Home বিনোদন শেকৃবি’তে মৎস্য সপ্তাহ২০২২ উপলক্ষে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ

শেকৃবি’তে মৎস্য সপ্তাহ২০২২ উপলক্ষে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ


‘নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে মৎস্য অধিদপ্তরের সহযোগিতা ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ, একোয়াকালচার এন্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের আয়োজনে আজ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ রোজ শনিবার সকাল ১১টায় শেকৃবি’র বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল সংলগ্ন পুকুরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পুকুরে রুই জাতীয় ১১০ কেজি মাছের পোনা অবমুক্ত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভূইয়া।
এসময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন শেকৃবি’র মাননীয় ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ নজরুল ইসলাম, মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক শামীম আরা বেগম, ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক জিল্লুর রহমান, ঢাকা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বি এম মোস্তফা কামাল, পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজ এর ডিন প্রফেসর ড. অলোক কুমার পাল, কৃষি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. পরিমল কান্তি বিশ্বাস, শেকৃবি’র ফিশারিজ, একোয়াকালচার এন্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এ এম শাহাবুদ্দিন, গবেষণা পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ ফরহাদ হোসেন, ফিশারিজ, একোয়াকালচার এন্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা, প্রধান খামার তত্ত্বাবধায়ক আল শামসুল হক ও মৎস্য অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
মাছের পোনা অবমুক্তির পর সকাল ১১.৩০ মিনিটে শেখ কামাল ভবনে অবস্থিত ফিশারিজ, একোয়াকালচার এন্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের সভাকক্ষে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন ফিশারিজ, একোয়াকালচার এন্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এ এম শাহাবুদ্দিন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেকৃবি’র ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভূইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেকৃবি’র ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ নজরুল ইসলাম ও মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক শামীম আরা বেগম।
আলোচনা সভায় শেকৃবি’র মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর বলেন, মৎস্যবিজ্ঞানী, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও সম্প্রসারণ কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারনেই মাছ উৎপাদনে আজ বিপ্লব সাধিত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছেন বলেই মাছ চাষে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে। আমরা বর্তমানে দৈনিক চাহিদার (৬০ গ্রাম) এর স্হলে (৬২ গ্রাম)অতিরিক্ত মাছ খেতে পাচ্ছি। এখন আমাদের নিরাপদ মাছ উৎপাদনের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে, মাছ উৎপাদানে যেন মানবদেহের জন্য কোন ক্ষতিকর হরমোন বা মেডিসিন ব্যবহার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি বলেন আমরা রপ্তানীর জন্য মাছ উৎপাদনে যেভাবে সতর্ক হবো একইভাবে দেশের মানুষের জন্য মাছ সরবরাহ নিশ্চিত করবো।