ঢাকা ক্যাম্পাস

    Home ঢাকা ক্যাম্পাস

    কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের পেছনের ঝোঁপে ঢাবি ছাত্রীকে ধর্ষণ!

    0

    ক্লাস শেষে ক্যাম্পাস থেকে বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার পথে রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় আলামত সংগ্রহে নেমেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) ও গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

    সোমবার (৬ জানুয়ারি) কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের বাইরের দিকে একটি ঝোঁপের মধ্যে কিছু আলামত পেয়েছেন তারা।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক র‍্যাবের এক সদস্য বলেন, ‘ঝোঁপের মধ্যে ইউনিভার্সিটির বই, ঘড়িসহ কিছু আলামত আমরা পেয়েছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি এটিই ঘটনাস্থল। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা এলে আপনাদের বিস্তারিত জানানো হবে।’

    এদিকে, ডিবির একটি টিমও ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করছেন। তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে বিস্তারিত জানাবেন বলেও জানান ডিবি সদস্যরা।

    ঘটনার পর রবিবার রাত থেকে শুরু করে আশপাশের সব এলাকায় খোঁজ নিয়ে কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের বাইরের দিকের এই ঝোঁপটিকেই ঘটনাস্থল হিসেবে সন্দেহ করা হচ্ছে বলেও জানান র‍্যাবের ওই সদস্য।

    গতকাল রবিবার ক্লাস শেষে বিকেল সাড়ে ৫টায় বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার উদ্দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাসে উঠেন ওই শিক্ষার্থী। উদ্দেশ্য ছিল একসঙ্গে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়া। আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কুর্মিটোলায় বাস থেকে নামেন তিনি। বাস থেকে নেমে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এসময় হঠাৎ অজ্ঞাত পরিচয় কয়েজন তার মুখ চেয়ে ধরেন। তৎক্ষণাত সে অচেতন হয়ে পড়ে। এর পর অদূরেই নির্জন স্থানে তুলে নিয়ে পালাক্রমে কয়েকজন মিলে তাকে ধর্ষণ করে।

    ধর্ষণের শিক্ষার ওই শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা জানান, সন্ধ্যা ৭টার পর তাকে অজ্ঞান করে নির্জন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। এক পর্যায়ে তার জ্ঞান ফিরলে পাশবিক নির্যাতনে আবারও সে জ্ঞান হারায়। রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরে পাওয়ার পর ওই ছাত্র দেখতে পায় একটি নির্জন স্থানে পড়ে আছে সে। এর পর সেখান থেকে সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে বান্ধবীর বাসায় যায় এবং বান্ধবীকে পুরো ঘটনা জানায়। খবর পেয়ে সহপাঠীরা প্রথমে তাকে ক্যাম্পাসে পরে হাসপাতালে নিয়ে যান। রাত ১২টার দিকে ওই ছাত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।

    জানা গেছে, ওই শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তিনি ঢাবির একটি আবাসিক হলে থাকতেন। ক্যাম্পাসে একটি সংগঠনের সঙ্গেও তিনি জড়িত।

    এ ঘটনা জানার পর রবিবার রাত থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস উত্তাল হয়ে উঠে। রাতেই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে। ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। সোমবার দুপুর ১২টায় মধুর ক্যান্টিন থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেছে ছাত্রদল। এমনকি ধর্ষণের শিক্ষার ওই শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা সোমবার বেলা ১১টায় টিএসসি সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে প্রতিবাদ সমাবেশ করছে। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রতিবাদ সমাবেশের জন্য একটি ইভেন্টও খোলা হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ ওই প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দিয়েছে। ছাত্র সংগঠনগুলো ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের ঢেউয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

    এরইমধ্যে ঢাবি শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই শিক্ষার্থীর বাবা।

    ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহান হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঢাবি শিক্ষার্থীর বাবার অভিযোগের পর থানায় মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’ খুব দ্রুতই আসামিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে তিনি জনান।

    তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রীর সঙ্গে গুলশান বিভাগেরর ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা দেখা করেছেন। পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেছেন।’

    শীতার্তদের পাশে দাড়ালো ‘জাবি সায়েন্স ক্লাব’

    0

    জাবি প্রতিনিধি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) সায়েন্স ক্লাব কর্র্তৃক ‘শীতার্তদের প্রয়োজনে মিলি জীবনের আহ্বানে’ স্লোগানে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।

    বুধবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে জাবির শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে ক্যাম্পাসের রিকশাচালক, হলের কর্মচারী, আশেপাশের এলাকার হতদরিদ্র, অসহায় প্রায় ১০০জন লোকের মাঝে এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।

    শীতবস্ত্র বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন, জাবি সায়েন্স ক্লাবের উপদেষ্টা ও ফার্মেসি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফখরুল ইসলাম, বিগত কমিটির সভাপতি সানিউল ইসলাম সাইদ, বর্তমান কমিটির সভাপতি ওলিউল্লাহ সাদসহ বর্তমান কমিটির অন্যান্য সদস্যরা।

    এসময় সংগঠনটির সদস্যরা শীতবস্ত্র বিতরণ করতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করেন এবং ক্যাম্পাসের অন্যান্য সকল সংগঠনসহ ব্যাক্তিগতভাবে সকলকে শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

    শীতবস্ত্র পেয়ে শীতার্ত দরিদ্র অসহায় মানুষগুলোর মুখে এসময় হাসি ও উচ্ছাস দেখতে পাওয়া যায়।

    উল্লেখ্য, ‘জাবি সায়েন্স ক্লাব’ প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত পাঁচ বছর বিভিন্ন সামাজিক কল্যাণমূলক কাজ করে আসছে।

    নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির নবাগত শিক্ষার্থীদের সামার ২০২১ সেমিস্টার এর ভার্চুয়াল ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত

    0

    বেসরকারী পর্যায়ে উচ্চ শিক্ষার পথপ্রদর্শক এবং বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মাঝে র্যাংকিং এ প্রথম স্থান অর্জনকারী নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সামার ২০২১ সেমিস্টারের নবাগত শিক্ষার্থীদের ভার্চুয়াল ওরিয়েন্টেশন আজ ১২ জুন অনুষ্ঠিত হয়। উচ্চ শিক্ষার শুরুতেই বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পরিচিতি অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল ভাবে অংশ নেয় নবীন শিক্ষার্থীরা। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি অনুষদের ১৬টি বিভাগে স্নাতক (সম্মান) কোর্সে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে বারশত এর অধিক শিক্ষার্থী। ভার্চুয়াল ওরিয়েন্টেশন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ এ সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
    নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন, এম. পি.। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপাতি জনাব এম. এ. কাশেম। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য, জনাব আজিম উদ্দিন আহমেদ, জনাব বেনজীর আহমেদ এবং জনাব তানভীর হারুন।
    প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন, এম. পি. বলেন, তোমরা তরুণ শিক্ষার্থীরা খুবই ভাগ্যবান, কারণ তোমরা দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছ। এটি একটি মানসম্মত প্রতিষ্ঠান এবং সম্ভবত দেশের প্রথম প্রতিষ্ঠান যা বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, এটি প্রথম থেকেই খুব উচ্চ স্তরের শিক্ষার মান বজায় রেখেছে এবং এই বিশ্ববিদ্যালয় এর স্নাতকদের বেশিরভাগই চাকুরির বাজারে ভাল স্থান দখল করে নিয়েছে। এটি এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা প্রমান করে, যদি ইচ্ছা থাকে তবে উপায় হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা যদি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হও তবে তোমরা জীবনে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে পারবে। তিনি আরও বলেন, আমরা বই থেকে শিখি, শিক্ষকদের কাছ থেকে শিখি, সহকর্মী, বন্ধুবান্ধব এবং পরিবার থেকে শিখি। তিনি শিক্ষার্থীদের নেটওয়ার্কিংয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়ার জন্য বলেন যা তাদের ক্যারিয়ারে দক্ষ হতে সহায়তা করবে। পড়াশোনা হল ভবিষ্যতের একটি পাসপোর্ট এর মত , যদি তোমরা শিখ তবে তোমরা জীবনে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে পারবে। আগামীকাল তাদের জন্য যারা আজ তার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তোমরা এনএসইউতে অধ্যয়ন করার একটি ভাল সুযোগ পেয়েছেন, তোমরা যখন এখানে পড়াশুনা করবে তখন তোমরা সময় নষ্ট করবে না। আমি আনন্দিত, এনএসইউ, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ নিয়ে গবেষণা করছে। তিনি অনুষদ সদস্য এবং অন্যান্যদের এগিয়ে নিবন্ধ লেখা এবং বই প্রকাশ করতে এগিয়ে আসতে বলেন। তিনি আরও বলেন, আমি আশা করব এনএসইউ অনুষদ সদস্যরা একাডেমিক গবেষণার পাশাপাশি দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গবেষণা করবে এবং প্রকাশ করবে।

    নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান জনাব এম. এ. কাশেম বলেন, আমরা করোনা মহামারির মধ্যেও ইউনিভার্সিটির সকল ক্লাস অনলাইনে সফল ভাবে পরিচালনা করে আসছি এবং এসব অনলাইন ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ৯৩% এর মত যা স্বাভাবিক সময় এর থেকে ও বেশি। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাতে এপর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের ১৩০০ জন শিক্ষার্থীদের বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযোগ প্রদান করেছে। এনএসইউ প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে অদ্যাবধি শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহযোগিতা হিসেবে ১৫০ কোটি টাকা প্রদান করেছে। আমরা কোভিড অনুদান হিসেবে শিক্ষার্থীদের বিগত তিন সেমিস্টারে প্রায় ৮২ কোটি টাকা প্রদান করেছি। শিক্ষা একটি জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষিত জাতি ছাড়া সুন্দর ও প্রগতিশীল দেশ গঠন করা সম্ভব নয়। শিক্ষা একটি জাতির মধ্যে মূল্যবোধ গড়ে তোলে, মানবতার বিকাশ ঘটায়। এ জন্য, একটি দেশের উন্নয়নের জন্য, সর্বাধিক মনোযোগ শিক্ষাক্ষেত্রে দেওয়া প্রয়োজন। বর্তমানে স্বাস্থ্য খাতের পর সরকার সবচেয়ে বড় বাজেট শিক্ষা খাতে দিয়েছে। আমি মনে করি এটি খুব সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। এনএসইউ এর উদ্দেশ্য হল জ্ঞানের অগ্রগতি সাধন করা, যা একটি নিরাপদ এবং আরামদায়ক শিক্ষার পরিবেশ ব্যতীত সম্ভব নয়। সে লক্ষ্যেই এনএসইউ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা বোধ তৈরিতে বদ্ধপরিকর। এসময় এনএসইউ এর উপর আস্থা রাখার জন্য তিনি অভিভাবকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং নবাগত শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানান।

    নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম বলেন, আমি জানি, শিক্ষার্থীরা সবথেকে জ্ঞানী ও দক্ষ শিক্ষকদের কাছ থেকে শিখতে চায়, আমি তোমাদের নিশ্চিত করে বলতে পারি, এনএসইউ সবচেয়ে যোগ্য এবং সবচেয়ে যত্নশীল আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষকবৃন্দ যারা শিক্ষার্থীদের পরম যত্নের সাথে শিক্ষা প্রদান করে। এনএসইউ প্রোগ্রামগুলো জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত। সমস্ত র্যাংকিং এ এনএসইউ শীর্ষে রয়েছে। আমাদের বিজনেস স্কুল কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের শীর্ষ বিজনেস স্কুলগুলির তালিকায় ৩৫১-৪০০ মধ্যে রয়েছি। আমরা অনেক নামী প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথভাবে গবেষণা করি। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সর্বশেষ তথ্য মতে, আমাদের মোট গবেষণার সংখ্যা শীর্ষ নয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বমোট গবেষণার সংখ্যা থেকে বেশি। অনলাইন ক্লাস ও পরীক্ষা পরিচালনা এর ক্যানভাস সফটওয়্যার চালুর মাধ্যমে আমরা সেরা শিক্ষাগত প্রযুক্তি ব্যাবহারে ও দেশের প্রথম প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীরা একটি ভাল চাকরির জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে, এনএসইউর স্নাতকরা ১০০ ভাগই চাকুরির বাজারে ভাল অবস্থানে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, গ্র্যাজুয়েট এমপ্লয়বিলিটি র্যাঙ্কিংয়ে এনএসইউ গোটা বিশ্বের মধ্যে শীর্ষ ৫০০ এর তালিকায় স্থান পেয়েছে।
    ভার্চুয়াল ওরিয়েন্টেশন এ অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য, চার অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান/পরিচালক, শিক্ষকবৃন্দ এবং কর্মকর্তাবৃন্দ। এছাড়াও ভার্চুয়াল ওরিয়েন্টেশটি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ সরাসরি সম্প্রচার এর মাধ্যমে সংযুক্ত ছিলেন বিপুল সংখ্যক অভিভাবক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ

    ঢাবি-এ ‘রোবটিক্স-এর ভবিষ্যৎ এবং বাংলাদেশের সম্ভাবনা’

    0

    বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোবটিক্স এন্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ও
    চ্যানেল আই এর যৌথ উদ্যোগে ‘ঋঁঃঁৎব ড়ভ জড়নড়ঃরপং ধহফ ঃযব ঙঢ়ঢ়ড়ৎঃঁহরঃু ভড়ৎ
    ইধহমষধফবংয’ শীর্ষক এক সেমিনার আজ ৪মার্চ ২০১৯ সোমবার বিশ^বিদ্যালয়ের
    আরআই খান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন
    ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ
    আহ্ধসঢ়;মেদ পলক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-
    ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ।
    সেমিনারে ‘ঋঁঃঁৎব ড়ভ জড়নড়ঃরপং ধহফ ঃযব ঙঢ়ঢ়ড়ৎঃঁহরঃু ভড়ৎ ইধহমষধফবংয’ শীর্ষক
    প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মেহেদী শামস। ঢাবি রোবটিক্স এন্ড মেকাট্রনিক্স
    ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপার্সন ড. লাফিফা জামালের সভাপতিত্বে
    সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন আইবিএ’র পরিচালক অধ্যাপক
    ড. সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার, চ্যানেল আই-এর পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ
    সিরাজ এবং রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান
    নির্বাহী মাহতাব উদ্দিন আহমেদ।
    ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্ধসঢ়;মেদ
    পলক বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চের ভাষণে
    রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক রূপকল্প দিয়েছিলেন। আমরা জাতির
    জনকের স্বপ্নের সেই সোনার বাংলা গড়তে একটি শ্রমভিত্তিক অর্থনীতি
    থেকে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতিতে রূপান্তর হওয়ার চেষ্টা করছি। এই উন্নয়ন যাত্রায়
    তথ্য প্রযুক্তি হচ্ছে প্রধান হাতিয়ার। তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশে বর্তমান সরকারের
    গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির
    উন্নয়নে সব ধরনের সহযোগিতা করছে সরকারের আইসিটি বিভাগ।
    প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, শিক্ষা
    ও গবেষণায় আমাদের আরও গুরুত্ব দেয়া দরকার। বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে
    সমসাময়িক উদ্ভাবন ও এর প্রায়োগিক দিক উল্লেখ করে তিনি বলেন,
    কৃষিখাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির অবদান অপরিসীম। বাংলাদেশের সর্বত্র
    কৃষিতে নতুন প্রযুক্তির আরও ব্যাপক ব্যবহার প্রয়োজন।
    উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ২০১৮ সালের আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে
    প্রথমবার অংশগ্রহন করে। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ দেশের বিভিন্ন
    শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে গঠিত তিনটি টিম-‘রোবো
    টাইগার’, ‘টিম বাংলাদেশ’ এবং ‘রোবো চ্যালেঞ্জার’ এই
    প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করে গোল্ড মেডেলসহ বিভিন্ন পুরস্কার অর্জন
    করে। অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহনকারীদের
    সম্মাননা জানানো হয়। bporikromanewsbd.com

    ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় গ্রন্থাগারের উদ্যোগে পান্ডুলিপি বিষয়ক এক কর্মশালা আজ

    0

    বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় গ্রন্থাগারের উদ্যোগে পান্ডুলিপি বিষয়ক এক
    কর্মশালা আজ ১৮ এপ্রিল ২০১৯ বৃহস্পতিবার বিশ^বিদ্যালয় গ্রন্থাগারের
    সাইবার সেন্টারে শুরু হয়েছে। বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো.
    আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ৩দিন ব্যাপী এই
    কর্মশালার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
    ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক ড. এস এম
    জাবেদ আহমদের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কলা অনুষদের ডিন
    অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন। এছাড়া স্বাগত বক্তব্য দেন
    ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) সৈয়দা ফরিদা পারভীন এবং
    ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন উপ-গ্রন্থাগারিক সৈয়দ আলী আকবর।
    উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান পান্ডুলিপি যথাযথভাবে
    সংরক্ষণের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, সাহিত্য, ইতিহাস, বিজ্ঞান, ভূগোলসহ
    সব বিষয়ে মানব সভ্যতার অবদানের ইতিহাস পান্ডুলিপি থেকেই সংগ্রহ
    করতে হয়। পান্ডুলিপির উপর ভিত্তি করে সভ্যতার বিকাশ ঘটেছে, তাই এ বিষয়ে
    শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা তৈরি হওয়া দরকার। তিনি আরও বলেন,
    পান্ডুলিপির পাঠোদ্ধার কঠিন একটি কাজ। এই কাজটি সফলভাবে পরিচালনার
    জন্য তিনি গবেষকদের প্রতি আহবান জানান। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের
    গ্রন্থাগারে সংগৃহীত ৩০হাজার পান্ডুলিপির প্রায় এক তৃতীয়াংশ
    ইতিমধ্যে ডিজিটাইজ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি ঢাকা
    বিশ^বিদ্যালয় তথা দেশের একটি বড় সম্পদ। উপাচার্য আশা প্রকাশ করেন
    কর্মশালার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে এই বিদ্যা চর্চা আরও প্রসার লাভ
    করবে।
    উল্লেখ্য, কর্মশালায় দুজন শিক্ষার্থীকে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে গবেষণার
    জন্য বৃত্তি প্রদান করা হয়। তারা হলেন, বাংলা বিভাগের এম এ শেষ পর্বের মো.
    নাজমুল হোসেন এবং সংস্কৃত বিভাগের ৭ম সেমিষ্টারের শিক্ষার্থী শুক্লা
    রানী। কর্মশালায় ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও কয়েকজন বিদেশী
    নাগরিক অংশগ্রহণ করছেন। ৫০জন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে আগামী ২৫
    এপ্রিল এই কর্মশালা শেষ হবে
    ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় গ্রন্থাগারের উদ্যোগে পান্ডুলিপি বিষয়ক এক
    কর্মশালা আজ ১৮ এপ্রিল ২০১৯ বৃহস্পতিবার বিশ^বিদ্যালয়
    গ্রন্থাগারের সাইবার সেন্টারে শুরু হয়েছে। বিশ^বিদ্যালয়ের
    উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি
    হিসেবে উপস্থিত থেকে ৩দিন ব্যাপী এই কর্মশালার আনুষ্ঠানিক
    উদ্বোধন করেন। (ছবি: ঢাবি জনসংযোগ)

    ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে ডিএমপি কমিশনারের বৈঠক মহান শহীদ দিবস ও ডাকসু নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসে

    0

     

    বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা ডেস্ক :

    নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়ে আলোচনা

    ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান মিয়ার
    নেতৃত্বে পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ গতকাল ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
    সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের
    সঙ্গে তার বাসভবনস্থ কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
    প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী সহ প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যগণ
    উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, সভায় ডাকসু’র চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা
    অধ্যাপক ড. এস এম মাহফুজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
    সভায় অমর একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা
    দিবস যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে পালনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ
    মিনার এবং সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে আলোচনা করা হয়।
    এছাড়া, আগামী ১১ মার্চ অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র-সংসদ
    (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা ও
    নিরাপত্তা আরও জোরদার করার ব্যাপারে মতবিনিময় করা হয়। এতদ্ধসঢ়;বিষয়ে সভায়
    পুলিশের অধিকতর সহযোগিতা প্রত্যাশা করা হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ
    কমিশনার এ বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।
    বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন
    পুলিশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিমকে সহযোগিতা করবে বলেও সভায়
    জানানো হয়।

    —————

    শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার আহ্বান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের

    0

    দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। রবিবার (১৫ মার্চ) সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এবং মহাসচিব ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়ার সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) বিশ্বজুড়ে মহামারি রূপ নিয়েছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা করোনা ভাইরাসকে প্যানডেমিক (pandemic) হিসেবে ঘোষণা করেছে। পৃথিবীর অনেক রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছে। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সতর্কবার্তায় দেশে জনসমাগম, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। এমনকি কোনও কোনও দেশে রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার করোনা ভাইরাসের বিস্তারকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ‘বিপর্যয়’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে পূর্বনির্ধারিত অনুষ্ঠান পুনর্বিন্যাস করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
    বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, করোনায় সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে দেশের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সুধী সমাজে একটি সম্মিলিত জনমত সৃষ্টি হয়েছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে ইতোমধ্যে আড়াই হাজার মানুষকে সঙ্গরোধ (কোয়ারেন্টাইন) ব্যবস্থায় রাখা হয়েছে।
    বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অবিলম্বে সাময়িক বন্ধ ঘোষণা অথবা গ্রীষ্মকালীন ছুটি নির্ধারিত সময়ের আগে কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্তের নির্দেশনা দিতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরাধ জানানো হয়।

    জাবিতে বাস সংকট চরমে, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা!

    0

    জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চরম বাস সংকটে ভোগান্তির কবলে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির হাজারো শিক্ষার্থী। ফলে প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাদুরঝোলা হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে যাতায়াত করছে অধিকাংশ শিক্ষার্থী। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের বাস সংকট থাকলেও তা সমাধানে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেয় নি বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশাসন।

    বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহণ সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের জন্য বাস আছে মোট ১৪ টি। এর মধ্যে বর্তমানে ১২টি বাস রাজধানী ঢাকা-মিরপুর-উত্তরা-এয়ারপোর্ট-বঙ্গবাজার-মানিকগঞ্জ-কাকরাইলসহ বিভিন্ন রুটে চলাচল করে। আর বাকি ২টি বাস প্রায় দুই বছর ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকা বাস ২টি গাবতলী বাস ডিপুতে (ঢাকা মেট্রো-ছ ০৮০০১৯ ও ঢাকা মেট্রো-চ ০৮০০২০) মেরামত কাজ চলছে। মেরামত করতে এই ২টি বাসের পেছনে খরচ লেগেছে প্রায় ১২ লাখ টাকা। এদিকে বাস সংকটের বিষয়টি প্রশাসনকে বারবার অবগত করলেও এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয় নি বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত বৃহস্পতি, শুক্র, শনি ও রোববার ঢাকা-মিরপুর-উত্তরা ও বঙ্গবাজার রুটে ছেড়ে যাওয়া ৬টি বাসে আসনের চেয়ে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী উঠতে দেখা যায়। এর মধ্যে শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টায় বঙ্গবাজার রুটের বাস দুটিতে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উঠে যার এক’শ জন শিক্ষার্থী বসে আর বাকি শতাধিক শিক্ষার্থীকে দাঁড়িয়ে বাদুরঝোলা অবস্থায় দেখা যায়।

