ করে আসছিল বলে জানা যায়।

    গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।

    রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করছেন খালেদা জিয়া

    0

     

    বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা ডেস্ক : রিটার্নিং কর্মকর্তা, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও হাইকোর্টে বিফল হয়ে এবার তিন আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল বিভাগে আবেদন করতে যাচ্ছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

    পৃথক তিনটি রিট খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার পক্ষে আগামীকাল রোববার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় পৃথক তিনটি আবেদন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী।

    তফসিল অনুসারে ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ হিসেবে নির্বাচনের আর মাত্র সাত দিন বাকি। এখন সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ চলছে, তবে জরুরি বিষয়াদি শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য অবকাশকালীন বেঞ্চ রয়েছে। সূচি অনুসারে ২৪ ডিসেম্বর অবকাশকালীন চেম্বার কোর্ট রয়েছে।

    খালেদার অন্যতম আইনজীবী এ এইচ এম কামরুজ্জামান মামুন আজ শনিবার বলেন, হাইকোর্ট রিট আবেদন তিনটি খারিজ করে আদেশ দেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে পৃথক তিনটি আবেদন করা হচ্ছে। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আগামীকাল রোববার আবেদনগুলো দায়ের করা হবে। আবেদনে খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইসির সিদ্ধান্ত স্থগিত চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তিন আসনে খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে তাকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।

    ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসন এই তিন আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে খালেদা জিয়ার করা পৃথক রিট আবেদনের ওপর ১১ ডিসেম্বর বিভক্ত আদেশ দেন হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ। বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ রুল দিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত স্থগিতের পাশাপাশি খালেদা জিয়াকে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার অনুমতি দিতে নির্দেশ দেন। এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বেঞ্চের অপর বিচারপতি মো. ইকবাল কবির রিট আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেন। পরে প্রধান বিচারপতি ১২ ডিসেম্বর বিষয়টি শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন একক বেঞ্চে পাঠান। এটি তৃতীয় বেঞ্চ হিসেবে পরিচিত। এই বেঞ্চ ১৮ ডিসেম্বর পৃথক তিনটি রিট সরাসরি খারিজ করে আদেশ দেন। ফলে খালেদা জিয়ার তিনটি রিট খারিজের সিদ্ধান্ত উচ্চ আদালতে চূড়ান্ত হয়।

    দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে থাকা খালেদা জিয়া ওই তিনটি আসনে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেন। তবে যাচাই-বাছাই শেষে তিন আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। এর বিরুদ্ধে তাঁর পক্ষ থেকে ইসিতে আপিল করা হয়। ৮ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার আপিল নামঞ্জুর করে ইসি। প্রার্থিতা বাতিলের পক্ষে রায় দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) অপর তিন কমিশনার এবং খালেদার প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেওয়ার পক্ষে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার ভোট দেন। ওই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে ৯ ডিসেম্বর পৃথক তিনটি রিট করেন খালেদা জিয়া।-প্রথম আলো

    ফারুকের পক্ষে আদালতে দাঁড়ালেন পুত্রবধূ পিয়া

    0

    বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : রাজধানীর বনানীর এফ আর টাওয়ারের জমির মালিক প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুকের পক্ষে আদালতে শুনানিতে অংশ নিয়েছেন মডেল ও অভিনেত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া। তিনি একজন আইনজীবী এবং ফারুকের পুত্রবধূ।

    এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় জমির মালিক ফারুক এবং বর্ধিত অংশের মালিক কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সভাপতি তাসভীর-উল-ইসলামকে আজ রোববার আদালতে হাজির করা হয়। পুলিশ ওই দুজনের রিমান্ডের আবেদন করে।

    রিমান্ড ঠেকানোর জন্য শ্বশুর ফারুকের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী পিয়া। তবে রিমান্ড ঠেকাতে পারেননি তিনি। ফারুক ও তাসভীর উল ইসলামকে সাতদিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

    ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসিন আহসান চৌধুরীর আদালতে ওই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে শুনানি শুরু হয়। কাঁঠগড়ায় দাঁড়ানো ছিলেন এস এম এইচ আই ফারুক ও তাসভীর-উল-ইসলাম।

