প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়

    Home প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়

    বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ॥

    0

    বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে আালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৭ মার্চ ২০১৯) সকালে ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসের সভাকক্ষে এ আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ারুল হক শরীফ এর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেয় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী সাবরিনা জান্নাত, অর্থনীতি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মোঃ তাজুল ইসলাম, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক লে. কর্ণেল মোঃ আলী আম্বিয়াল হক খান (অবঃ) এবং রেজিস্ট্রার ব্রি. জে. মোঃ মাহবুবুল হক (অবঃ) প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন আইন বিভাগের প্রধান দেওয়ান মোঃ আল-আমিন।

    সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ারুল হক শরীফ ব্যক্তিগত জীবন ও অভিজ্ঞতার আলোকে ১৯৭১ সালের অগ্নিঝরা মার্চ থেকে শুরু করে পুরো যুদ্ধের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু প্রজ্জ্বলিত দ্বীপশিখা হাতে নিয়ে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা মহান স্বাধীনতা অর্জন করেছি। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক ও প্রকৃত গণতান্ত্রিক দেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় হোক আজকের অঙ্গিকার।

    অনুষ্ঠানের অন্য বক্তারা স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের অনুপ্রেরনায় উজ্জীবিত হয়ে সকলকে দেশগড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করা এবং সঠিক ইতিহাস জানার আহবান জানান। তাঁরা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর একক নেতৃত্বে অল্প সময়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ভয় দেখিয়ে নয়, ভালোবাসা দিয়ে বাংলার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। আমাদের এই চেতনা বুকে ধারন করেই আগামীর বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হবে।

    আলোচনা সভায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, কর্মকতা, কর্মচারী এবং ছাত্রছাত্রী উপস্থিত ছিলেন। এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে দিবসটির উপর একটি প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

    নর্দান ইউনিভার্সিটি ট্রাস্ট্রের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মোঃ আব্দুল্লাহ’র বইয়ের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত।

    0

    বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা প্রতিবেদক :  ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, রবিবার বিকাল ৪:০০ টায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের আইবিএ-এর প্রফেসর, নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এ- টেকনোলজি খুলনা’র উপাচার্য ও নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ট্রাস্ট্র -এর চেয়ারম্যান, প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মোঃ আব্দুল্লাহ কর্তৃক রচিত গবেষণাধর্মী বই “ভারত ও বাংলা ভাগ এক বিয়োগান্তক অধ্যায়” এর প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিতি ছিলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান খাঁন, এম.পি।

    নর্দান ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মোঃ আব্দুল্লাহ -এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন, অনুষ্ঠানের আহবায়ক ও ডীন প্রফেসর ড. আনোয়ারুল করীম, জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল এবং ভারত বিচিত্রার সম্পাদক জনাব নান্টু রায়।

    মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান খাঁন এম.পি বলেন, বাংলার মানুষ যে পরাধীনতা মানে না তা ‘‘ভারত ও বাংলা ভাগ এক বিয়োগান্তক অধ্যায়’’ বইয়ের মাধ্যমে প্রতিয়মান হয়েছে। তিনি সবাইকে বইটি পড়ার আহবান জানান।

    ড. আবু ইউসুফ মোঃ আব্দুল্লাহ বলেন, ১৯৪৭ সালের দ্বিজাতীতত্ত্বের বিভাজন সাধারণ মানুষের প্রত্যাশিত ছিল না। সাম্প্রদায়িক চেতনাকে পুঁজি করে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফসল হলো দাঙ্গা। এই মোক্ষম অস্ত্র ব্যবহার করল রাজনৈতিক নেতারা। যাদের কারোও সাধারণ জনগনের সাথে ছিল না কোন সম্পর্ক। ইংরেজরা তাদের দোসরদের দিয়ে ভারত ও বাংলাকে ভাগ করে দিল। ভারতের হাজার বছরের ইতিহাস এভাবেই বদলে গেল।

