Home ক্যাম্পাস খবর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ’ এর ভাষণ উদযাপিত

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ’ এর ভাষণ উদযাপিত


পরিক্রমা ডেস্ক : নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের উপর একটি আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এনএসইউ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য শীমা আহমেদ। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ. কে. এম. শাহনেওয়াজ।  অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনএসইউ’র মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক এসকে তৌফিক এম হক। এতে সভাপতিত্ব করেন এনএসইউ উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এরপরেই বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।

স্বাগত বক্তব্যে অধ্যাপক এসকে তৌফিক এম হক বলেন, “বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ গত শতাব্দীর অন্যতম প্রভাব বিস্তার করা ভাষণের অন্তুর্ভুক্ত। এটি বর্তমানে একাডেমিয়াতে অন্যতম গবেষণার বিষয়। এই ভাষণ আমাদের সাহস জোগায়, উৎসাহী করে এবং বর্তমান সময়ের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে উৎসাহ জোগায়।”

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আতিউর রহমান বলেন, “সাত মার্চের ভাষণটিই বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এতে তিনি শুধু একটি জাতিকে তাঁর চলার পথের দিশাই দেননি, পাশাপাশি তাঁর সারা জীবনের রাজনৈতিক সংগ্রামের দুঃখ, বঞ্চনা এবং ভবিষ্যতের রূপরেখাও তুলে ধরেছেন।”

শীমা আহমেদ বলেন, “স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই ভাষণ সমগ্র বাঙালী জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলো। যা শুধু দেশের মানুষ নয়, অনুপ্রাণিত করেছিলো পৃথিবীর আনাচে কানাচে ছড়িয়ে থাকা সকল বাঙালিকেই। তাদের মনে জন্মেছিলো স্বাধীনতার সুপ্ত বাসনা। যার ফল ছিলো সুদূরপ্রসারী।”

অধ্যাপক এ. কে. এম. শাহনেওয়াজ বলেন, “এই ভাষণের অংশবিশেষ ‘বজ্রকন্ঠ’ নামে বাংলাদেশ বেতারে বাজানো হতো। এটি মুক্তিযোদ্ধাদের উদীপ্ত করতো, উৎসাহ যোগাতো। বঙ্গবন্ধুর এই কথাগুলো মুক্তিযুদ্ধের সময়ে সমগ্র জাতিকে একসুরে বেঁধে রেখেছিলো।”

অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে বিশ্বের অন্যতম সেরা ভাষণ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই ভাষণের তীব্রতাকে বুঝতে হলে এর প্রেক্ষাপট সম্পর্কে জানতে হবে। তিনি সেদিন খুব সুকৌশলে স্বাধীনতার বাণী সমগ্র বাঙালির উদ্দেশ্যে ছড়িয়ে দেন।”

অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এনএসইউ’র কোষাধ্যক্ষ ও উপ-উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক আব্দুর রব খান।