    শুনানির একপর্যায়ে এস এম এইচ আই ফারুকের পক্ষে কথা বলা শুরু করেন আইনজীবী পিয়া।
    শুনানিতে পিয়া বলেন, ‘স্যার (বিচারক) আমি কি একটু কথা বলতে পারি? আমার আশপাশে অনেক লার্নেড (বিজ্ঞ) স্যারেরা আছেন। তারপরও আমার বক্তব্য হচ্ছে, আমি যদিও নিজেই এ (এফ আর টাওয়ার) বিল্ডিংয়ে অফিস করি। আমার না বলে তো উপায় নেই। এখানে পুলিশ বলেছে, ভূমি মালিক। আমরা হচ্ছি ভূমি মালিক। কিন্তু আমরা বিল্ডিংয়ের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলাম না। বিল্ডিং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিল একিম অ্যাসোসিয়েশন।

    ওই ভবনে প্রথমে লিফট ছিল না, আজকে লিফটেও কিন্তু দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। এস এইচ এম আই ফারুক তিনি নিজের টাকা খরচ করে লিফট করেছেন।’

    পিয়া শুনানিতে বলেন, ‘বিজ্ঞ আদালতে আরেকটি তথ্য দিয়ে রাখি। ২০০৮ সালে এই টাওয়ারে আরো একবার আগুন লাগে। সে ঘটনায় এস এম এইচ আই ফারুক বনানী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। তিনি সে সাধারণ ডায়েরিতে পরিষ্কার করে লিখেছেন, অগ্নি নির্বাপনের জন্য এখানে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। ২০০৮ সাল থেকে আজকে ১১ বছর। ১১ বছর আগে ফারুক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়েছিলেন, একটা বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। রিমান্ড আবেদনের আরেকটা কথা বলেছে, সহ-আসামি ধরার জন্য রিমান্ড? আব্বা (শ্বশুর আব্বা) যখন, সরি এস এম এইচ আই ফারুক যখন জমিটি ডেভেলপারের কাছে দিয়ে দেন তখন আর তাঁর কোনো দায়বদ্ধতা থাকে না। যদিও আমি বলব, দুজনই বয়স্ক ব্যক্তি। তাঁদের রিমান্ডে যেন না নেওয়া হয়। তাই বলব, আপনি (বিচারক) রিমান্ডের আবেদন নামঞ্জুর করবেন।’

    এরপর ফারুকের প্রধান আইনজীবী আল মনসুর রিপন শুনানিতে বলেন, ‘আমরা ১ নম্বর আসামি ফারুকের পক্ষে রিমান্ড বাতিল পূর্বক জামিনের আবেদন করেছি। এখন রিমান্ড বাতিলের পক্ষে আমাদের ফৌজদারি কার্যবিধিতে একটি ধারা আছে।’

    আল মনসুর বলেন, ‘রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে- পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার এবং আগুন লাগানোর প্রকৃত কারণ নির্ণয় করা এবং ১৯৯৬ সালে যে চুক্তিটা হয়েছিল রাউজকের সাথে সেটা সঠিকভাবে পালন করা হয়েছে কি না। মাননীয় আদালত, আপনাকে অত্যন্ত বিনয়ের সাথে বলতে চাই, রিমান্ড তো মাননীয় আদালত আপনি দিবেন। আবার আপনি তো নামঞ্জুর করবেন। যৌক্তিক কারণ হিসেবে আপনাকে বিবেচনায় আনতে হবে। আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি তারা (পুলিশ) যে যুক্তি দেখাতে চায় এর মধ্যে আমি ভূমি মালিক। আমার নাম হচ্ছে এস এম এইচ আই ফারুক। এখন রিমান্ডে নিতে হলে জানতে হবে, ভূমি মালিক যখন কাউকে ডেভেলপ করতে দেন তখন ডেভেলপারের সঙ্গে চুক্তি হয়। আমরা দুটি চুক্তি করেছি। একটি চুক্তিনামা, আরেকটা পাওয়ার অব অ্যাটর্নি। পাওয়ার অব অ্যাটর্নি এমন একটা জিনিস তা হলো আমার যা ক্ষমতা আছে আমি তোমাকে দিয়ে দিলাম।’