    ভারত ও বাংলা ভাগের প্রকৃত ইতিহাস প্রতিটি বাঙালীরই জানা দরকার বলে আমার মনে হয়েছে। এই প্রেষণা থেকেই ‘ভারত ও বাংলা ভাগ’ বইটি লেখার তাগিদ পেয়েছি।

    উক্ত প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পেশাজীবি, শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, আমন্ত্রিত অতিথি ও নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, অবিভাবক উপস্থিত ছিলেন।

    ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ও জেনিথ ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সের চুক্তি

    0

    বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা প্রতিবেদক : ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ও জেনিথ ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেডের মধ্যে একটি চুক্তি গতকাল রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তি অনুযায়ী ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সব কর্মীকে জীবন বিমার আওতায় আনবে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স।
    রাজধানীর ধানমন্ডিতে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বোর্ড রুমে এই চুক্তি সম্পাদনপত্র বিনিময় করেন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন মোগল, উপাচার্য অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন ও জেনিথ ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম নুরুজ্জামান।
    অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য শেখ সাইদুর রহমান, ট্রেজারার এ এস মাহমুদ, বাণিজ্য অনুষদের ডিন ড. মো. আব্বাস আলী খান, উপদেষ্টা ড. এম ফরিদ আহমেদ, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক কাশীনাথ রায় ও রেজিস্ট্রার আবুল বাশার খান এবং জেনিথ ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সের এজিএম আনোয়ার হোসেইন সরকার ও এসইভিপি উম্মে হাসুনাত তোয়াফিয়া।

    জবির প্রথম ছাত্রী হলের প্রথম প্রভোস্ট হলেন ড. আনোয়ারা

    0

    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের প্রভোস্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এসএম আনোয়ারা বেগমকে এই হলের প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাকে নির্মাণাধীণ প্রথম ছাত্রী হলের প্রথম প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।

    ভিসি প্রফেসর ড. মীজানুর রহমান বলেন, পহেলা জানুয়ারি থেকে প্রভোস্টের আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু হবে। আপাতত হল বুঝে নেওয়ার জন্য প্রভোস্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পরে সহকারী প্রভোস্ট ও হাউজ টিউটর নিয়োগ দেওয়া হবে। নিয়ম-কানুন তৈরি করা ও ডাইনিং বিষয়ে সব কাজ আগে থেকেই শুরু করতে হবে। সব কাজ শেষ করে আগামী বছরের জুন থেকে ছাত্রীরা হলে উঠতে পারবেন বলে আশা করছেন উপাচার্য।

    উল্লেখ্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই হলের কাজ ২০১৩ সালে শুরু হয়। ১৬তলা বিশিষ্ট এই হলে এক হাজার ছাত্রী আবাসনের ব্যবস্থা রয়েছে। কাজ শুরু হওয়ার পর বেশ কয়েকবার মেয়াদ বৃদ্ধি করে ২০১৯ সালের জুনে বিশ্ববিদ্যালয়কে হল বুঝিয়ে দেওয়ার কথা নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের।

    প্রাইম ইউনিভার্সিটিতে ‘পোষ্ট কলোনিয়ালিজম : অ্যান ইনট্রোডাক্শন’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

    0

    বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : প্রফেসর মাশরুরশা প্রাইম ইউনিভার্সিটির ইংরেজী বিভাগ ও সেন্টার ফর রিসার্চ, এইচআরডি এন্ড পাবলিকেশন্স-এর যৌথ উদ্যোগে গত ২৫ শে এপ্রিল ২০১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে ‘পোষ্ট কলোনিয়ালিজম : অ্যান ইনট্রোডাক্শন’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব মীর শাহাবুদ্দিন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ আরশাদ আলী। সেমিনারের প্রধান বক্তা ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপকহিদ হোসাইন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন প্রাইম ইউনিভার্সিটির ইংরেজী বিভাগের সভাপতি জনাব এ.এস.এম. সাদউল কাদের।

    শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসনপ্রতি ভর্তিচ্ছু ৬৩, পরীক্ষা শনিবার

    0

    বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা ডেস্ক : শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি আসনে ভর্তিচ্ছু ৬৩জন। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে কাল ২২ ডিসেম্বর শনিবার। কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে ৯০ টি আসনে ভর্তির জন্যে আবেদন করেছে ৫ হাজার ৯৬৬ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী। অস্থায়ীভাবে রাজুরবাজার কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ক্লাশ শুরু হবে।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি রফিক উল্লাহ খান জানিয়েছেন, কলা ইউনিটে ৪ হাজার ১৮২ জন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে ১ হাজার ৭৮৪ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে।

    নেত্রকোনা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ, আবু আব্বাস ডিগ্রী কলেজ ও নেত্রকোনা সরকারি আঞ্জুমান আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্টিত হবে। এর মধ্যে সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা নাগাদ কলা ইউনিটের ও বেলা ২ টা থেকে সাড়ে ৩টা নাগাদ সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

    কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর উপ-উপাচার্য হিসেবে যোগদান করলেন প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম

    0

    বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা প্রতিবেদক : কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এ প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম উপ-উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেছেন। গত ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ইউনিভার্সিটির অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘ওয়েলকাম সিরিমনি’তে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহ্ফুজুল ইসলাম নব নিযুক্ত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলরকে আনুষ্ঠানিক অভিনন্দন জানান।

    কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এ যোগদানের আগে ড. ইসলাম বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট শিক্ষক, গবেষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন। তিনি ব্র্যাক, নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটি ও খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে এবং ইস্ট- ওয়েস্ট, ইস্টার্ন ও উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে ডিন ও অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেছেন।

    নতুন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে ইউনিভার্সিটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজকে ধন্যবাদ জানান। কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশকে একটি নতুন উচ্চমাত্রায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে ইউনিভার্সিটির সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে সহযোগিতা কামনা করেন।

    অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর রেজিস্ট্রার ব্রি. জে. মো. আসাদুজ্জামান সুবহানী (অব.), বিজনেস স্কুলের প্রধান ও এ্যাসোসিয়েট প্রফেসর জনাব এস. এম. আরিফুজ্জামান ও বিজনেস স্কুলের ডীন প্রফেসর উইলিয়াম এইচ. ডেরেঞ্জার সহ অনেকে।

    নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মিডিয়া এন্ড জার্নালিজম’ কর্মসূচি শুরু গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের সাথে সাংবাদিকতা শিক্ষার প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আহবান

    0
    আজ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কেমন মিডিয়া গ্রাজুয়েট চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর আতিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাসিবুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক, ম্যানেজমেন্ট এন্ড রিসোর্সেস ডেভলপমেন্ট ইনিসিয়েটিভ (এমএরডিআই), সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং প্রধান সম্পাদক, গ্লোবাল টেলিভিশন, আশরাফ কাইসার, সিইও, বেঞ্চমার্ক পিআর, আনিসুল হক, সহকারী সম্পাদক, দৈনিক প্রথম আলো, সৈয়দ গাইছুল আলম শাওন, ম্যানেজিং পার্টনার এন্ড কান্ট্রি হেড, গ্রে বাংলাদেশ, তুষার আবদুল্লাহ, সিইও, এখন টিভি, ড. গীতিয়ারা নাসরিন, প্রফেসর, গণসংযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ফাহিম আহমেদ, সিইও, যমুনা টিভি, আব্দুন নূর তুষার, সিইও, গতি মিডিয়া লিমিটেড, খাইরুল বাশার, হেড অব কমিউনিকেশান, গ্রামীনফোন, সৈয়দ আশফাকুল হক, নির্বাহী সম্পাদক, দ্যা ডেইলি স্টার সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।

