Home ঢাকা ক্যাম্পাস আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীকে আজীবন সম্মাননা প্রদান ঢাবি’র ৫জন শিক্ষার্থীর আতাউস সামাদ...

আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীকে আজীবন সম্মাননা প্রদান ঢাবি’র ৫জন শিক্ষার্থীর আতাউস সামাদ স্মারক বৃত্তি লাভ


২০১৮ সালের বিএসএস (সম্মান) পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জন করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৫জন মেধাবী শিক্ষার্থী ‘আতাউস সামাদ স্মারক বৃত্তি’ লাভ করেছেন। বৃত্তিপ্রাপ্তরা হলেন- মো. নাজমুল হুসাইন, মোস্তফা বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা প্রতিবেদক : মো. তাহান, তারেক আল হাসান, ইশরাতুল জাহান শোভা এবং ইসতিয়াক আহমেদ। আজ ২০ জানুয়ারি ২০১৯ রবিবার মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তির চেক তুলে দেন।
বিভাগীয় চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এতে ‘সংবাদপত্রে কলাম: তাৎপর্য ও শৈলী’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা প্রদান করেন অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান। অনুষ্ঠানে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয় আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীকে। তাঁর পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন সাংবাদিক আলী হাবিব। লন্ডনে বসবাসরত আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী টেলিফোনে তাঁর শুভেচ্ছা প্রদান করেন। অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান ও আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর সংক্ষিপ্ত জীবনী পাঠ করেন যথাক্রমে বিভাগীয় প্রভাষক মার্জিয়া রহমান ও সহযোগী অধ্যাপক শাওন্তী হায়দার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস। অনুষ্ঠানে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর দীর্ঘদিনের পথচলার সঙ্গী কবি আসাদ চৌধুরী এবং ট্রাস্ট ফান্ডের উদ্যোক্তা মরহুম সাংবাদিক এবিএম মূসার দুই কন্যা, বিভাগীয় শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বৃত্তিপ্রাপ্তদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান। তিনি তথ্যসমৃদ্ধ একটি চমৎকার প্রবন্ধ উপস্থাপনের জন্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমানকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। উপাচার্য বলেন, আতাউস সামাদ, এবিএম মূসা এবং আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী এই তিনজন সমান্তরাল ও ভিন্ন উচ্চতার মানুষ। সংবাদ পত্রে কলাম লেখনীর মাধ্যমে সমাজে তাদের একটি শক্ত অবস্থান রয়েছে। আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী যে শুধু ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী’ এই অমর গানটি লিখেছেন তা নয় বরং অসাম্প্রদায়িক বাঙালী জাতি গঠনে তাঁর লেখনীতে রয়েছে এক অসাধারণ শক্ত ভূমিকা। ’৭৫ পরবর্তী তাঁর রাজনৈতিক কলাম লেখনীও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন এবং এটাকে পথিকৃতের ভূমিকা বলা যেতে পারে বলে উপাচার্য উল্লেখ করেন।