    শুনানিতে আইনজীবী আল মনসুর আরো বলেন, ‘আমার (ফারুক) কিন্তু এখানে আর কোনো দায়বদ্ধতা থাকতেছে না। তুমি (ডেভেলপার) ডেভেলপ করবা, ডেভেলপ করার পরে যখন এটা ডেভেলপ হয়ে গেল, তখন ১৮তলা পর্যন্ত তার (ডেভেলপারের) সাথে আমার চুক্তি হলো।

    যখন ডেভেলপ হয়ে যায় তখন সেটা ফ্ল্যাটমালিকের কাছে সবাই নিজ নিজ হিস্যা (ভাগ) বুঝিয়ে দেন। ফ্ল্যাট বুঝে পাওয়ার পর যারা থাকেন তাদের সব মালিকদের একটা সংগঠন থাকে। সে সংগঠনের ম্যানেজারের একটা পোস্ট থাকে। আগুনের যদি প্রকৃত কারণ উৎঘাটন করতে হয় তাহলে সে ম্যানেজারকে দরকার। আমি কিন্তু ভূমি মালিক আমার স্বত্ব ত্যাগ করে সব দিয়ে দিয়েছি। আমি কিন্তু একা ওই বিল্ডিংয়ের মালিক না। আমার মতো আরো ২৫ জন ১০০ স্কয়ার ফিটের দোকান কিনেছেন, তাঁরা কিন্তু জমির মালিক। তাহলে সব দায়-দায়িত্ব আমি ফারুকের উপরে দিয়ে দিলে হবে না মাননীয় আদালত।

    আরেকটা বিষয় মাননীয় আদালতের কাছে সুন্দরভাবে এবং বিনয়ের সাথে বলতে চাই, রিমান্ডের মাঝে যদি যৌক্তিক কারণের মধ্যে একটা কারণ খুঁজে পাওয়া না যায় তাহলে মাননীয় আদালত রিমান্ড দিতে পারেন না। এখানে ১৮ তলার পরে ২৩ তলার বিল্ডিং হয়েছে। ১৮ তলার পর ২৩তলা মানে আরো পাঁচতলার নির্মাণের ক্ষেত্রে যদি বিল্ডিং ডেভেলপারের সাথে আমার একটাও স্বাক্ষর থাকে তাহলে আমাকে রিমান্ড দিন। সে বাকি পাঁচতলা নির্মাণে আমার সমর্থন নাই। আমি সতর্কতা দেখিয়েছি। আমি বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছি। এই ডেভেলপার কোম্পানি বর্ধিত পাঁচতলা বিল্ডিংয়ের কাজ করছে। এর ফলশ্রুতিতে বড় ধরনের ধ্বংসাত্মক কাজ এবং জনজীবন হুমকির মুখে রয়েছে।

    আমি সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে যথাসময়ে অবহিত করেছি। তাই আমি দায়িত্বে অবহেলা করিনি। অবহেলা যদি না থাকে তাহলে আগুন লাগার যদি প্রকৃত কারণ নির্ণয় করতে হয়, তাহলে কিন্তু ওই ম্যানেজিংয়ের দায়িত্বে যারা আছে, ডেভেলপার কোম্পানির বিল্ডিং যারা তৈরি করেছে। আমার বর্তমানে ৭৩ বছর বয়স। এ বয়স দেখিয়ে আমি বেশি সুবিধা নিতে চাই না। আমাকে যদি রিমান্ডে নেয়, মানসিক টর্চার আর হ্যারাসমেন্ট ছাড়া আর কিছু নাই। আইন মানুষের কল্যাণের জন্য। তাই আসামি ফারুকের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।’

    অপরদিকে আরেক আসামি এফ আর টাওয়ারের বর্ধিত অংশের মালিক তাসভীর-উল-ইসলামের পক্ষে আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী রিমান্ড শুনানিতে অংশ নেন। তিনি বলেন, ‘আসামি হৃদরোগে ভুগছেন। রোগী। তাঁর সব কাগজপত্র থানায় আটকানো আছে। রিমান্ডে নেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।’

    শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসিন আহসান চৌধুরী ওই দুজনের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    গতকাল শনিবার রাতেই তাসভীর-উল-ইসলাম ও ফারুককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
    অভিযোগ রয়েছে, ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বরে ভূমি মালিক ইঞ্জিনিয়ার ফারুক ও রূপায়ণ গ্রুপ যৌথভাবে নকশা অনুমোদনের জন্য আবেদন করে। তখন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ১৮ তলা ভবন নির্মাণের জন্য নকশা অনুমোদন দেয়। কিন্তু ভবনটি ২১তলা পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়। এরপর ২০ ও ২১ তলাটি জাতীয় পার্টির প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্য মাইদুল ইসলামের কাছে বিক্রি করে। মাইদুল ইসলামের কাছ থেকে ফ্লোর দুটি কিনে নেন কাশেম ড্রাইসেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিএনপি নেতা তাসভীর-উল-ইসলাম। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর তিনি ছাদের ওপর আরো দুইতলা নির্মাণ করে ভবনটিকে ২৩ তলা পর্যন্ত বর্ধিত করেন।

    হাজীর ছদ্মবেশ নিয়ে ধর্ষককে গ্রেফতার করলো পুলিশ

    0

    বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : সিলেটের জৈন্তাপুরে অভিনব কায়দায় ধর্ষণ মামলার মূল আসামী ধর্ষককে গ্রেফতার করছে জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ধর্ষকের নাম রেজওয়ান। সে নিজের ভাতিজিকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার সূল আসামী।

    জানা যায়, সিলেটের জৈন্তাপুরের দরবস্ত ইউনয়নের শুকইনপুর গ্রামের আহমদ আলীর ছেলে অভিযুক্ত চাচা রেজওয়ান নিজের নিকটাত্মীয় ভাতিজিকে অপহরণ করে ধর্ষণ করে। এই ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলে সে গা-ঢাকা দেয়। নিকট আত্মীয় ভাতিজিকে অপহরণ করে দূরবর্তী গ্রামের এক সিএনজি চালকের বাড়িতে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় সামাজিক ভাবে ধর্ষিতার পিতা বিচার চাইলেও ন্যায়বিচার পাননি।

    অপরদিকে ধর্ষণের ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে এবং ধর্ষণের আলামত নষ্ট করতে বিচারের নামে স্থানীয় ইউপি সদস্য সময়ক্ষেপণ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অবশেষে ন্যায়বিচার না পেয়ে ভিকটিম বাদী হয়ে ঘটনার ২মাস পর গত ১৭ জুলাই জৈন্তাপুর মডেল থানায় ধর্ষক রেজওয়ানকে প্রধান আসামী করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত করে সত্যতা পায় এবং ধর্ষক রেজওয়ান ইতোপূর্বে এ ধরণের একাধিক ঘটনা ঘটিয়ে কারাভোগ করেছে বলেও তথ্য বেরিয়ে আসে।

    পুরাতন মামলায় কারাভোগ করে বের হওয়ার কিছু দিনের মধ্যে সে নতুন করে নিকটাত্মীয় ভাতিজিকে অপহরণ করে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। থানা পুলিশ গত ১৮ জুলাই ভিকটিমের লিখিত অভিযোগটি মামলা হিসাবে গণ্য করে যাহার নং ৮/১০৪। মামলার প্রকৃত রহস্য অনুসন্ধান ও ধর্ষক রেজওয়ানকে আটকের জন্য পুলিশের একাধিক টিম উপজেলা বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করলেও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চতুর নারীলোভী ধর্ষক পালিয়ে যায়।

    এদিকে পুলিশ মামলটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে ধর্ষককে আটক করতে মরিয়া হয়ে উঠে। অবশেষে পুলিশ আসামী গ্রেফতার করেত ছদ্মবেশ ধারণ করে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করতে থাকে। একপর্যায়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার এসআই আজিজুর রহমান হাজী বেশ ধারণ করে শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুর ৩টায় উপজেলার ফতেপুর (হরিপুর) ইউনিয়নের বালিপাঁড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষক রেজওয়ান মিয়াকে (২৫) আটক করে।

    জৈন্তাপুর মডেল থানার ওসি শ্যামল বনিক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ধর্ষক রেজওয়ান ইতোপূর্বে এ ধরনের ঘটনায় কারাভোগ করেছে। কারাগার থেকে বের হয়েই সে আবারও ধর্ষণের ঘটনা ঘটায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেছে। রোববার তাকে আদালতে প্রেরণ করে রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হবে।