    পরিক্রমা ডেস্ক : বাংলাদেশের গণমাধ্যমের প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত মিডিয়া গ্রাজুয়েট তৈরিতে দেশের গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়-কেন্দ্রিক সাংবাদিকতা শিক্ষার প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা জোরদার আহবান জানিয়েছেন প্রথিতযশা গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ববৃন্দ।

    আজ এনএসইউ’র সিন্ডিকেট হলে আয়োজিত ‘কেমন মিডিয়া গ্র্যাজুয়েট চাই’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় তারা এই আহবান জানান। গণসংযোগ ও সাংবাদিকতার জগতে দক্ষ কর্মশক্তি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় নতুন কর্মসূচি ‘মিডিয়া এন্ড জার্নালিজম ’ আজ যাত্রা শুরু করেছে।

    ‘মিডিয়া এন্ড জার্নালিজম’ কর্মসূচির সহযোগী অধ্যাপক ড. রিজওয়ান-উল-আলমের সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, হাসিবুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক, ম্যানেজমেন্ট এন্ড রিসোর্সেস ডেভলপমেন্ট ইনিসিয়েটিভ (এমএরডিআই), সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা , প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং প্রধান সম্পাদক, গ্লোবাল টেলিভিশন, আশরাফ কায়সার, সিইও, বেঞ্চমার্ক পিআর, আনিসুল হক, ডেপুটি সম্পাদক, দৈনিক প্রথম আলো, সৈয়দ গাইছুল আলম শাওন, ম্যানেজিং পার্টনার এন্ড কান্ট্রি হেড, গ্রে বাংলাদেশ, তুষার আবদুল্লাহ, সিইও, এখন টিভি; ড. গীতিয়ারা নাসরিন, প্রফেসর, গণসংযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; আব্দুন নূর তুষার, সিইও, গতি মিডিয়া লিমিটেড, খাইরুল বাশার, হেড অব কমিউনিকেশান, গ্রামীনফোন, সৈয়দ আশফাকুল হক, নির্বাহী সম্পাদক, দ্যা ডেইলি স্টার সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ।

    আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রফেসর গীতি আরা নাসরীন তার বক্তব্যে বলেন, শিক্ষার্থীদেরকে মিডিয়ার ভাষা বুঝতে হবে। পাশাপাশি গবেষণায় অংশ নিতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে মিডিয়ার গবেষণা সেভাবে হচ্ছে না। গবেষণার জন্য প্রয়োজন বড় বাজেট। প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক জনাব আনিসুল হক বলেন, মিডিয়ায় মত প্রকাশের স্বাধীনতার যথেষ্ঠ গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো আমাদেরও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের দেশেও এই জায়গাটির অধিক উন্নয়ন দরকার।

    আব্দুন নূর তুষার বলেন, জার্নালিজম এর শিক্ষার্থীদের বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ভাষা এবং মিডিয়ার পরিবর্তনশীলতার সাথে খাপ খায়িয়ে চলার দক্ষতা থাকতে হবে। আমাদের বিশ্ববাজারের জন্য উপযুক্ত গ্রাজুয়েট তৈরি করতে হবে। গ্রামীনফোন এর হেড অব কমিউনিকেশান খাইরুল বাশার জার্নালিজম এর শিক্ষার্থীদের গতানুগতিক মিডিয়া এর পাশাপাশি পরিবর্তিত মিডিয়ার নতুন বিষয় সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন এর উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা তার বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের ভাল বাংলা ও ইংরেজি ভাষা শিক্ষা এবং কম্পিউটার এর দক্ষতা অর্জনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। সৈয়দ আশফাকুল হক তার বক্তব্যে বলেন, সাংবাদিক শুধু ক্লাস রুমে তৈরি হয় না, তত্ত্ব এবং তার বাস্তবিক প্রয়োগ এর মধ্যে একটা পার্থক্য রয়েছে। দক্ষ সাংবাদিক গড়ে তুলতে হলে তাদের বাস্তবিক জ্ঞান এবং প্রযুক্তির পরিবর্তনের সাথে খাপ খায়িয়ে চলতে পারে এমন ভাবে তৈরি করতে হবে। সৈয়দ গাইছুল আলম শাওন কঠোর ভর্তি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাদের সাংবাদিকতা পড়ার দক্ষতা এবং আগ্রহ আছে শুধু তাদের ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন। তুষার আবদুল্লাহ বলেন একজন দক্ষ সাংবাদিক গড়ে তুলার জন্য আমাদের নবীন সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ ও সময় দিয়ে তাদের বিশ্ব মানের করে গড়ে তুলতে হবে এসময় তিনি সাংবাদিকদের আর্থিক এবং সামাজিক নিরাপত্তা প্রদানের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

