Home অন্যান্য প্রধানমন্ত্রীর অনুপ্রেরণাতেই ‘গুসি শান্তি পুরস্কার’, আরও একটি অভাবনীয় অর্জন শিক্ষামন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রীর অনুপ্রেরণাতেই ‘গুসি শান্তি পুরস্কার’, আরও একটি অভাবনীয় অর্জন শিক্ষামন্ত্রীর


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আপত্য স্নেহই তার পথচলার শক্তি। মুজিবকন্যার আপত্য স্নেহের জাদুর পাশাপাশি নিজের দক্ষতা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছেন একদিন-প্রতিদিন। প্রতিনিয়ত সৃজনশীলতা, মানবিকতা ও মূল্যবোধে শাণিত করেছেন নিজেকে। বলা হয়, রাজনীতিতে শেখ হাসিনাই গড়ে তুলেছেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী, ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদের কন্যা শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনিকে।

ফলত পাবলিক সার্ভিস ও ডিপ্লোমেসিতে অবদান রাখায় পাওয়া নিজের আন্তর্জাতিক পুরস্কার গ্রহণের পর দেশে ফিরেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি ছুটে গেছেন। মাতৃতুল্য অভিভাবককে দেখিয়েছেন মহিমান্বিত চিরভাস্বর অর্জন। অভাবিত বিজয় স্মারক হাতে তুলে দিয়ে আনন্দঘন আবহেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফ্রেমবন্দি হয়েছেন, দোয়া নিয়েছেন দেশের প্রথম এই নারী শিক্ষামন্ত্রী। এসব ঘটনাপ্রবাহ রোববার (২৭ নভেম্বর) রাতে গণভবনে।

এর আগে তিন দিন আগে বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় ‘গুসি শান্তি পুরস্কার’ এ ভূষিত হন শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি এমপি। শনিবার (২৬ নভেম্বর) রাতে তিনি দেশে ফিরেন।

দেশের জন্য বিরল এই সম্মান অর্জন ও প্রাপ্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেই সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, বঙ্গবন্ধুকন্যার কাজের সুযোগ, তাঁর আস্থা, বিশ্বাসেই এসেছে অভাবনীয় এই সাফল্য।

প্রধানমন্ত্রীর হাতে যখন শিক্ষামন্ত্রী ‘গুসি শান্তি পুরস্কার’ তুলে দিয়েছেন ঠিক তখন যেন স্বপ্নপূরণের আনন্দরেণু ছড়িয়ে পড়ে গণভবনজুড়ে। প্রধানমন্ত্রী হাসিমুখে আনন্দচিত্তেই ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে। দেশপ্রেম, আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও সততা দিয়ে কাজ করে যেতে উৎসাহিত করেছেন মন্ত্রীকে।

এর আগে শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ফিলিপাইনের ম্যানিলায় অবস্থিত গুসি পিস প্রাইজ ফাউন্ডেশন বিশ্বশান্তি ও অগ্রগতিতে অবদান রাখা ব্যক্তি ও সংস্থাকে গুসি শান্তি পুরস্কার প্রদান করে। এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটি প্রতি বছর নভেম্বরের চতুর্থ বুধবার আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব দিবসে ফিলিপিনো ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়।

চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনিসহ অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, চীন, ভারত, ইতালি, জাপান, লিথুয়ানিয়া, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, নরওয়ে, সৌদি আরব, স্পেন ও ফিলিপাইনের ১৪ জন এই পুরস্কার পেয়েছেন।