    ক্ষতিকর পারদযুক্ত রং ফর্সাকারী ক্রিম বিক্রি বন্ধের নির্দেশ বিএসটিআইয়ের

    0

    বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক :  বাজারে প্রচলিত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের রং ফর্সকারী ১৩টি ক্রিমের মধ্যে ছয়টি স্কিন ক্রিমে বিপজ্জনক মাত্রায় মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পারদ (মার্কারি) ও দু’টি ব্র্যান্ডের ক্রিমে পারদ (মার্কারি) এবং হাইড্রোকুইনোন উভয়ই পাওয়া গেছে। জনস্বাস্থ্য রক্ষার স্বার্থে অনতিবিলম্বে মাত্রাতিরিক্ত পারদযুক্ত এসব রং ফর্সাকারী ক্রিম বিক্রি-বিতরণ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। আজ সোমবার বিএসটিআই’র গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। নিয়মিত সার্ভিল্যান্স টিমের মাধ্যমে বাজার থেকে এসব ব্র্যান্ডের পণ্য কিনে বিএসটিআইর ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়।

    বিএসটিআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিএসটিআই’র অনুমোদনহীন এসব স্কিন ক্রিম ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য ক্রেতাদের অনুরোধ করা হলো। একই সঙ্গে বিএসটিআই’র লোগো, আমদানিকারকের নাম ও ঠিকানা দেখে ভোক্তাদের পণ্য কেনার অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।

    প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের গরী কসমেটিকস (প্রা.) লিমিটেডের গরী ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ৭৫৫.৮৫ পিপিএম; পাকিস্তানের এস জে এন্টারপ্রাইজের চাঁদনী ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ৬২৯.৯৬ পিপিএম; পাকিস্তানের কিউ. সি ইন্টারন্যাশনালের নিউ ফেস ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ৫৯০.৩৮ পিপিএম; পাকিস্তানের ক্রিয়েটিভ কসমেটিকস (প্রা.) লিমিটেডের ডিউ ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ২৮৫.৮৮ পিপিএম। এছাড়া পাকিস্তানের গোল্ডেন পার্ল কসমেটিক্স প্রাইভেট লিমিটেডের গোল্ডেন পার্ল ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ৬৫৪.১৩ পিপিএম; পাকিস্তানের পুনিয়া ব্রাদার্স (প্রা.) লিমিটেডের ফাইজা ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ৫৯০.৪৫ পিপিএম; পাকিস্তানের নূর গোল্ড কসমেটিকসের নূর ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ১৯৩.৬৮ পিপিএম ও হাইড্রোকুইনোনের মাত্রা ১৯৮০.৬৮ পিপিএম এবং পাকিস্তানের হোয়াইট পার্ল কসমেটিকসের হোয়াইট পার্ল প্লাস ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ৯৪৮.৯৩ পিপিএম ও হাইড্রোকুইনোনের মাত্রা ৪৩৪.৭৩ পিপিএম পাওয়া গেছে।
    স্কিন ক্রিমের সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ মান (বিডিএস ১৩৮২:২০১৯)-এ মার্কারির গ্রহণযোগ্য সর্বোচ্চ মাত্রা ১ পিপিএম এবং হাইড্রোকুইনোনের গ্রহণযোগ্য সর্বোচ্চ মাত্রা ৫ পিপিএম। মাত্রাতিরিক্ত মার্কারি (পারদ) ও হাইড্রোকুইনোনযুক্ত এসব ক্রিম দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগসহ বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।

    সাগরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে কোস্ট গার্ডের অভিযানে ০৪ জন আটক।

    0

     

    সোমবার (২৫ মার্চ ২০২৪) দুপুরে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য জানান।

