Home করোনা টিকা নিলেও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক: প্রধানমন্ত্রী

টিকা নিলেও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক: প্রধানমন্ত্রী


বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেক্স: বয়স ৪০ হলে করোনা টিকার নিবন্ধন করতে পারবেন যে কেউ। একই সঙ্গে যারা টিকা নিয়েছেন তাদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে হবে। সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে করোনার টিকা দেওয়া নিয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

সচিব বলেন, নিয়মিত এজেন্ডার বাইরে করোনার টিকা নিয়ে বড় একটি আলোচনা মন্ত্রিসভায় হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী করোনা টিকা নিয়ে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া টিকা দেওয়া কর্মসূচি আরেকটু রিলাক্স (সহজ) করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী, যাদের বয়স ৪০ তারা এখন করোনার টিকার নিবন্ধন করতে পারবেন। রোববার পর্যন্ত এটি ৫৫ বছর ছিল। সচিব বলেন, এটি আজ সোমবার থেকে কার্যকর হবে।

রোববার ভ্যাকসিন নেওয়ার পর অনুভূতি জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমি খুব ভালো আছি, কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত আমি অফিস করেছি। আমার স্ত্রীও টিকা নিয়েছেন, সেও ভালো আছে তার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রয়োজন হলে বয়স আস্তে আস্তে কমিয়ে দেওয়া হবে। ইয়াং জেনারেশনকে আস্তে আস্তে টিকা দেওয়া শুরু হবে। যারা ফ্রন্টলাইনে কাজ করছেন আস্তে আস্তে তাদের পরিবারকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা হবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বারবার এ নির্দেশনা দিয়েছেন আমরা যারা টিকা নিয়েছি তাদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতেই হবে। মাস্ক না পরলে কিন্তু কোনো কাজ হবে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকেও টিকা নেওয়ার পরও মাস্ক পরার জন্য বলা হয়েছে।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, টিকা নেওয়ার নিবন্ধনে যদি কোনো সমস্যা হয় তবে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে সরাসরি কেন্দ্রে গিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন। করোনা নিবন্ধন আরেকটু সহজ করার জন্য আইসিটি ডিভিশনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এখন টু ট্রায়ারে (দুই ভাগ) নিবন্ধন করতে হয় এটাকে ওয়ান ট্রায়ারে (এক ভাগে) করা যায় কিনা সেটা দেখার জন্য তাদের বলেছি।

সচিব বলেন, কেউ যদি নিবন্ধন করতে ব্যর্থ হন তবে তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে কেন্দ্রে নিবন্ধন করে টিকা নিতে পারবেন। সে ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে। তবে এটা যারা ব্যর্থ হন তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিলে এটা নিয়ে আবার ঝামেলা হবে। গ্রাম বা মফস্বল এলাকায় এক বা দুইটা বুথ থাকবে সেখানে যদি সবাই জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে ভিড় করেন সেক্ষেত্রে সমস্যা হবে। এক্ষেত্রে সবাই ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এটা ব্যাপকহারে প্রচার হওয়া উচিত বলে প্রধানমন্ত্রীর মত দিয়েছেন।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, যাদের সুযোগ রয়েছে সবাই যেন করোনার টিকা নেন, আমরা এ জিনিসটাকে ব্যাপকহারে প্রমোট করছি। আমরা মনেকরি টিকার কার্যকারিতা ৭০ ভাগ। তারমানে ১০০ জন লোকের মধ্যে ৭০ জন টিকা নেওয়ার ফলে তারা সুস্থ থাকেন, তাহলে ভাইরাসকে হ্যান্ডেল (মোকাবিলা) করতে আমাদের জন্য খুব সুবিধা হয়।