Home রাজনীতি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ইতিহাসে নির্মমতার এক কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত……..এড.নুরুল আমিন...

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ইতিহাসে নির্মমতার এক কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত……..এড.নুরুল আমিন রুহুল এমপি


শামসুজ্জামান ডলার ও জহিরুল হাসান মিন্টুঃ
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভির্যের মধ্যদিয়ে মতলব উত্তরে ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক ও জাতীয় দিবস পালন করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্প অর্পন, জাতীয় পতাকা অর্ধনিমিত রাখা, কালোপতাকা উত্তোলন, শোকর্যালী, আলোচনাসভা ও দোয়ার মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করা হয়।

দিবসের শুরুতে সকাল ৮ টায় মতলব উত্তর উপজেলার ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়নের নাউরী আহম্মদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আলোচনাসভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সরকারের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক সরকার মোঃ আলাউদ্দিনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর-২ নির্বাচনী আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এড.নুরুল আমিন রুহুল।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব এড. রুহুল আমিন এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস। আরো বক্তব্য রাখেন, ফতেপুর পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ।

ফরাজীকান্দি ইউনিয়ন-
সকাল ৯টায় ফরাজীকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা ছাত্রলীগোর সাবেক আহবায়ক আব্দুর রব প্রধান সঞ্চালনায় ইউনিয়নের আনন্দ বাজারে শোক দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর-২ নির্বাচনী আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এড.নুরুল আমিন রুহুল।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব এড. রুহুল আমিন এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস।

এসময় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্মসাধারন সম্পাদক আইয়ুব আলী গাজী, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি দেওয়ান জহির,
ফরাজীকান্দি ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিং এর সভাপতি নাসির উদ্দিন খোকন, ফরাজীকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিম।

উপজেলা প্রশাসন-
সকাল ১০ টায় উপজেলা উপজেলা প্রশাসক আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রথমে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়, এরপর শোকর্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার আশরাফুল হাসান এর সভাপতিত্বে এবং সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজ মিয়ার পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর-২ নির্বাচনী আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এড.নুরুল আমিন রুহুল।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব এড. রুহুল আমিন ।

আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন খান সুফল, ছেংগারচর পৌর প্রশাসক মোঃ হেদায়েত উল্যাহ, মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ শাজাহান কামাল, সাংবাদিক আব্দুল লতিফ মিয়াজী, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারন সম্পাদক জিএম ফারুক, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি দেওয়ান জহির, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আবু হানিফ অভি।

কলাকান্দা ইউনিয়ন-

বেলা ১১ টায় কলাকান্দা ইউনিয়নয়নের দশানী বেড়ি বাঁধের ওপর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এটিএম মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর-২ নির্বাচনী আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এড.নুরুল আমিন রুহুল।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের ক্রীড়া সম্পাদক
নুরুল আমিন বোরহান, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সদস্য যথাক্রমে কাজী মিজানুর রহমান ও আতিকুল ইসলাম শিমুল, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি দেওয়ান মোঃ জহির, যুবলীগ নেতা নবীর হোসেন ছৈয়াল, ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম প্রমূখ।

এছাড়াও উপজেলা গজরা শিল্পকলা একাডেমীর মাঠ ও মোহনপুর ইউনিয়ন কার্যালয়ে সম্মুখের মাঠে এমপি নুরুল আমীন  রুহুল শোক দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

এসময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানীয় সাংসদ এডভোকেট নুরুল আমিন রুহুল বলেন, ‘আগস্ট বাঙালি জাতির নিকট বেদনাদায়ক একটি মাস। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ইতিহাসে নির্মমতার এক কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত। ১৯৭৫ সালের এই দিনে মানবসভ্যতার ইতিহাসে সবেচেয়ে নিকৃষ্ট ও ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। বুলেটের আঘাতে স্তব্ধ করে দেওয়া হয় বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠা ও মুক্তি সংগ্রামের দ্ব্যর্থহীন বজ্রকণ্ঠ। দেশের বাইরে অবস্থান করার কারণে সেদিন প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুইকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

তিনি আরো বলেন, শুধু জিয়াউর রহমান নয়, খন্দকার মোশতাক সময় মত তার কাজ করার জন্য অনেক আগেই আমাদের দলে প্রবেশ করেছিল। ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতা ছিল ৯৬ সাল পর্যন্ত। এ হত্যার বিচার বাতিলের জন্য ইনডেমনিটি অ্যাক্ট জারি করা হয়। পরবর্তীতে জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলে যুদ্ধ অপরাধীর বিচারের মাধ্যমে জাতিকে কলঙ্ক মুক্ত করেন