    দুই তলা এই দুটি বাসের উপর তলা ও নিচ তলায় শিক্ষার্থীরা গা ঘেষাঘেষি করে পাশাপাশি অবস্থান করে। আবার অনেকে কোন উপায় না পেয়ে দরজার পাশে অবস্থান নেন। এতে যেকোন সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনাসহ নানা অনাকাঙ্খিত ঘটনা। বিশেষ করে মেয়ে শিক্ষার্থীদের ভীড় ঠেলে বাসে দাঁড়িয়ে যাতায়াত করতে দেখা যায় যা তাদের জন্য অসহনীয় ও বিব্রতকর বলে জানান মেয়ে শিক্ষার্থীরা।

    শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়টিতে প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। অনেক শিক্ষার্থী পরিবারের সাথে ঢাকা ও অনেকে নগরীর বিভিন্ন প্রান্তে বাসা বা মেসে অবস্থান করেন। এছাড়াও অনেক শিক্ষার্থী একাডেমিক কাজসহ বিভিন্ন কাজে ক্যাম্পাসের বাহিরে নিয়মিত যাতায়াত করেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ন্যূনতম সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।

    তারা জানান, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অধিকাংশ শিক্ষার্থীকে নিজেদের পড়াশোনার খরচ চালাতে টিউশন করতে হয়। প্রতিদিন টিউশন করতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তে যেতে হয়। কিন্তু যাতায়াতের জন্য শিক্ষার্থীদের যে বাস চালু রয়েছে তা অত্যন্ত কম। বাসগুলোর ধারণক্ষমতা সর্বোচ্চ ৭০-৮০ জন করে। কিন্তু এই বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর পরিবহণের জন্য মাত্র ১২টি বাস চালু রেখেছে প্রশাসন। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। আবার চালু থাকা বাসগুলোর সিডিউল ও রুট নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন।

    অনেক সময় নিদিষ্ট রুটে দাঁড়িয়ে হাত তুললেও বাসগুলো থামে না বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। এছাড়াও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শিক্ষার্থীদের বাসে নিয়মিত যাতায়াত করলেও তাদের (কর্মকর্তা-কর্মচারী) বাসে কোন শিক্ষার্থীকে উঠতে দেয় না এমন অভিযোগও রয়েছে। বাসগুলোর এমতাবস্থায় অসহনীয় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা এমনটি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্মতত্ত্ব বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মৃধা মোহাম্মদ বেলাল বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ সংকটের কারণে বাধ্য হয়ে দরজার পাশে ঝুলে ঝুলে যাতায়াত করতে হয়। ন্যূনতম পরিবহণ সুবিধা পাচ্ছি না। জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের ছাত্রী বুশরা মেহেজাবিন এশা বলেন, আমি প্রতিদিন মিরপুর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে যাতায়াত করি। সকালে যখন ক্লাসে যাই তখন সিটে বসে যেতে পারি কিন্তু ক্লাস শেষে বিকেল বেলা বাসা ফেরার পথে বাসে সিটতো দূরের কথা মাঝে মাঝে দাঁড়ানোর জায়গাও পাই না।

    অর্থনীতি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র আসিফ ইকবাল বলেন, অতিদ্রুত বাস সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন। মেরামত করা বাস ও নতুন কিছু বাস চালু করা গেলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।

    এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক ড. খো. লুৎফুল এলাহী বলেন, বর্তমানে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীসহ মোট ১২ টি বাস চালু আছে। বাকি ২টি বাসের মেরামত কাজ শেষ। আশা করি আগামী মাসে বাস ২টি চালু করা সম্ভব হবে। নতুন বাসের বিষয়ে তিনি বলেন, উপাচার্য মহোদয়ের সাথে নতুন ২টি বাসের বিষয়ে আলাপ হয়েছে। আগামী দুই এক মাসের মধ্যে পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী। চালুকৃত বাসগুলোর সাথে মেরামতকৃত ও নতুন বাস যুক্ত হলে শিক্ষার্থীদের পরিবহণ সংকট দ্রুত কমবে বলে জানান তিনি।

    শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি বাসের অবস্থান জানার জন্য অ্যাপস চালু করার বিষয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা দায়িত্ব পাওয়ার পর উপাচার্য মহোদয়ের সাথে কথা বলেছি উনি ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এটা চালু করার আশ্বাস দিয়েছেন।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাবের নবীন বরণ ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত

    0

    পরিক্রমা ডেস্ক:  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাবের আয়োজনে নবীন সদস্যদের বরণ ও
    কর্মশালা আজ ১৪ নভেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে
    অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো.
    আখতারুজ্জামান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
    অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ক্লাবের মডারেটর মো. রাশেদুর রহমান এবং
    ডাকসু’র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আরিফ ইবনে আলী উপস্থিত ছিলেন।
    উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন
    বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরনের ক্লাব আছে। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলের কথা বিবেচনা
    করে সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য যোগ্য গ্র্যাজুয়েট তৈরি করা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলিক
    কাজ। তিনি জব ফেয়ারসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন করার জন্য ক্যারিয়ার
    ক্লাবের সদস্যদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
    এর আগে, উপাচার্য বিগত বছরের কার্যাবলী সম্বলিত ‘আমাদের
    লিখিত ইতিহাস’ ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন করেন।

    শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আরেক দফা ছুটি বাড়ছে

    0

    বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা ডেস্ক:  করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আরেক দফা বাড়ানো হচ্ছে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ছুটি বাড়ানোর নির্দেশনা সোমবার (১৫ জুন) শিক্ষা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করার কথা রয়েছে। শিক্ষা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

    এর আগে গত ২৮ মে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ১৫ জুন পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়। এই ছুটির শেষ দিনে আবারও ছুটি বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হবে।

    প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, ‘চলতি মাস (৩০ জুন) পর্যন্ত ছুটি বাড়ছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আজ (রবিবার) কথা হয়েছে। কাল সিদ্ধান্ত নেবো।’

    প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় এ পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি কয়েক দফা বাড়ানো হয়। গত ১৭ মার্চ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সাধারণ ছুটির সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ছুটির সময় শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এমনকি ঘরে বসেই শিক্ষার্থীদের অনলাইনে পাঠদানের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

    শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ছুটি বাড়াতে মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রস্তাবনা রয়েছে। একটি হলো ৩০ জুন পর্যন্ত এবং আরেকটি হচ্ছে ৩০ জুনের পরও ছুটি বাড়ানো। তবে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ছুটির বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

    শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘আমার ঘরে আমার স্কুল’ শিরোনামে সংসদ টেলিভিশনে ক্লাস চলছে এবং ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও ক্লাস আপলোড করা হচ্ছে। এছাড়া, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ঘরে বসে শিখি’ শিরোনামে সংসদ টেলিভিশনে ভিডিও ক্লাস চলছে। এই নামে একটি ওয়েব পোর্টালও ডেভেলপ করা হচ্ছে।

    দীর্ঘ ছুটির কারণে সাধারণ এলাকার পাশাপাশি পাহাড়ি এলাকা, চরাঞ্চল ও হাওরসহ দুর্গম এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের আওতায় আনারও চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি কমিউনিটি রেডিও’র মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রমের আওতায় আনার চিন্তাভাবনা হচ্ছে। তবে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি কমিয়ে এবং ক্লাস বাড়িয়ে ক্ষতিপূরণ করার কথা ভাবছে সরকার।

    0FansLike
    0FollowersFollow
    0SubscribersSubscribe