    প্রায় সকল আলোচক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের সাথে সাংবাদিকতা শিক্ষার প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়াও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ তাদের বক্তব্যে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারাবাহিক সাফল্য এবং মিডিয়া এবং জার্নালিজম বিভাগের পথযাত্রায় সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

    উক্ত অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর জনাব আতিকুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে সাংবাদিকতাকে একটি দেশ বা রাষ্ট্রের দর্পণের সাথে তুলনা করে বলেন, সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদেরকে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা সরবরাহ করা হবে । দক্ষ গণমাধ্যমকর্মী গড়ে তুলতে নর্থ সাউথ বদ্ধপরিকর ।

    আলোচনার শুরুতে এই কর্মসূচির প্রেক্ষাপট ও যোক্তিকতা তুলে ধরে পিএসএস বিভাগের চেয়ারম্যান এসকে তৌফিকুল এম হক জানান, মাত্র ৩৫ জন শিক্ষার্থী এই নতুন কর্মসূচিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন। অনুষ্ঠানের কারিকুলাম সম্পর্কে বিস্তারিত উপস্থাপন করেন পিএসএস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হারিসুর রহমান। ‘মিডিয়া এন্ড জার্নালিজম’ কর্মসূচির শিক্ষক আসিফ বিন আলী পুরো অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।

    ১৯৯২ সালে যাত্রা শুরু করা দেশের প্রথম প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যায় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি দেশের শিক্ষাজগতে নতুন পথের উন্মোচন করেছে। জাতীয় পর্যায়কে ছাপিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সমানভাবে দক্ষতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে । আন্তর্জাতিক মানের বিশ্বিবিদ্যালয় হিসেবে খ্যাতি ধরে রাখতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর । এরই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘কিউএস এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিং – ২০২২’ এ বিশ্বসেরা ৫০০ বিশ্বিবিদ্যালয়ের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে ।

    নতুন যাত্রা করা মিডিয়া এন্ড জার্নালিজম কর্মসূচির অন্যতম উদ্দ্যেশ্য হলো, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলা । উক্ত বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে অত্যন্ত আধুনিক ল্যাব থেকে শুরু করে এনএসইউ টিভি রেডিওর মতো বড় ধরনের ব্যবস্থাপনা।

    প্রাইম ইউনিভার্সিটিতে শোক দিবস পালিত

    0

    নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন বেসরকারি প্রাইম ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ আলী।

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২১ উপলক্ষে ভার্চুয়ালি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান।

    অন্যদিকে অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর শাহাবুদ্দিন বলেন, এখন সময় এসেছে বঙ্গবন্ধু আদর্শ বাস্তবায়নের। ঐক্যবদ্ধভাবে সবাই মিলে এই লক্ষ্য পূরণে কাজ করতে হবে। অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া অন্য বক্তারাও প্রায় একই মন্তব্য করেন।