    তিনি বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের একটি টহলদল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া উপজেলাধীন বড়ঘোপ ইউনিয়নস্থ পশ্চিম সমুদ্র সৈকত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে কোস্ট গার্ড জাহাজ কুতুবদিয়া ও বিসিজি স্টেশন কুতুবদিয়া একত্রে উক্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালীন রাত আনুমানিক ০৪০০ ঘটিকায় বড়ঘোপ ইউনিয়নস্থ পশ্চিম সমুদ্র সৈকত এলাকায় সন্দেজনক একটি বোটে কিছু ব্যক্তির আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়। কোস্ট গার্ড সদস্য কর্তৃক বোটটি তল্লাশির জন্য থামার সংকেত প্রদান করলে কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি বুঝতে পেরে বোটটি না থেমে দ্রুত সমুদ্র তীরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় কোস্ট গার্ড আভিযানিক দল বোটটিকে ধাওয়া করে আটক করা হয়। পরবর্তীতে বোটটি তল্লাশী চালিয়ে ০১ টি দেশীয় অস্ত্র (পিস্তল), কার্তুজ ০২ রাউন্ড, ০১ টি চাপাতি, ০২ টি হাতুড়ি, ০১ টি সাবল, ০১ টি হুক, ০৫ টি মোবাইল ফোন ও ০১ টি ইঞ্জিন চালিত কাঠের বোটসহ মোঃ ইকবাল হোসেন (২০), মোঃ নয়ন (১৮), মোঃ হেফাজ (২৩), মোঃ আশেক (১৬) নামক ০৪ ডাকাত সদস্যকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় আটককৃত মোঃ নয়ন (১৮), মোঃ হেফাজ (২৩) ও মোঃ আশেক (১৬) চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা উপজেলাধীন গহিরা এলাকার এবং মোঃ ইকবাল হোসেন (২০) কক্সবাজার জেলার বাশঁখালী এলাকার বাসিন্দা।

    তিনি আরও বলেন, আটককৃত ডাকাত ও জব্দকৃত দেশীয় অস্ত্র পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুতুবদিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।

     

    ফুলবাড়িয়ায় ছোট ভাইয়ের লোহার হ্যান্ডেলের আঘাতে বড় ভাই নিহত

    0

     

    বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা প্রতিবেদক :  ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় ব্যবসায়িক হিসাব-নিকাশ নিয়ে কথা কাটাকাটির সময় ছোট ভাই আখের মিয়া’র লোহার হ্যান্ডেলের আঘাতে সহোদর বড় ভাই রব্বানী (২২) নিহত হয়েছে।

    রোববার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফুলবাড়িয়া উপজেলার বালিয়ান ইউনিয়নের বালিয়ান গ্রামের আব্দুল কাদের এর ৩ ছেলে। শনিবার দুপুরের দিকে ব্যবসায়িক হিসাব-নিকাশ নিয়ে বড় দু’ভাই নুরুল হক ও রব্বানীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

    এক পর্যায়ে ছোট ভাই আখের মিয়া বড় ভাইয়ের হাতে থাকা পাওয়ার টিলার (ট্রাক্টর) এর হ্যান্ডেল হাত থেকে নিয়ে বড় ভাই রব্বানীর মাথায় আঘাত করে। এতে বড় ভাই রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে পড়ে যায়।

    পরে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা আহত রব্বানীকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে রেফার্ড করেন। কিন্তু রব্বানীকে হাসপাতালে না নিয়ে তারা বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে রাত ৯টার দিকে হঠাৎ বমি শুরু হলে আবার হাসপাতালে নেয়ার পথে রব্বানী মারা যায়।

    ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ কবিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি।নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হচ্ছে। বিস্তারিত জেনে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

    যাত্রাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত

    0

    বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর জনপদ মোড়ে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নুর মোহাম্মদ রহমান (৩৬) নামে এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    জানা যায়, জনপদ মোড় আলম রেস্তোরাঁর সামনে একটি ট্রাক মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ছিটকে ট্রাকের নিচে চাপা পড়েন নুর মোহাম্মদ। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

    যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আজহারুল ইসলাম জানান, ঘাতক ট্রাকটি জব্দ করা গেলেও চালক পালিয়ে গেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

    তিনি আরো জানান, নিহত নুর মোহাম্মদের সঙ্গে পুলিশের পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। তার বাড়ি নীলফামারী সদর উপজেলার বাগমাড়ী মোল্লাপাড়ায়। বাবা মৃত সমসের আলী। তার পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা শুধু জানিয়েছে, তিনি পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে ঢাকায় কর্মরত। এর বেশি কিছু জানাতে পারেনি।

    0FansLike
    0FollowersFollow
    0SubscribersSubscribe