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ তোফাজ্জল হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান নৃপেন মৈত্র, সেক্রেটারী জেনারেল ফিরোজ মাহমুদ হোসেন, ট্রেজারার মো. মামুন সোবহান, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার তৌহিদুর রহমান, আছিয়া জামান, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ এবং প্রাইম ফাউন্ডেশনের সম্মানিত চেয়ারম্যান এবং বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য আশফাক-ইউ-চৌধুরী।

    এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আরশাদ আলী, প্রকৌশল অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মো. জাহিদ হুসেইন খান, সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. এবিএম ফারুক ও প্রফেসর ড. আব্দুল জব্বার হাওলাদার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আশরাফ আলী, এডুকেশন বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. দেলোয়ার হোসেন, সিএসসি ও ইইই বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মুন্সী মাহবুবুর রহমান, বাংলা বিভাগের প্রধান প্রফেসর মাহবুব উল আলম, আইন বিভাগের প্রধান ড. আব্দুল্লাহ আল মঞ্জুর হোসেন, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান ড. খুরশিদা পারভীন এবং সকল বিভাগের শিক্ষকমণ্ডলী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ শিক্ষার্থীরা।

    আলোচনা শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের শহিদ সদস্যবৃন্দ ও মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য দোয়া করা হয়।

    চলতি শিক্ষাবর্ষ বাড়তে পারে মার্চ পর্যন্ত, কমবে সিলেবাস, কমতে পারে পরীক্ষাও :শিক্ষামন্ত্রী

    0
    Vizekanzler Michael Spindelegger trifft die Aussenministerin aus Bangladesch Dipu Moni, Wien, 26.02.2013, Foto: Dragan Tatic

    বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেছেন, এবারের এইচএসসি পরীক্ষার বিষয় সংখ্যা কমিয়ে অল্প সময়ে নেয়া যায় কিনা সে ভাবনা আছে । তবে সিলেবাস কমানোর যৌক্তিকতা নেই। কারণ তারা তাদের সিলেবাস সম্পন্ন করেছে। শনিবার এডুকেশন রিপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব) আয়োজিত অনলাইন সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, করোনার কারণে বর্তমান শিক্ষাবর্ষ আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত বাড়তে পারে। পাশাপাশি শ্রেণীঘন্টার সঙ্গে সমন্বয় করে কমানো হতে পারে মাধ্যমিক স্তরের বিভিন্ন শ্রেণীর সিলেবাস। এমন পদক্ষেপের কারণে আগামী বছরে ঐচ্ছিক ছুটি কমিয়ে আনা হতে পারে। যেসব পরীক্ষা এখনো অনুষ্টিত হয়নি সেগুলোর সংখ্যা কমিয়ে আনা যায় কি না তাও ভাবছি। তবে সিলেবাস কামানোর ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর বয়স ও শ্রেণি অনুযায়ী জ্ঞানার্জন ও দক্ষতা অর্জনের ব্যাপারে কোনো আপোষ করা হবে না।

    ‘করোনাকালে শিক্ষার চ্যালেঞ্জ এবং উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক এ ভার্চুয়াল সেমিনারে সভাপতিত্ব সংগঠনের সভাপতি মুসতাক আহমদ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মনজুর আহমদ এবং ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. ফারহানা খানম। অনুষ্ঠানে স্বাগত জানান ইরাব সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক। সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাব্বির নেওয়াজের সঞ্চালনায় এতে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ইরাব কোষাধ্যক্ষ শরিফুল আলম সুমন। আলোচনায় অংশ নেন ইরাব যুগ্ম সম্পাদক ফারুক হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক এম এম জসিম, দপ্তর সম্পাদক এম এইচ রবিন, ডেইলি স্টারের সিনিয়র রিপোর্টার মহিউদ্দিন জুয়েল, ঢাকাটাইমসের স্টাফ রিপোর্টার তানিয়া আক্তার।

    শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক সঙ্কটই নতুন সম্ভাবনা নিয়ে আসে। আমরা সেই সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে সবার সহযোগিতায় এগিয়ে যাব। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে আমরা কোটি কোটি শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারি না। তাদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে স্কুল-কলেজ খোলা হবে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় যে ক্ষতি হবে তা পুষিয়ে নিতে আমরা কিছু পরিকল্পনা তৈরি করেছি। এই অনিশ্চয়তার মধ্যে কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেয়া কোনভাবে সম্ভব নয়।

    তিনি বলেন, এইচএসসির এই বছরের সিলেবাস কমানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই। কারণ তারা তো তাদের সিলেবাস সম্পন্ন করেছে। এখন কথা হচ্ছে পরীক্ষা নিয়ে। আবারো এত লক্ষ লক্ষ পরিবার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সবাইকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলব? তাহলে সেই পরীক্ষাটি আমরা কম সময়ে নিতে পারে কিনা। কম সংখ্যক পরীক্ষা নিতে পারে কিনা এ ধরনের সব ভাবনাই ভাবছি।

    তিনি বলেন, বর্তমান সংকট পুষিয়ে নিতে চলতি শিক্ষাবর্ষ আগামী মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হবে কি না, না ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকবে তা ভাবনাচিন্তা চলছে। শিক্ষা বর্ষ বাড়ানো হলে আগামী বছরে ঐচ্ছিক ছুটি কমানোর প্রয়োজন হবে। একটি শিক্ষাবর্ষে আমরা ১৪০-১৪২ দিন পড়িয়ে থাকি। বাকিটা ছুটি থাকে। তাই এবছর শিক্ষা বর্ষ বাড়াতে হলে আগামী বছরের ছুটি কমিয়ে হলেও তা করা হবে। তবে এ ক্ষেত্রে বয়স ও শ্রেণি অনুযায়ী শিক্ষার্থীর জ্ঞানার্জন ও দক্ষতা অর্জনের দিকটিতে আপোষ করা হবে না। কারিগরি শিক্ষায় যতটুকু শিখনফল ও দক্ষতা কাম্য সেটুকু যদি শিক্ষার্থীরা অর্জন করতে না পারে তাহলে তাদেরকে সার্টিফিকেট দেয়া হবে না বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

    এ বিষয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, ’ট্রেডিশনাল প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসরুম বা ল্যাবরেটরী কিংবা হোয়াটসঅ্যাপ ছাড়াই শিক্ষার্থীরা শিখতে পারবে না প্রযুক্তির এই যুগে এটা বলা ঠিক হবে না। যেহেতু ভার্চুয়াল ল্যাবরেটরির সুবিধাটি রয়েছে আমরা চেষ্টা করবো সে সুযোগটি কাজে লাগানোর জন্য।’

    সংসদ টিভির চলমান ক্লাসগুলো বিশেষ শিশুদের উপযোগী করে তোলার বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ বিশেষ শিশুরাও সংসদ টিভি ক্লাসগুলো করার সুযোগ যেন পায় সে উপযোগী করে তৈরি করার বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হবে। যাতে এই বিশেষ প্রতিবন্ধকতা জয় করা শিক্ষার্থীরাও এই অনলাইন ক্লাস গুলোর মাধ্যমে এই করোনার সময়ে পাঠের সুবিধা নিতে পারে।’

    সংসদ টিভির ক্লাসগুলো প্রযুক্তির বিভিন্ন মাধ্যমে প্রায় ৯০ ভাগ শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ের জরিপে আমরা জানতে পেরেছি সংসদ টিভির ক্লাস গুলো মোবাইল ফোনসহ প্রযুক্তির বিভিন্ন মাধ্যমে প্রায় ৯০ ভাগ শিক্ষার্থী দোরগোড়ায় পৌঁছেছে। তবে এখনো ১০ ভাগ শিক্ষার্থীর কাছে সংসদ টিভির ক্লাসগুলো পৌঁছায়নি। কিন্তু এই দশভাগ কে পিছনে ফেলে আমরা সামনে এগিয়ে যাব না। তাই ইতিমধ্যেই আমরা টোল ফ্রি মোবাইল সুবিধা দেব যা খুবই দ্রুত সেটা চালু করতে যাচ্ছি যার মাধ্যমে সেই ১০ ভাগ শিক্ষার্থীও শিক্ষকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার মাধ্যমে পাঠের সুযোগ পাবে। এছাড়া ইন্টারনেটের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে বাজেটে প্রস্তাবণা থাকলেও শুধুমাত্র শিক্ষাক্ষেত্রকে এর বাইরে রেখে বা নাম মাত্র মূল্যে কিভাবে ইন্টারনেট সুবিধা দেওয়া যায় সেটা নিয়েও আমরা ভাবছি। এছাড়াও কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমেও তাদের কাছে শিক্ষা পৌঁছানোর বিষয়ে আমাদের কাজ চলছে। ইউনিয়ন পর্যায়ের তথ্য সেবা কেন্দ্র ও ডিজিটাল সেবা কেন্দ্রগুলোকে শিক্ষার জন্য ব্যবহার করা পরিকল্পনা রয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি ইউনিয়নে তথ্যসেবা কেন্দ্র ও ডিজিটাল সেবা কেন্দ্র রয়েছে।স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীরা সেখান থেকেও শিক্ষা সেবা নিতে পারে।’ তবে যেসব জায়গায় এই সুবিধা গুলো নেই সেখানে শিক্ষকরা শিক্ষাদানের সবচেয়ে বড় মাধ্যম হতে পারে বলে জানান তিনি। শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে এই ডিজিটাল সেবা পৌঁছাতে পারবে না আমরা চাইবো শিক্ষকরা কিছ

    শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে এই ডিজিটাল সেবা পৌঁছাতে পারবে না আমরা চাইবো শিক্ষকরা কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিভাবে পাঠ দান করতে পারে সেই বিষয়ে আমরা ভাবছি।’

    শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললো আগের মত এক বেঞ্চে ৪ জন না বসিয়ে দুই অথবা তিন জন বসতে দেয়া হবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা হবে। অনির্ধারিত ছুটি পুষিয়ে নিতে আমরা বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে তার মধ্যে সিলেবাস বার্ষিক ছুটি কমিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে।‘

    গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ‘সঠিক তথ্য ও প্রচার মানুষকে সচেতন করা গণমাধ্যমের বড় দায়িত্ব। একদিকে ইন্টারনেটের উপর সবকিছু নির্ভরশীল হচ্ছে অন্যদিকে এর ব্যবহার বাড়ালে সকল প্রস্তুতি বিফলে যাবে। ইন্টারনেট মানুষের হাতের নাগালে রাখতে হবে এজন্য সরকারকে এ খাতে প্রণোদনা দিতে হবে। মনে রাখতে হবে শিক্ষার একটি প্রজন্ম হারিয়ে গেলে কয়েক প্রজন্ম হারিয়ে গেল তাদের আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। এই কারণে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সরকারকে আহ্বান জানান তিনি।

    ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মনজুর আহমদ বলেন, ‘গোটা শিক্ষাব্যস্থাপনা নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিতে হবে সরকারের। করোনাকালীন এই সংকটের কারনে যে ক্ষতির মুখে পড়ছে শিক্ষাব্যবস্থা তা পুষিয়ে নিতে পরিকল্পনা করতে হবে।‘

    ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. ফারহানা খানম বলেন, ‘নন-এমপিও শিক্ষকরা খুবই কষ্টে আছেন। তাদের বেতন শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি এর ওপর নির্ভর করে। কিন্তু এখন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সংকটে, ফলে দেশের বেতনহীন শিক্ষকদের দিকে সরকারের সদয় দৃষ্টি দিতে হবে।‘

    0FansLike
    0FollowersFollow
    0SubscribersSubscribe